আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম
ইমারজেন্সি, উত্তরটা লাগবে।

বিয়ের দিনের জন্য কি কোনো বাধা নিষিদ্ধ দিবস বা শুভ-অশুভ আছে?

যেমন : আমাদের এখানে কার্তিক মাসে বিয়ে করায় না, আবার মেয়ে বাপের বাড়ি থাকলে শশুরবাড়ি যায় না, শশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি যায় না।

এই কার্তিক মাসকে অনেকে অনেক কিছু বেছে চলে। এই মাসকে মরা কার্তিক বলে, এই মাসে নাকি বালা মসিবত বেশি হয়।

এভাবে কোন মাসকে শুভ- অশুভ বলে বিশ্বাস করা যাবে?

আর কার্তিক মাসে বিয়ে করতে নিষেধ করতেছে পরিবারের সবাই। কিন্তু আমি এমন অদ্ভুত নিয়মের বাহিরে বড়দের কথা অমান্য করলে কি গুনাহ হবে? (আমার জোড়াজুড়িতে তারা হয়তো বিয়ের দিন রাখতে পারে দ্রুত)

আমার কি এখন তাদের কষ্ট দিয়ে বিয়ে করা ঠিক হবে? নাকি বড় বলে তাদের কথা মেনে নিব?

কিন্তু আমার পক্ষে এমন উদ্ভট নিয়ম মানা সম্ভব না। কারণ আমার নিজের বিয়ে করা ফরজ হয়ে উঠেছে( চরিত্রের হেফাজত করতে পারছি না)। এমন অবস্থা হয়েছে একটা দিনও নিজেকে পাপমুক্ত রাখতে পারছি না। এক দিন আগে বিয়ে করলে হয়তো আমার একদিনের পাপ কমবে।

আমার কি বড়দের বিষয়টা মেনে নেওয়া উচিত হবে(তাদের অসন্তুষ্টি থেকে বাঁচতে)৷ নাকি এমন অদ্ভুত নিয়মের বিরুদ্ধে নিজের চরিত্র হেফাজতের জন্য তাদের কথা অমান্য করে বিয়ের দিন ঠিক করব?

আর কোরআন সুন্নাহ অনুযায়ী বিবাহের দিনের জন্য কোনো বিধিনিষেধ আছে? যেমন বলা হয়, সাবান মাসে বিয়ে করা সুন্নাত।
আর ইসলামে শুভ-অশুভ দিন বা লক্ষন হিসেবে কেমন আকিদা থাকা উচিত?

(এক বোনের পক্ষ থেকে)

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/100203/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

আইয়্যামে জাহিলিয়াত এর যুগে সফর মাসকে তারা কুলক্ষণ বলে মনে করতো। এ মাসে তারা বিবাহ শাদী করতোনা।

ইসলামী পরিস্কার ভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে এগুলো নিছক কুঃসংস্কার মাত্র। শরীয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

وَقَالَ عَفَّانُ حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ عَدْو‘ى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ وَفِرَّ مِنَ الْمَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنْ الأَسَدِ.

আফফান (রহ.) বলেন, সালীম ইবনু হাইয়ান, আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রোগের কোন সংক্রমণ নেই, কুলক্ষণ বলে কিছু নেই, পেঁচা অশুভের লক্ষণ নয়, সফর মাসের কোন অশুভ নেই। কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাক, যেভাবে তুমি বাঘ থেকে দূরে থাক। [বুখারী ৫৭১৭, ৫৭৫৭, ৫৭৭০, ৫৭৭৩, ৫৭৭৫] আধুনিক প্রকাশনী- অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- অনুচ্ছেদ)


হাদীস শরীফে এসেছে-

عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ وَغَيْرُه“ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ عَدْو‘ى وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَ فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ يَا رَسُوْلَ اللهِ فَمَا بَالُ إِبِلِي تَكُونُ فِي الرَّمْلِ كَأَنَّهَا الظِّبَاءُ فَيَأْتِي الْبَعِيرُ الأَجْرَبُ فَيَدْخُلُ بَيْنَهَا فَيُجْرِبُهَا فَقَالَ فَمَنْ أَعْدَى الأَوَّلَ.

আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রোগের কোন সংক্রমণ নেই, সফরের কোন অশুভ আলামত নেই, পেঁচার মধ্যেও কোন অশুভ আলামত নেই। তখন এক বেদুঈন বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে আমার উটের এ অবস্থা কেন হয়? সেগুলো যখন চারণ ভূমিতে থাকে তখন সেগুলো যেন মুক্ত হরিণের পাল। এমন অবস্থায় চর্মরোগাগ্রস্ত উট এসে সেগুলোর পালে ঢুকে পড়ে এবং এগুলোকেও চর্ম রোগে আক্রান্ত করে ফেলে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে প্রথমটিকে চর্ম রোগাক্রান্ত কে করেছে? যুহরী হাদীসটি আবূ সালামাহ ও সিনান ইবনু আবূ সিনান (রহ.) থেকে বর্ণনা করেছেন। [বুখারী ৫৭০৭,; মুসলিম ৩৯/৩৩, হাঃ ২২২০, আহমাদ ৭৬২৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৯৫)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. কার্তিক মাস সম্পর্কে উপরোক্ত ধারনাটি সঠিক নয়। এটা নিছক কুঃসংস্কার মাত্র। এতে কোনো খারাপ ইফেক্ট নেই।

এই মাসে বিয়েতে কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ।

২. তবে জুমআর দিনে মসজিদে বিয়ে সম্পাদন করা সুন্নত। উল্লেখ্য যে, সকল মাসের যেকোনো দিনে বিয়ে করা জায়েয রয়েছে। (সহীহ মুসলিম-১৪২৩,সুনানু বায়হাক্বী-১৪৬৯৯,ফাতহুল ক্বাদির-৩/১৮৯)

আরো বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/1626/

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...