আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (47 points)
১.সুরা লোকমানের আয়াত ৩৪ এ কোন নাফস জানেনা আগামিকাল সে কি অর্জন করবে,এখানে নাফস বলতে কি বোঝানো হয়েছে?শুধু মানুষ নাকি সৃস্টিকুল?গায়েব বলতে কি বোঝায়?

২.আমার এক ফুফুর বাসা তার খালার বাসার পাশে। আমার ফুফু ওই বাসায় গিয়ে থাকলে তার স্বামী বেশি একটা পছন্দ করেনা।তাই তিনি তার স্বামীকে না জানিয়ে খালার বাসায় বেরাতে যায়।এতে কি আমার ফুফুর গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সুরা লুকমানের ৩৪ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِنَّ اللّٰهَ عِنۡدَهٗ عِلۡمُ السَّاعَۃِ ۚ وَ یُنَزِّلُ الۡغَیۡثَ ۚ وَ یَعۡلَمُ مَا فِی الۡاَرۡحَامِ ؕ وَ مَا تَدۡرِیۡ نَفۡسٌ مَّاذَا تَکۡسِبُ غَدًا ؕ وَ مَا تَدۡرِیۡ نَفۡسٌۢ بِاَیِّ اَرۡضٍ تَمُوۡتُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیۡمٌ خَبِیۡرٌ ﴿۳۴﴾

নিশ্চয় আল্লাহর নিকট কিয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। আর তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং জরায়ূতে যা আছে, তা তিনি জানেন। আর কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন্ স্থানে সে মারা যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত। 

এই আয়াতের ব্যখ্যায় তাফসীরে আহসানুল বয়ানে উল্লেখ রয়েছেঃ

মানুষ আগামী কাল কি করবে? তা দ্বীনী বিষয় হোক বা পার্থিব বিষয়, কেউ আগামী কালের বিষয়ে জ্ঞান রাখে না যে, আগামী কাল পর্যন্ত তার জীবন থাকবে কি না? আর যদি থাকে, তাহলে সে তাতে কি আমল করবে? 

মৃত্যু কোথায় হবে? ঘরে না বাইরে, স্বদেশে না বিদেশে, যুবক অবস্থায় না বৃদ্ধাবস্থায়, নিজের আশা ও চাহিদা পূর্ণ হওয়ার পর নাকি তার পূর্বে? এ সব কেউ জানে না।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
 যদিও সৃষ্টিকুলের কেউই জানেনা যে কখন কোথায় তার মৃত্যু হবে,তবে এই আয়াতে এখানে মানুষই উদ্দেশ্য। 
,

غَيْب
[গাইব] শব্দের অর্থঃ অনুপস্থিতি.অদৃশ্য.লুক্কায়িত।
.
غَيْب ج غُيُوب
[গাইব] শব্দের অর্থঃ  
গুপ্ত রহস্য,গোপন তত্ত্ব,গায়েব,নিচু ভূমি।
.
غَيْبِيّ
[গাইবী] শব্দের অর্থঃ  
অদৃশ্য,লুক্কায়িত,গোপন,গুপ্ত,গায়েবী।
,
সুতরাং গায়েব দ্বারা এখানে উদ্দেশ্য হলো অদৃশ্যের জ্ঞ্যান।   
.
আরো জানুনঃ
,
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

الترغيب والترهيب للمنذري (3/ 37):
"وروي عن ابن عباس رضي الله عنهما أن امرأة من خثعم أتت رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقالت: يا رسول الله! أخبرني ما حق الزوج على الزوجة؟؛ فإني امرأة أيم فإن استطعت وإلا جلست أيماً! قال: فإن حق الزوج على زوجته إن سألها نفسها وهي على ظهر قتب أن لا تمنعه نفسها، ومن حق الزوج على الزوجة أن لا تصوم تطوعاً إلا بإذنه فإن فعلت جاعت وعطشت ولا يقبل منها، ولا تخرج من بيتها إلا بإذنه فإن فعلت لعنتها ملائكة السماء وملائكة الرحمة وملائكة العذاب حتى ترجع، قالت: لا جرم ولا أتزوج أبداً". رواه الطبراني".

সারমর্মঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর হক হলো তার অনুমতি ব্যাতিত নফল রোযা রাখবেনা।
তার অনুমতি ব্যাতিত ঘর থেকে বের হবেনা।
যদি এমন করে,তাহলে আসমানের ফেরেশতা,রহমতের ফেরেশতা,আযাবের ফেরেশতাদের লা'নত হবে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত।    

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (3/ 145):
"فلا تخرج إلا لحق لها أو عليها  أو لزيارة أبويها كل جمعة مرة أو المحارم كل سنة، ولكونها قابلةً أو غاسلةً لا فيما عدا ذلك.
(قوله: فيما عدا ذلك) عبارة الفتح: وأما عدا ذلك من زيارة الأجانب وعيادتهم والوليمة لا يأذن لها ولا تخرج..." إلخ
সারমর্মঃ তবে নিজ শরয়ী  হকের কারন্র বের হতে পারবে,অথবা প্রতি জুম'আয় নিন বাবা মার সাথে দেখা করার জন্য,অথবা মাহরামদের সাথে প্রতি বছরে সাক্ষাৎ এর জন্য বের হতে পারবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীর অনুমতি ব্যাতিত উক্ত বাসায় যাওয়া গুনাহ হবে।
তবে বিশেষ প্রয়োজনে ২/১ বার যেতে পারবে।
সব সময় নয়।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...