আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ।
আল্লাহ তা'আলার রহমতে আমার এবং আমার স্বামীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান ।
আমার একজন আত্মীয়ের বিয়ের দাওয়াত খেতে আমার মা-বোনের সাথে ঢাকার বাইরে যাবার কথা , আমার স্বামী সাথে যাবে না । উনাকে বারবার রিকোয়েস্ট করা হয়েছে যাবার জন্য, কিন্তু উনি যাবেন না । কয়েকদিন আগে ওনার এই না যাবার বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়েছিল । কিন্তু পরে সব স্বাভাবিক হয়ে গেছে । উনি আমাকে দাওয়াত খেতে যেতে নিষেধ করেন নাই, কিন্তু উনি যাবেন না । আমাকে আমার মা আর বোনের সাথে দাওয়াত খেতে যেতে বলেছেন । আমার বাবাকে ফোন করে বলেছেন যেন আমাকে আমার মা-বোনের সাথে দাওয়াত খেতে নিয়ে যায় । নরমাল ভাবেই বলেছেন । কিন্তু আমার মনে হয় যে আমি না গেলেই উনি খুশি হতেন , হয়তো মনে মনে চাচ্ছেন যেন আমি না যাই, কিন্তু মুখে যেতে মানা করছেন না , মুখে দাওয়াত খেতে যেতে বলছেন ।

এখন ঢাকার বাইরে বিয়ের দাওয়াত খেতে যাচ্ছি, তাই আজকে এটা নিয়ে কথা বলতে বলতে বিভিন্ন কথা বলছিলাম আমার স্বামীর সাথে । আমি দাওয়াত খেতে যাবার আগে আমার স্বামীর জন্য রান্না করে রেখে যাবো দেখে আমি নরমালভাবেই বলেছি যে, আমি তোমার স্ত্রী হিসেবে তোমার জন্য রান্না করে রেখে যাচ্ছি, তুমি স্বামী হিসেবে কি করতেছ ? আমার স্বামী বলেন যে, স্বামী হিসেবে তোমাকে  মুক্ত করে দিচ্ছি দুইদিনের জন্য । একটু থেমেই বলে যে, দুই দিনের জন্যই তো যাচ্ছ, শনিবারই তো আসবা মনে হয় । কথাগুলো বলার সময় উনি একটু থেমে থেমে বলেছেন ,
যেমন , স্বামী হিসেবে তোমাকে মুক্ত করে দিচ্ছি বলার পরে কয়েক সেকেন্ড থেমে বলেছেন দুইদিনের জন্য ।

আমার যতোটা মনে আছে আমি সেভাবে এইখানে প্রশ্ন করার সময় লেখার চেষ্টা করেছি , হয়তো সব কথা হুবহু লিখতে পারি নাই,  কিন্তু যতটা মনে পড়ে আমার স্বামী কথাগুলো এভাবেই আমাকে বলেছিলেন । আমার কোথাও ভুল হয়ে থাকলে যেন আল্লাহ তা'আলা আমাকে মাফ করে দেন, আমিন ।

তখন আমার স্বামী আমাকে ঐসব কথা বলার সময় উনার তালাকের নিয়ত ছিল কিনা জানি না । আমি উনাকে জিজ্ঞেস করি নাই যে উনি কি তালাকের নিয়তে এইসব কথা বলেছেন কিনা । উনি মনে মনে রাগ করে বা অভিমান করে এসব কথা বলেছেন কিনা সেটাও আমি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত না । আমি উনাকে জিজ্ঞেস করি নাই যে উনি কোন নিয়তে কেন আমাকে এইসব কথা বলেছেন ।

এসবের কারনে কি কোনো সমস্যা হয়েছে ? আমি বিষয়টি নিয়ে খুবই চিন্তিত আছি ।

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 

জবাব: 

https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.রাগের অবস্থাঃ-রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী))(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

'গার্জিয়ানকে ডাকো, তোর আর সাথে সংসার করবো না'এরকম কথাবার্তা কেনায়া তালাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরা এমন কথা স্বামী তালাকের নিয়তে বললে তালাকে বায়েন বায়েন পতিত হবে। এক তালাকের নিয়ত থাকলে এক তালাক,আর তিন তালাকের নিয়ত থাকলে তিন তালাক পতিত হবে। আ.র ভয়প্রদর্শনের নিয়তে বললে অবশ্যই তালাক পতিত হবে না(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৯/৪৫১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

আপনি অমূলক সন্দেহের আছেন। এমন জিনিষ নিয়ে টেনশন করছেন, যার আদেশ শরীয়ত দেয়নি।স্বামী-স্ত্রী কারো স্পষ্টভাবে মনে না থাকলে তালাক হবে না।কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে স্বামীর নিয়ত না থাকলে তালাক হবে না।নিয়ত ছিল কি না? সেটা স্বামীর কথার দ্বারাই বুঝা যাবে।এক্ষেত্রে স্বামী মিথ্যা বললে স্ত্রীর কোনো গোনাহ হবে না। স্ত্রীর জন্য সংসার করা জায়েয হবে।

সুতরাং প্রশ্নলিখিত ছুরতে উক্ত কথাগুলো বলার /লিখার দ্বারা তালাক পতিত হবে না 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...