আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম৷ পাত্র সবদিকেই ভালো নামায কালামী,  ঠান্ডা মেজাজী, সৎ আছে। কিন্তু যে জব করে সেটায় সুদ আছে৷ পাত্র নিজে বলেছে পাত্রীর ভাইয়ের কাছে। সে বলছে, বিসিএস এর ভাইবা দিছে এজন্য  ১ বছর দেরী করবে এরপর এটা হলে এটায় যাবে  না হলেও অন্য চাকরিতে ঢুকে যাবে। সুদ আছে জানার  পরও এখন কি পাত্রীর জন্য বিয়ে করা ঠিক হবে যেহেতু ছেলে সৎ আছে? পাত্রী নামাজ,  পর্দা করে। পাত্রীর বয়স ২২। সে জেনারেলে লাইনে পড়ে। আল্লাহর রহমতে হেদায়েত পায়।  আলহামদুলিল্লাহ ইসলাম মেনে চলার চেষ্টা করে। পরিবার থেকে ছেলে দেখছে। কিন্তু ওরকম ছেলে পাচ্ছে নাহ।  একদিক হলে অন্যদিক হচ্ছে নাহ৷ বয়সও হয়ে যাচ্ছে।  এমতাবস্থায় তার কি করা উচিত।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ব্যাংকে চাকুরীজীবীরা সাধারণতঃ সুদী কারবারের সাথে জড়িত। আর সুদের সাথে জড়িত ব্যক্তির সাথে আত্মীয় করা থেকে প্রতিটি মুমিনেরই বিরত থাকা উচিত।
,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا خَطَبَ إِلَيْكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِينَهُ وَخُلُقَهُ فَزَوِّجُوهُ، إِلاَّ تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الأَرْضِ، وَفَسَادٌ عَرِيضٌ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কাছে এমন লোক বিবাহের প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমরা পছন্দ কর, তখন বিবাহ দিয়ে দাও [মাল-সম্পদের দিকে লক্ষ্য করো না]। যদি তা না কর তবে দেশে ফিতনা ও ব্যাপক ফাসাদ দেখা দেবে। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১০৮৪, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৯৬৭]

সুদী প্রতিষ্ঠানের কোন কোন সেক্টরে চাকুরী জায়েজ নেই, বিস্তারিত  জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আপনি উক্ত প্রস্তাবে রাজী হতে পারবেন।
তবে সুদী কারবারে জড়িত সকল প্রকার চাকুরী হারাম।আর হারাম মাল দ্বারা ভালো কিছু আশা করা যায়না। 

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য  যথাসম্ভব এমন বিবাহে রাজি না হওয়াই ভালো।

তবে যদি পাত্র দ্রুত অন্য চাকরি নিতে চায় বা যেকোনোভাবে হালাল পথে ইনকাম করতে রাজী হয়,অথবা এছাড়া আপনার নিকট আরো কোনো অপশন না থাকে,বা আপনাকে পরিবারের চাপে বিবাহ বসতেই হয়, তাহলে আপনি তার সাথে বিবাহ বসতে পারবেন,তার নিকট থেকে ভরণপোষণ নিতে পারবেন।

স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামীর।সে যেখান থেকেই ভরণপোষণ সংগ্রহ করুক,সেটা স্ত্রী গ্রহন করতে পারবে,এতে হারাম মাল হলে গুনাহ শুধুমাত্র স্বামীরই হবে। স্ত্রীর নয়।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...