আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in সালাত(Prayer) by (11 points)
اسلام عليكم
আমি সাহু সিজদার ব্যাপারটা নিয়ে খুব কনফিউজড, এই সাইটেই দেখেছিলাম সন্দেহ বশত সাহু সিজদা দিলে দুই দিকে সালাম ফেরানোর পরে দিতে হবে আবার আরেক প্রশ্নের উত্তরে দেখেছিলাম সন্দেহ বশত সাহু সিজদা দিতে হবেনা, আরেক প্রশ্নের উত্তরে দেখলাম সন্দেহ হলেও নামাজের ভেতরেই আরেকটা সিজদা দিয়ে শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পরে এক দিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদা দিতে হবে
১.আমার প্রায় সিজদা নিয়ে সন্দেহে ভুগি,অনেক সময় প্রথমে মনে হয় দুইটা, বা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা, তাশাহুদ বা পরবর্তী রাকাত শুরু হওয়ার মনে হয় একটা দিয়েছিলাম হয়তো,আবার অনেক সময় সিজদা দেয়ার পরেই মনে হয় একটা না দুইটা,
আমি কিভাবে সাহু সিজদা দিবো?

২.সালোয়ারে অল্প একটু (এক দিরহামের কম সম্ভবত)  সাদাস্রাব লেগেছিলো, ইস্তেঞ্জার পর ওই সাদাস্রাব যুক্ত সালোয়ার ভিজে গেছে, এখন ওই ভেজা অংশ আমার শরীরের সাথে লেগেছিলো কিনা নিশ্চিত না, লাগতে পারে নাও লাগতে পারে, এমন অবস্থায় বাথরুম থেকে ওজু করে রুমে এসে সালোয়ার চেঞ্জ করে নামাজ পড়েছিলাম,নামাজ কি হয়েছে?ওটা ইশার নামাজ ছিলো তারপর বিতরের আগে আবার সব ধুয়েছিলাম, যদি ইশা না হয়ে থাকে তাহলে ওই বিতরেরও কি কাজা পড়বো?
৩.অনেক সময় মনে হয়, পায়খানার রাস্তার ভেতরে শব্দ হয়েছে কিন্তু শব্দ বাইরে বের হয়নি, বাতাসও না , গন্ধও না, এমন অবস্থায় কি ওজু ভেঙে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যদি কারো নামাযে সংখ্যা নিয়ে প্রায় সন্দেহ হয়,তাহলে উনি তাহাররি(সঠিক বিষয়ে পৌছার জন্য চিন্তাভাবনা করা) করে গালিবে যান্ন(প্রবল ধারণা) এর উপর আ'মল করবেন।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ করে,তাহলে সে যেন সঠিক বিষয়ে পৌছার চেষ্টা করে সে হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।তবে যদি চিন্তাভাবনার পরও কোনো সংখ্যার দিকে মনে প্রবল ধারণা না জন্মে, তাহলে সে যেন,কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1797


প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সন্দেহের দরুণ সাহু সিজদা দুই সালামের পরই দিতে হয়। এক সালামের পর দিলে ঐ নামাযকে আবার দোহড়িয়ে পড়তে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/79338


(২)
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে, আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাদাস্রাব যুক্ত সালোয়ার ভিজে যাওয়ার পর যেহেতু এটা নিশ্চিত নয় যে, ভিজা অংশ শরীরের সাথে লেগেছে কি না? তাই শরীর নাপাক হবে না। 
এমতাবস্থায় বাথরুম থেকে ওজু করে রুমে এসে সালোয়ার চেঞ্জ করে নামাজ পড়লে,নামাজ হবে। তবে সেলোয়ারে সাদাস্রাব লাগার পর শুকিয়ে যাওয়ার পরবর্তী ভিজে গেলে সেলোয়ার নাপাক হবে।শরীর নাপাক হবে না।

(৩)
প্রশ্নের বিবরণমতে অজু নষ্ট হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
اسلام عليكم ،
যদি সন্দেহ প্রবল হয় যে বিতর নামাজে দুয়া কুনুত পড়িনি তাহলে দুই দিকে সালাম ফেরানোর পরে সাহু সিজদা দিলে হবে?নাকি পুনরায় পড়া লাগবে?
by (597,330 points)
সাহু সিজদা দিলে হবে যদি কারো সাথে কথা না বলেন, এবং কিবলা দিক থেকে সিনাকে ফিরিয়ে না নেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 236 views
...