আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (6 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম, শ্বশুরবাড়ির কুরবানীর গোশতে কি ছেলের বউদের কোনো হক আছে? ছেলে কুরবানী দেয়না সেই হিসাবে ছেলে যদি হকদার থাকে তাহলে ছেলের বউও কি হকদার হবে? ছেলের বউকে কুরবানীর গোশত না দিলে কি গুনাহগার হবে?
আমার নিকটবর্তী এক আপুর শ্বশুরবাড়িতে কোনো কুরবানীতেই তার জন্য মাংস রাখা হয়না।তার মেয়ের জামাইদের জন্য রাখে কিন্তু ছেলের বউদের জন্য একটুও মাংস রাখেনা।
closed

1 Answer

+1 vote
by (583,020 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/99669/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
কুরবানীর গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজে খাওয়া,এক ভাগ গরিব মিসকিন,আরেক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে দেয়া মুস্তাহাব।

তবে তিনভাগ না করে পুরো গোশত বা অধিকাংশ গোশত নিজে খাওয়াও জায়েজ আছে।
কেননা তিন ভাগ করা এটি আবশ্যকীয় বিধান নয়।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, 

فَكُلُوۡا مِنۡهَا وَ اَطۡعِمُوا الۡبَآئِسَ الۡفَقِیۡرَ ﴿۫۲۸﴾

‘তোমরা খাও এবং অভাবগ্রস্ত দরিদ্র লোকদের খাওয়াও’ (হজ্জ ২৮)। 

তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা নিজেরা খাও, যারা চায় না তাদের খাওয়াও এবং যারা নিজেদের প্রয়োজন পেশ করে তাদের খাওয়াও’ (হজ্জ ৩৬)। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ وَابْنِ نُمَيْرٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، - وَهُوَ ضِرَارُ بْنُ مُرَّةَ - عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الأَضَاحِيِّ فَوْقَ ثَلاَثٍ فَأَمْسِكُوا مَا بَدَا لَكُمْ وَنَهَيْتُكُمْ عَنِ النَّبِيذِ إِلاَّ فِي سِقَاءٍ فَاشْرَبُوا فِي الأَسْقِيَةِ كُلِّهَا وَلاَ تَشْرَبُوا مُسْكِرًا "

আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) [শব্দগুলোর আবূ বাকর ও ইবনু নুমায়র এর] ... ইবনু বুরায়দাহ (রহঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বুরায়দাহ ইবনু হুসায়ব ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে কবর বিয়ারাত করতে নিষেধ করতাম। (এখন অনুমতি দিচ্ছি) তোমরা কবর যিয়ারাত করতে পার। আমি ইতোপূর্বে তিনদিনের বেশী কুরবানী গোশত রাখার ব্যাপারে তোমাদেরকে নিষেধ করতাম। এখন তোমাদের যতদিন ইচ্ছা রাখতে পার। এছাড়া আমি তোমাদেরকে পানির পাত্রে নবীয তৈরি করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা যে কোন পানির পাত্রে তা তৈরি করতে পার। তবে নেশার বস্তু (মাদকদ্রব্য) পান করো না।

(মুসলিম শরীফ ২১৫০.ইসলামী ফাউন্ডেশন ২১২৯, ইসলামীক সেন্টার ২১৩২)

ইবনু মাসঊদ (রাঃ) কুরবানীর গোশত তিনভাগ করে একভাগ নিজেরা খেতেন, একভাগ যাকে চাইতেন তাকে খাওয়াতেন এবং একভাগ ফকীর-মিসকীনকে দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর কুরবানীর গোশত বন্টন সম্পর্কে বলেন যে, তিনি একভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন, একভাগ গরীব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং একভাগ সায়েল-ফকীরদের দিতেন। 
(ইরওয়া হা/১১৬০)

ইমাম আহমাদ বলেন: আমাদের অভিমত হল আব্দুল্লাহ্ বিন আব্বাস (রাঃ) এর হাদিস: "সে নিজে এক তৃতীয়াংশ খাবে, এক তৃতীয়াংশ খাওয়াবে (যে চায়); আর এক তৃতীয়াংশ মিসকীনদেরকে দান করবে।" হাদিসটি আবু মুসা আল-ইসফাহানি "আল-ওয়াযায়িফ" নামক গ্রন্থে বর্ণনা করার পর বলেন: এটি হাসান হাদিস এবং ইবনে মাসউদ (রাঃ) ও ইবনে উমর (রাঃ) এর অভিমত। সাহাবীদের মধ্যে অন্য কেউ এ দুইজনের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন মর্মে জানা যায় না।[আল-মুগনী (৮/৬৩২)]

★গরু/মহিষে যে কয়জন শরিক হয়ে কুরবানী দিবে,গোশত সকলের মাঝে অংশ হিসেবে সমান ভাবে ওযন করে আগে ভাগ করে দিতে হবে।
এটি আবশ্যক। 

তারপর তারা প্রত্যেকে তাদের গোশত বুঝে নেয়ার পর তারা এক ভাগ নিজের জন্য,এক ভাগ গরিব মিসকিন দের জন্য,আরেক ভাগ আত্মীয়স্বজনদেরকে দেয়ার জন্য গোশত তিন ভাগ করতে পারে।

এটি মুস্তাহাব,তবে তাহা কোনোভাবেই কুরবানীদাতাদের উপর ওয়াজিব বা আবশ্যকীয় নয়।
এমনটি না করলে কোনো গুনাহ হবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আত্মীয়ের ভাগ হিসেবে ছেলে/ছেলের অবর্তমানে তার স্ত্রী কুরবানীর গোশতের ভাগ পেতে পারে।
তবে এটি কোনো হকের বিষয় নয় যে দিতেই হবে।

এটা সম্পূর্ণই কুরবানী দাতার ইখতিয়ার। 
সে চাইলে দিতেও পারে,চাইলে নাও দিতে পারে।

তবে আত্মীয়ের ভাগ হতে তাদেরকেও গোশত দেয়াটা উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...