আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ হুজুর।
১)আমার সামনে একটা লম্বা জার্নি করে মায়ের বাসায় যেতে হবে। বেশ রিস্কের জার্নি। এখন না পরে যাব সে নিয়ে কথা হচ্ছিল।তো, আম্মু বলে, আল্লাহর নাম নিয়ে তাহলে সামনের মাসে আয়। "আল্লহর নাম" নিয়ে বলার সাথে সাথে আমি একটু ভেংচির মত "হুউ" এরকম আওয়াজ করি। সেটা আল্লাহর নামকে ভেংচি কাটতে চাইনি নাউযুবিল্লাহ শুধু আম্মুর কথার ভংগি এবং আগেই জানতাম সামনের মাসের কথাই বলবে, আম্মুর কথার ভংগি আগে থেকেই মুখস্ত তাই ওরকম আওয়াজ করেছি। আর সামনের মাস মানে আরও দেরি তাই মন খারাপ থাকায়ও এমনটা আসতে পারে। এখানে কি ঈমান ভংগের কিছু হয়েছে?
২) ১নং ঘটনার মত এরকম মাঝে মাঝে কারও কথায় ইসলামিক শব্দের সময় এরকম ভেংচি আওয়াজ বা হাসি-তাচ্ছিল্য বের হয়ে যায়,সেটা বক্তার বলার ভংগি দেখে,অনেকেই আছে ইসলাম সেভাবে মেনে চলে না কিন্তু মুখে ফটর ফটর ইসলামিক কথা,শব্দ বলে তখন তার প্রতি একটু কেমন ভাব লাগে। মোটেও ইসলামিক কিছুকে কটাক্ষ করার একটু ইচ্ছাও নেই,আল্লাহ মাফ করুন। এরকমভাবে ঈমান চলে যায়?
৩) মাঝে মাঝে অনেক কথা শুনি। যেমন-আম্মু বলে গর্ভবতী মায়ের চেহারা কালো হয়ে গেলে ছেলে হয়। এখন মেডিকেলের পরিভাষায় এমন কোনো সিম্পটম আছে কিনা যে ছেলে বাচ্চার জন্য কোনো রাসায়নিক বা হরমোনাল ইত্যাদি কারণে চেহারার রঙ কালো হতে পারে তা আমার জানা নেই। আমি আপাতত তাই এটা বিশ্বাসও করিনা অন্ধভাবে,আল্লাহর ইচ্ছা সব এটা মানি। তো,আমি যদি এরকম স্বামীকে বলি, "চেহারা কালো হয়ে গেলে নাকি ছেলে হয়"। "নাকি" দিয়ে বলেছি অর্থাৎ এরকম হয় বলে শোনা যায় এটা বুঝিয়েছি শুধু। এরকম হবেই যে নিশ্চিত তা বলিনি। শুনেছি দেখে শুনিয়েছি জাস্ট। এরকম কথা দ্বারা ঈমান চলে যায়?
৪)৩নং এর মত এরকম আরও শোনা কথা কাউকে যদি শোনাই,"এরকম হলে/করলে নাকি এরকম হয়", কিন্তু নিজে মনেপ্রাণে বিশ্বাস না করি,শুধু শুনেছি বলে শোনালাম,যে এরকম বলে,শোনা যায়-তাহলে কি ঈমান চলে যায়?