আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকু।সকল পাপের জন্য আল্লাহ মাফ করুক।
১/ কোন বিবাহিত নারী যদি মাসিক অবস্থায় হস্তমৈথুন করে  তাহলে কাফফারা দিতে হবে বা তার করনীয় কি?(এটা অবশ্য হাতের দ্বারা না,অন্যভাবে ঘষে বীর্যপাত)
২/ রোজা অবস্থায় কোন নারী যদি যদি প্রশ্ন(১) এর মতো কোন  হস্তমৈথুন করে তাহলে কি কাফফারা দিতে হবে?
৩/ রোজা অবস্থায় যদি কেউ যেনা করে(সহবাস না বাট গভীর  যেনা করে যেমন গোপনাঙ্গে হাত দেওয়া) তাহলে কি তওবা করতে হবে নাকি কাফফারা দিতে হবে?
৪/ কোন স্বামী -স্ত্রী আদরে মেতে উঠলো।বাট স্বামী এখন চায় না সহবাস করতে,কারন এখন তার দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যাবে।তাই সে বাথরুমে গিয়ে বীর্যপাত করে আসে,এতে কি তার গুনাহ হবে?
৫/ স্ত্রী স্বামীর কাছে আসলে,বা হালকা-পাতলা আদর করলে একটু স্পর্শ পেলে বউ এর যদি  উত্তেজনাবশত  আঠা জাতীয় কিছু বের হয় তাহলে গোসল ফরজ হবে?
** রোজার দিনেও যদি এমন উত্তেজনশাবশত আঠা তরল জাতীয় কিছু বের হয় গোসল।ফরজ হবে?রোজা ভেঙ্গে যাবে?

৬/ মাসিকের পর তো এমনি গোসল ফরজ হয়।বাট মাসিক চলাকালীন যদি কারোর স্বপ্নদোষে বা অন্য কারনে গোসল ফরজ হয় তাহলে কি মাসিক চালাকলীন সময়েই ফরজ গোসল করতে হবে?নাকি একবারে মাসিক শেষ হলে গোসল করলেও চলবে।অনেকে বলে দুইটার আলাদা আলাদা গোসল করতে হয়।মাসিক ভালো হওয়ার আগেই যদি স্বপ্নদোষ হয় তখন ফরজ গোসল করে নিতে হবে।এটার দরকার কি?তখন তো নামাজ পড়া হয় না

৭/ বিবাহিত লোক এবং অবিবাহিত লোকের পরকীয়ার শাস্তি হলো ১০০ বেত(অবিবাহিত) আর মৃত্যুদন্ড(বিবাহিতদের জন্য)।আমার প্রশ্ন হলো পরকীয়া তো কতরকম হয়।প্রেম করে,সহবাস ছাড়া খারাপি কথা,চুমো ইত্যাদি নোংড়া কাজ করে।এসবের শাস্তি কি?পরকীয়ার যে" মৃত্যুদন্ড শাস্তির" কথাটা বলছে এটা তো মেবি শুধু সেক্স করলে।তাহলে বিয়ের পর যে প্রেম করে,সেক্স চ্যাট করে কত পুরুষলোক,মেয়েলোক ওদের শাস্তি কি?আমি বলতে চাচ্ছি বিয়ের পর পরকীয়ায় শুধু অবৈধ সেক্স করলেই তার মৃত্যুদন্ড হবে?পরনারীর সাথে প্রেম করলে,সেক্স চ্যাট করলে,দেখা করলে,বাজেভাবে টাচ করলে এসবে মৃত্যুদন্ড হয় না?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কোন বিবাহিত নারী যদি মাসিক অবস্থায় হস্তমৈথুন করে তাহলে কাফফারা দিতে হবে না। তবে বিবাহিত নারীর জন্য হস্তমৈথুন সত্যিই লজ্জার। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 4344 

(২) রোজা অবস্থায় কোন নারী যদি হস্তমৈথুন করে ফেলে, তাহলে কাফফারা দিতে হবে না বরং শুধুমাত্র কাযা করলেই হবে।

(৩) রোজা অবস্থায় যদি কেউ ছোট যেনা তথা গোপনাঙ্গে হাত দেওয়া ইত্যাদি করে, তাহলে তওবা করতে হবে। এক্ষেত্রে কাঁকাফফারা দিতে হবে না।

(৪) বাথরুমে গিয়ে বীর্যপাত করা কখনো কাম্য হতে পারে না। এতে অবশ্যই গোনাহ হবে। 

(৫) আলিঙ্গনের কারণে বউ এর যদি  উত্তেজনাবশত  আঠা জাতীয় কিছু বের হয় তাহলে গোসল ফরজ হবে না। কেননা এটা মযি, শুধুমাত্র বীর্য বের হলেই গোসল ফরয হয়ে থাকে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 1689 

(৬) মাসিক চালাকলীন সময়েই গোসল ফরজ হওয়ার মত কোনো কারণ দেখা গেলে, তখন গোসল করা ফরয হবে না।  বরং একবারে মাসিক শেষ হলে তখন গোসল করা ফরয। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 106865

(৭) 

অবিবাহিত লোকের যিনা বা সেক্স এর শাস্তি হল, একশত বেত্রাঘাত। আর বিবাহিত ব্যক্তিদের যিনা বা সেক্স এর শাস্তি হল মৃত্যুদন্ড।  এগুলো হল, সরাসরি যিনা বা শারিরিক মিলনের শাস্তি। 

সরাসরি যিনা বা শারিরিক মিলন না হলে, তার শাস্তি কাযী সাহেব বা শরয়ী কোর্ট কিংবা পঞ্চায়েত (তথা মুসলমানদের গোত্রীয় বিচার ব্যবস্থা যেখানে উলামা মাশায়েখ ও ন্যয়পরায়ন ব্যক্তিবর্গ থাকবে ) নির্ধারণ করবে।  এটাকে তা’যির বলে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...