ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻄﻴﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻠﻴﻄﻌﻪ ﻭﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻌﺼﻴﻪ ﻓﻼ ﻳﻌﺼﻪ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর অানুগত্যশীল কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে,সে যেন তা পূর্ণ করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যতা মূলক কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে, সে যেন তা পূর্ণ না করে।(সহীহ বোখারী-৬৩১৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/375
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনার স্ত্রী যদি আল্লাহর নামে কসম করে নিয়ত না করে থাকে, অথবা নিজের উপর ওয়াজিব না করে, তাহলে সেটা মান্নত হবে না। বরং সাধারণ নিয়ত হবে। যেহেতু আপনার স্ত্রী আল্লাহর নামে কসম করে নিয়ত করেনি বা নিজের উপর ওয়াজিব করেনি, তাই সেটা আপনার স্ত্রীর উপর ওয়াজিব হয়নি। এবং স্বামী হিসেবে আপনি তার তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে দিতে পারবেন না। তবে সাধারণ নফল হিসেবে আদায় করে দিতে পারবেন।
(২)
বিতির নামাযের পর থেকে নিয়ে ফজরের ওয়াক্ত শুরুর পূর্ব পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাযের ওয়াক্ত। তাহাজ্জুদ নামাযের নিয়তে দু'রাকাত দু'রাকাত করে আট বা এর চেয়ে অধিক রাকাত আপনি পড়তে পারবেন।
(৩)
মসজিদে মিষ্টি দেওয়ার নিয়ত করার পর মিষ্টির পরিবর্তে খেজুর বা টাকা দিলেও তা আদায় হবে।