আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (15 points)
আমার বাবার নাম আব্দুল হামিদ,  আর আমার নাম হাসনিন বিনতে হামিদ দ্যুতি।  আমার নামে মধ্যে কোনো শিরক হয়ে যাচ্ছে কি না।  কারন আল্লাহর  পবিত্র নাম হামিদ। মানুষের নাম হামিদ হওয়া সম্ভব নয়। তাই মানুষের নাম আল্লাহর নামে রাখতে চাইলে আব্দুল কথাটা লাগাতে হবে।  আমার প্রশ্ন হলো আমার নাম হাসনিন বিনতে আব্দুল হামিদ দ্যুতি রাখা উচিত কি না। বা যেটা আছে সেটা থাকলে কোনো সমস্যা হবে কি না,  শিরক এর দিক থেকে।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
উপরোক্ত দু'টি মূলনীতির আলোকে তৃতীয় আরেকটি বিষয় আমাদের সামনে পরিস্কার হয়ে যায় যে, যে সমস্ত আসমায়ে হুসনা সম্পর্কে এ কথা জানা যাবে না যে,ঐগুলা কুরআন-হাদীস বা উম্মাহর তা'আমুল(ব্যবহার) বা উরফে(সমাজে) গায়রুল্লাহর জন্য প্রচলিত ছিল কি না? এমন আসমায়ে হুসনা দ্বারা নাম রাখা থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে।কেননা আসমায়ে হুসনার মধ্যে মূলকথা হল,সেগুলো দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখাটা নাজায়েয। সুতরাং জায়েয হওয়ার জন্য অবশ্যই দলিলের প্রয়োজন পড়বে।

উপরোক্ত উসূলের ভিত্তিতে সমস্ত আসমায়ে হুসনার ব্যাপারে আ'মল করা হবে। যেহেতু এই জবাব উসূল দ্বারা লিখিত, অন্যদিকে প্রত্যেক নামের ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো আলোচনা কোথাও পাওয়া যায়নি। বিধায় এ ব্যাপারে আমাদের আরো গবেষনা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ।সম্ভব হলে এব্যাপারে বিজ্ঞজনদের নিকট থেকে আরো বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।(ফাতাওয়ায়ে উসমানি-১/৫২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/463

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হামীদ শব্দ আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারো জন্য ব্যবহার করা যাবে কি না? সেটা কুরআন-হাদীস বা উম্মাহর তা'আমুল(ব্যবহার) দ্বারা স্পষ্ট ভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।তাই এক্ষেত্রে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হল, এই নাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। যদি লিখিত ভাবে পরিবর্তন সম্ভব না হয়, তাহলে অন্ততপক্ষে মৌখিকভাবে পরিবর্তন করে নিবেন।

হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।

ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ 

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...