ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/100203/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
আইয়্যামে জাহিলিয়াত এর যুগে সফর মাসকে তারা কুলক্ষণ বলে মনে
করতো। এ মাসে তারা বিবাহ শাদী করতোনা।
ইসলামী পরিস্কার ভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে এগুলো নিছক কুঃসংস্কার
মাত্র। শরীয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَقَالَ
عَفَّانُ حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ
قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه
وسلم لاَ عَدْو‘ى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ وَفِرَّ مِنَ
الْمَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنْ الأَسَدِ.
আফফান (রহ.) বলেন, সালীম ইবনু হাইয়ান, আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ রোগের কোন সংক্রমণ নেই,
কুলক্ষণ বলে কিছু নেই, পেঁচা অশুভের লক্ষণ নয়, সফর মাসের কোন অশুভ নেই। কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাক, যেভাবে তুমি
বাঘ থেকে দূরে থাক। [বুখারী ৫৭১৭,
৫৭৫৭,
৫৭৭০,
৫৭৭৩,
৫৭৭৫] আধুনিক প্রকাশনী- অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
অনুচ্ছেদ)
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَبْدُ
الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ صَالِحٍ
عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ
وَغَيْرُه“ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم
قَالَ لاَ عَدْو‘ى وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَ فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ يَا رَسُوْلَ
اللهِ فَمَا بَالُ إِبِلِي تَكُونُ فِي الرَّمْلِ كَأَنَّهَا الظِّبَاءُ فَيَأْتِي
الْبَعِيرُ الأَجْرَبُ فَيَدْخُلُ بَيْنَهَا فَيُجْرِبُهَا فَقَالَ فَمَنْ أَعْدَى
الأَوَّلَ.
আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রোগের কোন সংক্রমণ নেই, সফরের কোন অশুভ
আলামত নেই, পেঁচার মধ্যেও কোন অশুভ আলামত নেই। তখন এক বেদুঈন বললঃ হে আল্লাহর
রাসূল! তাহলে আমার উটের এ অবস্থা কেন হয়? সেগুলো যখন চারণ ভূমিতে থাকে তখন সেগুলো যেন মুক্ত হরিণের পাল।
এমন অবস্থায় চর্মরোগাগ্রস্ত উট এসে সেগুলোর পালে ঢুকে পড়ে এবং এগুলোকেও চর্ম রোগে আক্রান্ত
করে ফেলে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে প্রথমটিকে চর্ম রোগাক্রান্ত
কে করেছে? যুহরী হাদীসটি আবূ সালামাহ ও সিনান ইবনু আবূ সিনান (রহ.) থেকে
বর্ণনা করেছেন। [বুখারী ৫৭০৭,;
মুসলিম ৩৯/৩৩, হাঃ ২২২০,
আহমাদ ৭৬২৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
৫১৯৫)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. কার্তিক মাস সম্পর্কে উপরোক্ত ধারনাটি সঠিক নয়। এটা নিছক
কুঃসংস্কার মাত্র। এতে কোনো খারাপ ইফেক্ট নেই।
এই মাসে বিয়েতে কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ।
২. তবে জুমআর দিনে মসজিদে বিয়ে সম্পাদন করা সুন্নত। উল্লেখ্য যে, সকল মাসের যেকোনো দিনে বিয়ে
করা জায়েয রয়েছে। (সহীহ মুসলিম-১৪২৩,সুনানু বায়হাক্বী-১৪৬৯৯,ফাতহুল ক্বাদির-৩/১৮৯)
আরো বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/1626/