আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ, আমি দীর্ঘদিন ধরে পা এর ব্যাথা তে ভুগছি, আমার সেজদায় বসতে কষ্ট হয় আর উঠতেও, রুকু তেও ঝুকতে কষ্ট হয় কিন্তু আমি কষ্ট করে করি, আর এতদিন সেজদাও বসে দিচ্ছিলাম কিন্তু এখন নিচে বসতে খুব কষ্ট হয়, কোন রকম ফরজ সলাত আদায় করার পর আর বাকি সলাত আদায় করতে পারি না, আমি কয়েকদিন থেকে পুরো সলাত দাড়িয়ে শুধু সেজদা আর বৈঠকে চেয়ারে বসে আদায় করছি, এতে করে কষ্ট কম হয় আলহামদুলিল্লাহ, আমি কি এভাবে সলাত আদায় করতে পারবো ইন শা আল্লাহ্?

1 Answer

0 votes
by (59,730 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/44884/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كَانَتْ بِي بَوَاسِيرُ، فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلاَةِ، فَقَالَ: «صَلِّ قَائِمًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَعَلَى جَنْبٍ»
আমার একবার অর্শগেজ হয়ে গেলো।আমি এমন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সা. এর নিকট নামায পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি প্রতিউত্তরে বললেন, তুমি দাঁড়িয়ে নামায পড়বে, তারপর দাঁড়ানো সম্ভব না হলে বসে বসে নামায পড়বে। যদি বসেও সম্ভব না হয় তাহলে হেলান দিয়ে নামায আদায় করবে।(সহীহ বোখারী-১১১৭)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ولو كان قادرا على بعض القيام دون تمامه يؤمر بأن يقوم قدر ما يقدر 
যদি কেউ নামাযে কিছু সময় কিয়াম করার পর  অক্ষম হয়ে যায় এবং এরপর আর দাড়াতে সক্ষম না হয়, তাহলে তার জন্য হুকুম হল যে, সে নামাযে ততটুকুই দাঁড়াবে যতটুকু তার জন্য সম্ভব হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৬)

তারপর উল্লেখ করা হয়,
وإن عجز عن القيام والركوع والسجود وقدر على القعود يصلي قاعدا بإيماء ويجعل السجود أخفض من الركوع، كذا في فتاوى قاضي خان حتى لو سوى لم يصح، كذا في البحر الرائق.
যদি কেউ নামাযে কিয়াম, রুকু, সিজদা করতে অক্ষম থাকে, কিন্তু সে আবার বসে বসে পড়তে সক্ষম হয়, তাহলে তার জন্য হুকুম হল যে, সে বসে বসে ইশারায় নামায পড়বে এবং সেজদার সময় মাথাকে রুকু থেকে একটু বেশী নিচু করবে।(ফাতাওয়ায়ে কাযীখান) তবে যদি কেউ রুকু এবং সেজদার সময়ে মাথাকে সমান করে রাখে তাহলে তার নামাযই বিশুদ্ধ হবে না।(বাহরুর রায়েক্ব)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি চেয়ারে বসে নামাজ না পড়ে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়বেন।
রুকুর সময় যতটুকু সম্ভব হয় মাথা ঝুকিয়ে রুকু করবেন।
এরপর বসে যাবেন আপনার সুবিধার মত। প্রয়োজনে পা লম্বা করে দিবেন অথবা আসন গেড়ে পড়বেন। অতঃপর বসে মাথা (যতটুকু সম্ভব হয়) ঝুকিয়ে সেজদাহ আদায় করবেন।
এভাবে পরবর্তী রাকাতে আবারো দাঁড়িয়ে যাবেন। 
এ ক্ষেত্রে দাঁড়াতে কষ্ট হলে প্রয়োজনে পাশে কোন কিছু রেখে এক হাত দিয়ে তার ওপর ভর দিয়ে দাঁড়াবেন। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...