আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এমন দুটি প্রশ্ন রয়েছে। একটু বিস্তারিত জানাবেন ইনশাআল্লাহ

১. আমার দীর্ঘদিন যাবত একটি সমস্যা হচ্ছে (১বছর+)। আমি প্রশ্রাব করার পরও অন্তত ২০/২৫ মিনিট প্রশ্রাবের রাস্তা দিয়ে সামান্য পরিমাণে প্রশ্রাব বের হতে থাকে। এটাকে ড্রিবলিং বলা হয়। এটি শুধু প্রশ্রাবের ক্ষেত্রে না, এই রাস্তা দিয়ে যেকোনো কিছু বের হলেই তা হয়। এরজন্য প্রায়ই নামাজ কাযা হচ্ছে বা জামাত মিস হচ্ছে, বা বাহিরে থাকলেও প্রশ্রাব করতে পারি না, করলে কাপড়ও নষ্ট হয়। আমি ডাক্তার দেখিয়েছি, উনি বলেছেন এখানে কোনো সমস্যা নেই কিন্তু ঔষধ দিয়েছিলেন ১ মাস খেতে, খাওয়ার পরও ঠিক হয় নি। এখন ভাবছি, আরেকটি ভালো ডাক্তার দেখাব। আমি যতই সতর্কতা বা আগেই করে ফেলি না কেনো, নামাজের এমন সিচুয়েশনে পরতেই হয় যখন হয় ড্রিবলিং হচ্ছে অথবা কাপড় অপবিত্র হয়ে গিয়েছে।সতর্কতার পরও অনেক সময় বাসায় পরতে হয় বা মাঝে মাঝে কাযাও হয় বা এমন সময় কি করণীয় যখন বেশি প্রশ্রাবের চাপ আসে, কিন্তু এখন করলে জামাতের সালাত আদায় করতে পারব না অথবা নামাজ কাযা হবে? অথবা বাসার বাহিরে দীর্ঘক্ষণ থাকলে এমন সিচুয়েশনে কি করণীয়, একটু বিস্তারিত জানাবেন।

২. আমার পূর্বে হস্তমৈথুনের অভ্যাস ছিলো। আলহামদুলিল্লাহ আগের মতো নেই। কিন্তু হটাৎ হয়ে যায়। তার আগে আমি আল্লাহকে ভয় করে, খুবই কষ্ট করে ধৈর্য ধরি, অনেক কষ্ট হবার পরও না পেরে উঠলে করা হয়ে যায়।
প্রশ্ন হচ্ছে করে ফেলার পর, পূর্বে যে আল্লাহর জন্য কষ্ট করে ধৈর্য ধরেছি, সেইগুলোর সাওয়াবগুলো কি নষ্ট হয়ে যাবে?
ধন্যবাদ।
by
ভাই আপনি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করুন। আমারও পেশাব জনিত সমস্যা ছিল। পবিত্রতা অর্জনে সময়ও অনেক লাগত। এখন কম লাগে

1 Answer

0 votes
by (589,740 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আপনার প্রশ্ন থেকে আমরা যা বুঝেছি,আপনার এ বিষয়টা হয়তো মনস্তাত্ত্বিক। এটা শয়তানের পক্ষ্য থেকে ওয়াসওয়াসা।যাতে করে শয়তান আপনাকে কষ্টে নিপতিত করে।এবং শেষ পর্যন্ত ইবাদতকে আপনার নিকট অসহনীয় ও কষ্টকর করে তুলতে পারে।সুতরাং এমন পর্যায়ের কাউকে আবার ওজু করার নির্দেশ দেয়া হবে না।এবং খুজতে আদেশ করা হবে না যে,কিছু বের হল কি না? বরং তার উপর দায়িত্ব হল সে প্রথমে ইস্তেঞ্জা করবে,তারপর লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দিবে।যাতেকরে তার সামনে ওয়াসওয়াসার দরজা সমূলে ধংশ হয়ে যায়।অতঃপর সে অজু করবে এবং নামায পড়বে।সে শয়তানের প্ররোচনার দিকে ভ্রুক্ষেপ করবে না যে,কিছু বের হয়েছে কি না।

কিন্তু যদি কারো ঈয়াকিন বা পূর্ণ বিশ্বাস হয় যে,কিছু বের হয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় সে আবার অজু করতে হবে।সেজন্য আপনি রোমাল বা টিস্যু ইত্যাদি লজ্জাস্থানে রেখে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4271


(২)
বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা রশিদ আহমদ রাহ বলেন,
হস্তমৈথুন সম্পূর্ণ  হারাম ও নাজায়েয । বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/4344

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দীর্ঘদিন হস্তমৈথুন থেকে বেঁচে থাকার পর পূনরায় শয়তানের ধোকায় পরে কেউ যদি হস্তমৈথুন করে নেয়, তাহলে পূর্বে যে আল্লাহর জন্য কষ্ট করে ধৈর্য ধরেছিলো, সেইগুলোর সাওয়াব অবশ্যই নষ্ট হবে না। কিন্তু পরবর্তীতে হস্তমৈথুন করাটাও উচিৎ হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...