আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
ago in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ হুজুর।
১)আমার সামনে একটা লম্বা জার্নি করে মায়ের বাসায় যেতে হবে। বেশ রিস্কের জার্নি। এখন না পরে যাব সে নিয়ে কথা হচ্ছিল।তো, আম্মু বলে, আল্লাহর নাম নিয়ে তাহলে সামনের মাসে আয়। "আল্লহর নাম" নিয়ে বলার সাথে সাথে আমি একটু ভেংচির মত "হুউ" এরকম আওয়াজ করি। সেটা আল্লাহর নামকে ভেংচি কাটতে চাইনি নাউযুবিল্লাহ শুধু আম্মুর কথার ভংগি এবং আগেই জানতাম সামনের মাসের কথাই বলবে, আম্মুর কথার ভংগি আগে থেকেই মুখস্ত তাই ওরকম আওয়াজ করেছি। আর সামনের মাস মানে আরও দেরি তাই মন খারাপ থাকায়ও এমনটা আসতে পারে। এখানে কি ঈমান ভংগের কিছু হয়েছে?

২) ১নং ঘটনার মত এরকম মাঝে মাঝে কারও কথায় ইসলামিক শব্দের সময় এরকম ভেংচি আওয়াজ বা হাসি-তাচ্ছিল্য বের হয়ে যায়,সেটা বক্তার বলার ভংগি দেখে,অনেকেই আছে ইসলাম সেভাবে মেনে চলে না কিন্তু মুখে ফটর ফটর ইসলামিক কথা,শব্দ বলে তখন তার প্রতি একটু কেমন ভাব লাগে। মোটেও ইসলামিক কিছুকে কটাক্ষ করার একটু ইচ্ছাও নেই,আল্লাহ মাফ করুন। এরকমভাবে ঈমান চলে যায়?

৩) মাঝে মাঝে অনেক কথা শুনি। যেমন-আম্মু বলে গর্ভবতী মায়ের চেহারা কালো হয়ে গেলে ছেলে হয়। এখন মেডিকেলের পরিভাষায় এমন কোনো সিম্পটম আছে কিনা যে ছেলে বাচ্চার জন্য কোনো রাসায়নিক বা হরমোনাল ইত্যাদি কারণে চেহারার রঙ কালো হতে পারে তা আমার জানা নেই। আমি আপাতত তাই এটা বিশ্বাসও করিনা অন্ধভাবে,আল্লাহর ইচ্ছা সব এটা মানি। তো,আমি যদি এরকম স্বামীকে বলি, "চেহারা কালো হয়ে গেলে নাকি ছেলে হয়"। "নাকি" দিয়ে বলেছি অর্থাৎ এরকম হয় বলে শোনা যায় এটা বুঝিয়েছি শুধু। এরকম হবেই যে নিশ্চিত তা বলিনি। শুনেছি দেখে শুনিয়েছি জাস্ট। এরকম কথা দ্বারা ঈমান চলে যায়?

৪)৩নং এর মত এরকম আরও শোনা কথা কাউকে যদি শোনাই,"এরকম হলে/করলে নাকি এরকম হয়", কিন্তু নিজে মনেপ্রাণে বিশ্বাস না করি,শুধু শুনেছি বলে শোনালাম,যে এরকম বলে,শোনা যায়-তাহলে কি ঈমান চলে যায়?

1 Answer

0 votes
ago by (578,370 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عَنْ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ".
আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত। আমি ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।]- (সহীহ বোখারী-১)


উসূলে ফিকহের মূলনীতি হলো,
الأمور بمقاصدها-(شرح المجلة لسليم رستم باز)
প্রত্যেক কাজ তার উদ্দেশ্যর উপর নির্ভরশীল।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। সবগুলো প্রশ্নের উত্তর প্রায় একই।ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...