আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
আমার আর আমার স্বামীর বিচ্ছেদের জন্য দুইবার এই পর্যন্ত জাদু করা হয়েছে। উল্লেখ্য আমার স্বামী প্রবাসী। প্রথমবার জাদু কাটানোর পরে আমরা ভালো ছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়বার জাদু কাটানোর পরেও আমার স্বামীর আমার প্রতি আগের মত মায়া মহব্বত নাই। সে দায়িত্ব পালন করে তবে কেমন যেন টান নেই আমার প্রতি। যাকে দিয়ে জাদু কাটিয়েছি উনি বলসেন যে জাদু কাটানোর পরেও কিছু প্রভাব থেকে যায় যার কারণে তার এই আচরণ। উনি বলতেসে আমাদের মধ্যে মায়া মহব্বত বাড়ানোর জন্য কাজ করাতে হবে। তবে এসব পদ্ধতি মাত্র উসিলা। দেওয়ার মালিক আল্লাহ্ এইটা মনে করে করতে হবে বললেন।


১/ উনি কিছু কুরআন হাদীসের (কুরআনের আয়াত না) আলোকে লিখা দিবেন সেগুলা আমাকে পর পর ৭দিন ধরে রাতের বেলা জ্বালাতে হবে। এটা দ্রুত আমার স্বামীর মনে আমার জন্যে মায়া তৈরি করবে।


২/ অথবা উনি কিছু ওজিফা দিবেন সেগুলো আমি করতে পারি তবে এতে কাজ হতে সময় লাগবে।


আমার প্রশ্ন হলো প্রথম পদ্ধতিটি কি জায়েজ হবে ?

1 Answer

0 votes
by (579,930 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ
ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।(সূরা বাকারা-৪৫)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রথমে আপনাকে ধৈর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মুকাবেলা করার এবং তালাক না চেয়ে স্বামীর মন পরিবর্তন হওয়ার জন্য দু'আ করার। 
তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দু'আ করবেন।এটাই আপনার জন্য অধিক কল্যাণজনক হবে। তাকে সর্বদা আপন করে কথাবার্তা বলবেন। তার সামনে সর্বদা সেজেগোজে থাকবেন। তার সমস্ত চাওয়া পাওয়াকে তাৎক্ষণিক পূর্ণ করে দিবেন। হ্যা, নিজের প্রতি স্বামীর মহব্বত বাড়ানোর উদ্দেশ্য কুরআন হাদীসে বর্ণিত বিভিন্ন দু'আকে তাবিজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য ভালো কোনো মুদাব্বির আলেমের শরণাপন্ন হতে পারেন। তবে কুরআন হাদীসকে জ্বালিয়ে কোনো তদবির করা যাবে না। বরং কুরআনের হাদীসে বর্নিত দু'আকে পড়ে তদবির করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...