আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)
edited by
Assalamualaikum
আমার পরিবারের একজন সদস্যের সাথে আমার বেশ অভিমান হয়।কারন সে কৌশলে আমার অনেক বেশি ক্ষতি করেছে যেটা অপূরনীয়। আমি কোনোভাবে স্বাভাবিক হতে পারছিনা।এতো আঘাত মেনে নিতে পারছি না।(আমার এই ছোট্ট জীবনে এপর্যন্ত একটা সামান্য আঘাতও পেতে দেননি আমার অভিভাবকরা) কিন্তু রিসেন্টলি এতো কিছু অনুধাবন করি। আমার হৃদয় ভেঙে চূরমার হয়ে যাচ্ছে।মুখোশের আড়ালে কালো ছায়া আমি দেখে ফেলেছি,কতোটা ক্ষতি করতে পারে তা জানা হয়ে গেছে,সে নিজের স্বার্থ ব্যতিত আমার ভালো চায় না এটা বুঝতে পারি যদিও উপরে উপরে খুব কেয়ারিং বা খুব ভালোবাসে এমনটা অনুধাবন করানোর চেষ্টা করে, তাই আমি উক্ত ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।যেখানে আগে দৈনিক ২-৫ ঘন্টা কথা বলতাম গল্প করতাম সেখানে এখন ৫ মিনিটও গল্প করিনা।যেখানে অনেক প্রায়োরিটি দিতাম সেখানে এখন চুপচাপ থাকার চেষ্টা করি।তার সাথে কথা বলতে নিলেই মনে হয় এই ব্যক্তির জন্য আমার এতো অপমানিত হতে হয়েছে, একটি সুন্দর পরিস্থিতির এখন বিদঘুটে অবস্থা।আমি হারাম রিলেশনশিপে কখনই ছিলাম না,কিন্তু এরকম কিছুর ট্যাগ দিচ্ছে,বাসার সবাই খুব খারাপ ভাবতেছে,যদিও সরাসরি কেওই কিছু বলে না,নির্দিষ্ট বিভাগ নিয়ে খেপায়,যদিও এটা মজা করে করে ।তার এমন কাজের ঠিকঠাক জবাবও দিতে ইচ্ছে করে কিন্তু এ বিষয়ে ভাবতে পারি না,মুখের উপরও বলে দিতে পারিনা,অসুস্থ হয়ে পরি।  তাই আমি প্রয়োজন ছাড়া কথা বলিনা খুব একটা। তার উপর আমার এতো অভিমান এটা সে জানেনা।হয়তোবা সে বুঝতে পারছে কিছুটা,
এতে কী আমি পরিবারের হক নষ্ট করে ফলতেছি?

উক্ত পরিস্থিতির জন্য অন্য একজনও দায়ী।আমি তার মেসেজের রিল্পাই করি না সহজে।আগে মেসেজ দেয়ার সাথে সাথেই রিপ্লাই করতাম এখন এড়ায়ে চলি এতে কী হক নষ্ট হচ্ছে কী না!

আমি ২-৩ জন ব্যক্তির সাথে স্বাভাবিক হতে পারি না।আমার লী করা উচিত?

আমি ক্ষমা করে দেই,কিন্তু এর পরই আবার ঘটনা গুলো মনে পড়লে এতো কষ্ট হয় বুঝাতে পারব না।অসুস্থ হয়ে যাই স্যালাইন পুশ করা লাগে। কখন না জানি রূঢ় আচরন করে ফেলি আল্লহুম্মাগফিরলী

একজন মুমিনা হিসেবে উক্ত পরিস্থিতিতে কী করা উচিত? কীভাবে উক্ত ব্যক্তিদের সাথে স্বাভাবিক আচরন করব?

1 Answer

0 votes
by (579,930 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
’উকবাহ্ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত।
بن عامرٍ قَالَ: لَقِيتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: مَا النَّجَاةُ؟ فَقَالَ: «أَمْلِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ وَلْيَسَعْكَ بَيْتُكَ وَابْكِ عَلَى خَطِيئَتِكَ» . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ
তিনি বলেন, একদিন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞেস করলামঃ (হে আল্লাহর রসূল!) মুক্তির উপায় কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তুমি নিজের জিহ্বাকে আয়ত্তে রাখো, নিজের ঘরে পড়ে থাকো এবং নিজের পাপের জন্য ক্রন্দন করো। (মিশকাত-৪৮৩৭)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/61503

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1577

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সরাসরি দেখাসাক্ষাৎ হলে সালাম দিয়ে অতি সংক্ষেপে হাল হকিকত জিজ্ঞাসা করে নিলেই আত্মীয়তার হক আদায় হয়ে যাবে।  প্রশ্নের অনুযায়ী তাদেরকে ভালোমন্দ কিছু না বলে বরং ধৈর্যসহকারে পরিস্থিতির মুকাবেলা করবেন। আল্লাহ আপনার সহায় হোক। আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...