ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
জবাবঃ-
(১)জ্বী,ইমাম মাহদী (আঃ) এর শাসনের কিছুদিন পর যে বাতাস মুমিনদের রুহ কব্জা করে নেবে,তার মাধ্যমেই পৃথিবীতে আনুষ্ঠানিকভাবে দীন ইসলামের সমাপ্তি ঘটবে।এরপর আল্লাওয়ালা কোনো মানুষ যখন পৃথীবিতে বেঁচে থাকবে না,তখন কিয়ামত সংগঠিত হবে।
(২)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِينَ آمَنُواْ الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُواْ وَلَتَجِدَنَّ أَقْرَبَهُمْ مَّوَدَّةً لِّلَّذِينَ آمَنُواْ الَّذِينَ قَالُوَاْ إِنَّا نَصَارَى ذَلِكَ بِأَنَّ مِنْهُمْ قِسِّيسِينَ وَرُهْبَانًا وَأَنَّهُمْ لاَ يَسْتَكْبِرُونَ
আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রু ইহুদী ও মুশরেকদেরকে পাবেন এবং আপনি সবার চাইতে মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্বে অধিক নিকটবর্তী তাদেরকে পাবেন, যারা নিজেদেরকে খ্রীষ্টান বলে। এর কারণ এই যে, খ্রীষ্টানদের মধ্যে আলেম রয়েছে, দরবেশ রয়েছে এবং তারা অহঙ্কার করে না।(সূরা মায়েদা-৮২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অমুসলিম সবাই মূলত ইসলামের শত্রু।সকল অমুসলিমরাই চায় ইসলাম চিরতরে সমূলে ধংস হয়ে যাক।ইসলামের শত্রুদের মধ্যে ইহুদি জাতির বিদ্ধেষ অগ্রগণ্য। এই ইহুদিদের সাথে আন্তরিক বন্ধুত্ব রাখা কখনো জায়েয হবে না।তারা সন্ত্রাসবাদী জাতি।তারা জোরদখলের মাধ্যমে নবীদের ভূমিকে দখল করে রেখেছে।তাদেরকে বিতারিত করে পুণ্যভুমিকে ফিরিয়ে আনা সবার দায়িত্ব।নিজেদের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে তাদের সাথে মুসলমানদের কোনো চুক্তি হতে পারে না।হ্যা তারা যদি কখনো সন্ত্রাসবাদী মন-মানষিকতাকে পরিহার করে,এবং জোরদখল এলাকাকে পরিত্যাগ করে,তাহলে তখন তাদের সাথে বাহ্যিক চুক্তি করা যেতে পারে।যেমন রাসূলুল্লাহ সাঃ মদিনাতে ইহুদিদের সাথে শান্তি চুক্তি করেছিলেন।