আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। গত এপ্রিল মাসের ২৬ তারিখ আমার বিয়ে হয় পারিবারিক ভাবে। বিয়ের পরই আমি বুঝতে পারি ছেলের চরিত্রে সমস্যা আছে। সে বিয়ের চারদিন পরই আমাকে বলে তার বন্ধুর সাথে আমাকে একচেন্জ করে দেখবে তার বন্ধুর বউ কেমন আর আমি কেমন মানে শারীরিক ভাবে কেমন। আরও বলে আমাকে নাকি বিয়ের আগে ফিজিক্যালি চেক করে নেওয়া উচিত ছিল, আমার সামনে অন্য মেয়েদের ছবি জুম করে করে দেখে, আমাকে বলে অন্য মেয়েদের বিয়ে করলে ভালো ছিল, অন্য মেয়েদের দেখলে তার শরীর গরম হয়ে যায়, অন্য মেয়েদের সাথে স্বপ্নে সে সহবাস করে তার স্বপ্ন দোষ হয়। আমি তার থেকে লম্বা এবং ফর্সা। তাও সে আমায় বলে আমি খাটো আমি সুন্দর না। কাবিন দিতে পারবে না বলে সে বাধ্য হয়ে আমার সাথে সংসার করে। আজ দুই মাস হল আমি বাবার বাড়ি এসেছি সে একটি বার আমার খবর পর্যন্ত নেয় নি। উল্টো তার মা বোন আত্মীয় স্বজনদের কাছে আমার নামে মিথ্যা বলে বেড়ায়। এই ৬ মাসে সে আমাকে শুধু সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়েছিল আমার পরীক্ষার যাতায়াত খরচ বাবদ তাও সেটা বিয়ের দুই মাসের মধ্যে। এরপর আর কোনো খরচ ই দেয় নাই। আমিও তার কাছে কোনো কিছু চাই নি কখনো তাও সে বলে আমি লোভী, সবার কাছে বলে বেড়ায় আমি টাকার জন্য নাকি ঝগড়া করি। এখন সে বলে সে আমার কোনো খরচ দিবে না। তার সাথে নরমাল কোনো কথা বললেও সে সেটা তার মা-বোনদের বলে যার কারণে আমি বিনা দোষে ই তাদের কাছে খারাপ হয়ে গেছি। আমি শুধু ই তার শারীরিক চাহিদা এর বাইরে আমার প্রতি তার কোনো ই টান নেই। এর মাঝে আমি কন্সিভ করি। আমার এত অসুস্থতার মাঝে আমাকে ডাক্তার দেখাবে দূরের কথা একটাবার আমার খবরও নেয় নি। এখন যদি আমি বাচ্চাটা রাখি তবে বাচ্চার জন্য আমাকে এই চরিত্রহীন, দ্বায়িত্বহীন লোকের সংসার করতে হবে। এই অবস্থায় হার্টবিট আসার পর বাচ্চাটা নষ্ট করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে? বাধ্য হয়ে ই আজ আমি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছি। আমাকে তাড়াতাড়ি উত্তর জানালে উপকার হয়।
আমার কথায় কোনো ভুল থাকলে ক্ষমা করবেন।

1 Answer

0 votes
by (589,830 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
★তৃতীয় প্রকারের হুকুমঃ
তৃতীয় পদ্ধতি শরীয়ত সম্মত প্রয়োজন ব্যতীত নাজায়েজ ও হারাম।
বিশেষ কিছু কারণে শরীয়ত অনুমোদন প্রদান করে থাকে।
(ক)বর্তমানে কোলে দুধের একটি শিশু রয়েছে,অপরদিকে উক্ত মহিলার গর্ভাশয়ে নতুন সন্তানও উৎপাদিত হচ্ছে। গর্ভের ধরুন দুধ একেবারে শুকিয়ে গেছে। অপরদিকে উক্ত সন্তানকে অন্যকোনো উপায়ে লালনপালন করা যাচ্ছেনা। মায়ের দুধ ব্যতীত অন্যকিছুতে সে মূখই দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় চারমাস হয়নি এমন গর্ভকে গর্ভপাত করা বৈধ রয়েছে।
(খ)কোনো মুসলমান বিজ্ঞ ডাক্তার উক্ত গর্ভবতী মহিলাকে পরিদর্শন করে বলে যে,গর্ভপাত না করলে মহিলার জান বা কোনো অঙ্গ বিনাশের আশঙ্কা রয়েছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/446

لما في الفتاوی الشامیة:
"وفي الذخيرة: لو أرادت إلقاء الماء بعد وصوله إلى الرحم قالوا إن مضت مدة ينفخ فيه الروح لا يباح لها وقبله اختلف المشايخ فيه والنفخ مقدر بمائة وعشرين يوما بالحديث"(كتاب الحظر والإباحة،باب الاستبراء،ج:6،ص:374،ط: سعيد)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
চরিত্রহীন, দ্বায়িত্বহীন লোকের স্ত্রী হিসেবে আপনি  ৪ মাসের পূর্বে গর্ভপাত করাতে পারবেন।কেননা জরুরত অনেক নিষিদ্ধ বস্তুকে হালাল করে দেয়, তবে যদি গর্ভের সন্তানের বয়স ৪ মাস বা তার চেয়ে অধিক হয়ে যায়, তাহলে আর আপনি গর্ভপাত করাতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...