আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in পবিত্রতা (Purity) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম,

কমোডে বসে প্রসাব করার সময় মনে হয় যে প্রশাব নিচে পতিত হয়ে ছিটে আসে পায়ের রানে লাগছে।এরকম অনুভুতি সবসময় ই হয়। হ্যান্ড শাওয়ার দিয়ে পানি দিয়ে ভালো করে চারপাশে ধুয়ে তারপর টিস্যু দিয়ে মুছি জায়গা টা।  এবং পরবর্তীতে মুছার সময় হাত এ কোনো পানি লাগলে তা বেসিনে ধুয়ে নিই. এরপর ও মনে হয় নিচের দিকে  রান এ কোথাও প্রসাব লেগেছিলো কিনা। পানি যে দিয়েছি, নিচের দিকে তো ওভাবে আমি দেখতে পাবো না প্রসব লেগে থাকলে ধৌত হয়েছে কি না সঠিক ভাবে? ( যদিও অনেক টুকু জায়গা জুড়ে পানি দিই )    তো এমতাবস্থায় দেখা যায় যে প্রতিবার যদি প্রসাব শেষ করার পর কোমর পর্যন্ত   ধুয়ে পরিষ্কার করতে যাই তাহলে অনেক সময় লেগে যায়। কোমর পর্যন্ত ধুয়ার পর ও অনেক সময় সন্দেহ থাকে একবার কোমর পর্যন্ত দিলে হবে কিনা এ সকল চিন্তা  আসে... পানি অপচয় হয় এভাবে। নামাজ পড়তে গেলে মনে হয় পবিত্র হয়েছি কিনা। গুসল এর পর জোহরের নামাজ টা মনে শান্তি নিয়ে পড়তে পারি। কিন্তু এর পরবর্তীতে প্রসব পায়খানা করতে যেতে ভয় হয়... নামাজ পড়ার পর মনে হয় ভালো করে ধুয়া হয়েছিল তো? আমি পরের ওয়াক্ত গুলোর নামাজ ও শান্তি তে পড়তে চাই...   এই সমস্যার সমাধান জানতে চাই হুজুর ।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://www.ifatwa.info/12359 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ- 
عن عائشة قالت : من حدثكم أن النبي صلى الله عليه و سلم كان يبول قائما فلا تصدقوه ما كان يبول إلا قاعدا (سنن الترمذى، ابواب الطهارة، باب [ ما جاء في ] النهي عن البول قاتما، رقم الحديث-12
অনুবাদ-হযরত আয়শা রাঃ বলেন-তোমাদের মাঝে যারা বলে যে রাসূল সাঃ দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেছেন, তাদের কথা বিশ্বাস করো না। কেননা রাসূল সাঃ কেবল বসেই প্রস্রাব করেছেন। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১২, মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-৩৬৬}

ফতাওয়ায় হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
ويكره أن يبول قائما أو مضطجعا أو متجردا عن ثوبه من غير عذر فإن كان بعذر فلا بأس به (الفتاوى الهندية-1/50، رد المحتار-1/31
দাড়িয়ে বা শুয়ে বা সম্পূর্ণ কাপড় খুলে প্রস্রাব করা মাকরুহ। তবে যদি কোনো উযর থাকে, তাহলে জায়েয রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫০)

ওজরের কারণে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা জায়েজ। যেমন বসলে গায়ে ময়লা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, বা পানির ছিটা গায়ে লাগার সম্ভাবনা থাকে, এরকম কারণে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা জায়েজ।
তবে গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া এমনিতে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা মাকরুহে তাহরীমী।বাথরুমে হাই কমোড বানানো তাদের জন্য জায়েজ যাদের বসে প্রস্রাব পায়খানা কষ্টকর। এমনিতে ফ্যাশন স্বরূপ এমনটি করা মাকরুহে তাহরীমী। প্রয়োজন ছাড়া হাই কমোড বানানো উচিত নয়। (জাদিদ ফিক্বহী মাসায়েল-১/৫৭}যদি কোথাও হাই কমোড ব্যতীত নিচু কোন বাথরুম না থাকে, তাহলে হাই কমোডে ইস্তিঞ্জা করা যাবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। 

হাই কমোডে বসে ইস্তেঞ্জা করতে গিয়ে অনেক সময় কমোডের ভেতর জমে থাকা পানি ছিটে উপরের দিকে আসে। এ পানি অপবিত্র। সুতরাং শরীর বা কাপড়ের যে অংশে ঐ নাপাক পানি  লাগবে, সেই অংশকে ধৌত করতে হবে। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি পবিত্র হয়েছেন,এভাবে নামাজ পড়লে আপনার নামাজ হবে কোনো সমস্যা নেই।

কোনোক্রমেই ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবেননা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রুগী, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হাই কমোড ব্যবহার না করার পরামর্শ থাকবে। 

হাই কমোড ব্যতিত প্রস্রাব করার ভিন্ন সুযোগ থাকলে, হাই কমোডে বসে প্রস্রাব না করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...