আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ সবল কোনো ব্যক্তির শারীরিক মানসিকভাবে যাদের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে বা প্রতিবন্ধী অথবা কোনো জটিল অসুস্থতা রয়েছে এমন কাউকে বিয়ে করার নিয়ত, দুয়া আর প্রচেষ্টা কি করা উচিত? আল্লাহর কাছে দুনিয়া আখিরাতে সম্মানিত, সওয়াব আর প্রতিদানের আশায়? মানুষ হিসেবে আমরা ভালো আর সুন্দর প্রিয়। মন থেকে ভালোটাই আসে। কিন্তু প্রবৃত্তির চাওয়াটাকে প্রাধান্য না দিয়ে এরকম কাউকে জীবন সঙ্গী করার নিয়ত বা দুয়া আর প্রচেষ্টা করা উচিত কিনা? মুসলিম হিসেবে এক্ষেত্রে ইসলামি দৃষ্টিকোণ আসলে কেমন হওয়া উচিত?  বা আল্লাহর কাছে এমন একটা বিষয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য চাইলে প্রচেষ্টা করলে দুয়ার আদবের খেলাফ হবে কিনা? নাকি আমাদের সবসময় ভালোটাই চাওয়া উচিত উস্তায? নিজের বা অন্য কারো জন্য চাইলে ভাবলে সবসময় ভালোটাই আমরা চাই। কিন্তু এক্ষেত্রে কাউকে দয়া করেও না আবার এরকম কাউকেও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিয়ে করতে চাওয়া এটা প্রকাশের মাধ্যমেও  দ্বীনদারিতার অহংকারও নয়। কিন্তু আমি যদি বুঝি আমার বিবেক যদি বলে এরকম ভাইবোনদের বিয়ের জন্য এগিয়ে আসা উচিত সেক্ষেত্রে আমার কি আগে নিজের জন্য চিন্তা করা উচিত নয়? আমরা তো আমাদের নিজের সন্তানদের জন্যও কখনও খারাপটা ভাবি না। আর আল্লাহর কাছে আমার সন্তান সুস্থ স্বাভাবিক ভালো হবে এটাই মনের একান্ত চাওয়া থাকে। কিংবা আমি যদি আমার সুস্থ সবল সন্তানের বিয়ের জন্যও চিন্তা করি আমার মনে না চাইলেও কি এরকম ভাবা উচিত বা তাকে বিয়ের নসীহার ক্ষেত্রে আমার কি এমন বলা উচিত। বা আমার সন্তান অসুস্থ হলে আমি কি তার সাথে ভালো কারো বিয়ের কথা ভাবতাম না। উস্তায এসব চিন্তা ভাবনার সীমারেখা আসলে কতটুকু কেমন হওয়া উচিত মুসলিম হিসেবে? নিয়াত, দুয়া আমল মানে প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
এভাবে কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে কামনা করে দোয়া করা উচিত নয়। 

উচিত হচ্ছে, আল্লাহর কাছে উত্তমটা চাওয়া। আল্লাহর পক্ষে আপনার ধারণা থেকেও উত্তম জীবনসঙ্গী দেয়া কোন বিষয়ই না। 

তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে দোয়া করা যাবে যে, "হে আল্লাহ! যদি সে আমার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে তাকে আমার জন্য জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করুন। আর যদি সে আমার জন্য কল্যাণকর না হয়,সেক্ষেত্রে যে ব্যাক্তি আমার জন্য কল্যাণকর, তাকে আমার জন্য জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করুন।"

কেননা, অনেক সময় এমন হয়, আজ যে জিনিস পাওয়ার জন্য আমরা উদগ্রীব থাকি, দু’ দিন পরই তা পেয়েছি বলে উৎকণ্ঠিত হই।

আবার আজ যা থেকে দূরে সরে থাকার ব্যাপারে চেষ্টিত থাকি, কয়েক দিন পর তা পেয়েছি বলে আনন্দিত হই। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ

পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। (সূরা বাকারা ২১৬)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...