عن عائشة قالت : من حدثكم أن النبي صلى الله عليه و سلم كان يبول قائما فلا تصدقوه ما كان يبول إلا قاعدا (سنن الترمذى، ابواب الطهارة، باب [ ما جاء في ] النهي عن البول قاتما، رقم الحديث-12
অনুবাদ-হযরত আয়শা রাঃ বলেন-তোমাদের মাঝে যারা বলে যে রাসূল সাঃ দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেছেন, তাদের কথা বিশ্বাস করো না। কেননা রাসূল সাঃ কেবল বসেই প্রস্রাব করেছেন। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১২, মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-৩৬৬}
ফতাওয়ায় হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
ويكره أن يبول قائما أو مضطجعا أو متجردا عن ثوبه من غير عذر فإن كان بعذر فلا بأس به (الفتاوى الهندية-1/50، رد المحتار-1/31
দাড়িয়ে বা শুয়ে বা সম্পূর্ণ কাপড় খুলে প্রস্রাব করা মাকরুহ। তবে যদি কোনো উযর থাকে, তাহলে জায়েয রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫০)
ওজরের কারণে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা জায়েজ। যেমন বসলে গায়ে ময়লা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, বা পানির ছিটা গায়ে লাগার সম্ভাবনা থাকে, এরকম কারণে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা জায়েজ।
তবে গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া এমনিতে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা মাকরুহে তাহরীমী।বাথরুমে হাই কমোড বানানো তাদের জন্য জায়েজ যাদের বসে প্রস্রাব পায়খানা কষ্টকর। এমনিতে ফ্যাশন স্বরূপ এমনটি করা মাকরুহে তাহরীমী। প্রয়োজন ছাড়া হাই কমোড বানানো উচিত নয়। (জাদিদ ফিক্বহী মাসায়েল-১/৫৭}যদি কোথাও হাই কমোড ব্যতীত নিচু কোন বাথরুম না থাকে, তাহলে হাই কমোডে ইস্তিঞ্জা করা যাবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।
হাই কমোডে বসে ইস্তেঞ্জা করতে গিয়ে অনেক সময় কমোডের ভেতর জমে থাকা পানি ছিটে উপরের দিকে আসে। এ পানি অপবিত্র। সুতরাং শরীর বা কাপড়ের যে অংশে ঐ নাপাক পানি লাগবে, সেই অংশকে ধৌত করতে হবে।
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি পবিত্র হয়েছেন,এভাবে নামাজ পড়লে আপনার নামাজ হবে কোনো সমস্যা নেই।
আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রুগী, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হাই কমোড ব্যবহার না করার পরামর্শ থাকবে।
হাই কমোড ব্যতিত প্রস্রাব করার ভিন্ন সুযোগ থাকলে, হাই কমোডে বসে প্রস্রাব না করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।