ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কোন বিবাহিত নারী যদি মাসিক অবস্থায় হস্তমৈথুন করে তাহলে কাফফারা দিতে হবে না। তবে বিবাহিত নারীর জন্য হস্তমৈথুন সত্যিই লজ্জার। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 4344
(২) রোজা অবস্থায় কোন নারী যদি হস্তমৈথুন করে ফেলে, তাহলে কাফফারা দিতে হবে না বরং শুধুমাত্র কাযা করলেই হবে।
(৩) রোজা অবস্থায় যদি কেউ ছোট যেনা তথা গোপনাঙ্গে হাত দেওয়া ইত্যাদি করে, তাহলে তওবা করতে হবে। এক্ষেত্রে কাঁকাফফারা দিতে হবে না।
(৪) বাথরুমে গিয়ে বীর্যপাত করা কখনো কাম্য হতে পারে না। এতে অবশ্যই গোনাহ হবে।
(৫) আলিঙ্গনের কারণে বউ এর যদি উত্তেজনাবশত আঠা জাতীয় কিছু বের হয় তাহলে গোসল ফরজ হবে না। কেননা এটা মযি, শুধুমাত্র বীর্য বের হলেই গোসল ফরয হয়ে থাকে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 1689
(৬) মাসিক চালাকলীন সময়েই গোসল ফরজ হওয়ার মত কোনো কারণ দেখা গেলে, তখন গোসল করা ফরয হবে না। বরং একবারে মাসিক শেষ হলে তখন গোসল করা ফরয। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 106865
(৭)
অবিবাহিত লোকের যিনা বা সেক্স এর শাস্তি হল, একশত বেত্রাঘাত। আর বিবাহিত ব্যক্তিদের যিনা বা সেক্স এর শাস্তি হল মৃত্যুদন্ড। এগুলো হল, সরাসরি যিনা বা শারিরিক মিলনের শাস্তি।
সরাসরি যিনা বা শারিরিক মিলন না হলে, তার শাস্তি কাযী সাহেব বা শরয়ী কোর্ট কিংবা পঞ্চায়েত (তথা মুসলমানদের গোত্রীয় বিচার ব্যবস্থা যেখানে উলামা মাশায়েখ ও ন্যয়পরায়ন ব্যক্তিবর্গ থাকবে ) নির্ধারণ করবে। এটাকে তা’যির বলে।