আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (23 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

আমার বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর চলছে। আমার একটা মেয়ে রয়েছে তার বয়স তিন বছর নয় মাস চলছে। আমার স্বামী বাহিরের দেশে গিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন বছর। তখন থেকেই ওর সাথে আমার সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়। আমার পক্ষে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করা সম্ভব হয়নি। জুলুমের শিকার হয়েছিলাম সেখানে। গত দেড় বছর আমার স্বামীর সাথে কোন যোগাযোগ নেই সেও করে না আমিও করি না। এর আগেও সে এমন করেছিল ৯ মাস কথা বলেনি। এখন আবার করছে।এজন্য আমার ফ্যামিলি থেকে বলা হয়েছে যে আমি যেন এ ব্যাপারে একটু স্ট্রিক্ট হই। আমি যেন তার কাছে ধরা না দেই। তার বাসার জন্য যাওয়ার জন্য যেই পরিবেশ দরকার অথবা যে দায়িত্ব নেয়া দরকার সে তার কোনটাই করতে রাজি নয়। সে চায় ওর ফ্যামিলি যদি আমাকে মেরেও ফেলে তবুও আমি সেখানে থাকি। দেড় বছর সে ভালোই ছিল কিন্তু বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই মূলত এমন। সে মুখেও আমাকে কিছু বলে নাই এবং কোন লেটার ও পাঠায়নি। যাইহোক আমি আশাবাদী আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি আমার দোয়ার বদলেতে আল্লাহ যদি ওকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেন। আমার জীবনে নতুন কিছু করার ইচ্ছে নেই আসলে। আমার একটা সন্তান হয়ে গেছে আমি তাকে নিয়ে এখন ফিকির করছি।

এই মুহূর্তে আমার নিজের খরচ,মেয়ের খরচ চালাতে আমার পরিবার হিমশিম খাচ্ছে। যেভাবেই হোক আমাকে কিছু একটা করতে হবে। আমি ফ্রী মিক্সিং এ গিয়ে চাকরি করতে চাই না। বাসায় বসেই বিভিন্ন হাতের কাজ সহ কিছু অনলাইন বিজনেস করার চেষ্টা করছি।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে,

১) আমার কি আমার স্বামীর পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়াটা ঠিক হবে? সবকিছু মিটমাট করে? সেখানে গেলে আমাকে জুলুমের শিকার হতে হবে ক্ষেত্রে আমি কি করতে পারি?

২) নাকি আমি যেভাবে চলছে সেভাবেই থাকবো! নিজের মতো করে,মেয়ের দায়িত্ব একাই সামলাবো?
৩) এই যে দীর্ঘ সময় আমার স্বামীর সাথে আমার যোগাযোগ নেই এক্ষেত্রে আমাদের কি ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে?

সর্বোপরি মেহেরবানী করে আমাকে বলুন এই মুহূর্তে আমার করনীয় কী?!

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

https://ifatwa.info/38201/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِغَيْرِ اللهِ لأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَالَّذِى
نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لاَ تُؤَدِّى الْمَرْأَةُ حَقَّ رَبِّهَا حَتَّى تُؤَدِّىَ حَقَّ زَوْجِهَا وَلَوْ سَأَلَهَا نَفْسَهَا وَهِىَ عَلَى قَتَبٍ لَمْ تَمْنَعْهُ-

“যদি আমি কাউকে নির্দেশ দিতাম আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে সিজদা করার, তাহ’লে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করার জন্য।ঐ সত্তার শপথ করে বলছি যার হাতে আমার জীবন, মহিলারা ঐ পর্যন্ত আল্লাহর হক আদায় করতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে স্বামীর হক আদায় না করে, এমনকি স্বামী যদি যাত্রা পথে ঘোড়ার পৃষ্ঠেও তাকেও আহবান করে তখনও তাকে বাধা না দেয়।” (ইবনে মাজাহ হা/১৮৫৩; সহীহাহ হা/১২০৩।)

ইফকের ঘটনায় মা আয়েশা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট তার বাবা-মার কাছে যাওয়ার অনুমতি চাওয়ার হাদিস:
তিনি বলেন:
أتأذن لي أن آتي أبوي

“(হে আল্লাহর রাসূল,) আপনি কি আমাকে আমার বাবা-মার কাছে যাওয়ার অনুমতি দিবেন?” (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)

لا يجوز للمرأة الخروج من بيت زوجها إلا بإذنه ، لا لوالديها ولا لغيرهم ؛ لأن ذلك من حقوقه عليها ، إلا إذا كان هناك مسوغ شرعي يضطرها للخروج

“কোন মহিলার জন্য স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া জায়েয নয়। পিতামাতা বা অন্য কারো নিকট নয়। কারণ এটি তার উপর স্বামীর হক। অবশ্য যদি শরিয়ত সম্মত বিশেষ কোনো কারণ থাকে তাহলে ভিন্ন কথা।” (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৯/১৬৫)

স্ত্রীর জন্য জরুরি হল, বিশেষ কোনো কাজে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে স্বামীর নিকট অনুমতি নেয়া। স্বামী অনুমতি দিলে পরিপূর্ণ পর্দা সহকারে এবং নিজেকে ফিতনা থেকে হেফাযতে রেখে স্ত্রী বাইরে যেতে পারে। দূরে কোথাও যাওয়ার দরকার হলে অবশ্যই তার পিতা, ভাই ইত্যাদি মাহরাম পুরুষের সাথে যাবে। কিন্তু স্বামী যদি তাকে যেতে নিষেধ করে তাহলে স্ত্রীর জন্য তা লঙ্ঘন করা বৈধ নয়। অন্যথায় সে স্বামীর ‘অবাধ্য’ হিসেবে গণ্য হবে এবং গুনাহগার হবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
(০১)
এক্ষেত্রে উভয় পরিবারের মুরব্বিদের মাধ্যমে মিটিং করে "তারা আর জুলুম করবেনা" এই মর্মে কথা দিলে সেই পরিবারে আপনি যেতে পারেন।

পরবর্তীতে আবারো জুলুমের শিকার হলে সেক্ষেত্রে চলে আসবেন,আর যাবেননা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি এমনটি করতে পারেন।

(০৩)
না,ডিভোর্স হয়নি।
এভাবে শত বছর যোগাযোগ না থাকলেও ডিভোর্স হবেনা।

ডিভোর্স না দেয়া পর্যন্ত ডিভোর্স হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...