আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
199 views
in পবিত্রতা (Purity) by (100 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
১.পিরিয়ড শেষে ফরজ গোসলের আগে যদি নখ কেটে না নেয়া হয়, আর নখ যদি বড় থাকে, সেই নখ নিয়ে ফরজ গোসল হবে? গোসলের পর নখ কাটার সময় যদি দেখা যায় পায়ের নখের কর্ণারে ভিতরে ময়লা জমে ছিলো তা নিয়ে গোসল হয়েছে কিনা!

২.ওজু করার সময় বা নামাজে মেয়েদের লজ্জাস্থান থেকে বুদবুদের মতো কিছু হলে কি ওজু, নামাজ হবে?
৩.ওজুতে নাকে পানি কতটুকু পর্যন্ত পৌঁছাতে হয়? হাতের বৃদ্ধাঙুল আর শেষের ছোট আঙুল নাকের ভিতরে  যতটুকু যাবে ততটুকু? এতে একসাইডে এক আঙুল নাকের বেশি গভীরে যাচ্ছে, অন্য আঙুল কম গভীরে যায়!
৪.রাতে ইশার সালাতের পর বিতর নামাজ পরে তারপর কাজা নামাজ  পরা যায়?!

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে এভাবে বর্ণিত রয়েছে-
وَفِي الْجَامِعِ الصَّغِيرِ سُئِلَ أَبُو الْقَاسِمِ عَنْ وَافِرِ الظُّفُرِ الَّذِي يَبْقَى فِي أَظْفَارِهِ الدَّرَنُ أَوْ الَّذِي يَعْمَلُ عَمَلَ الطِّينِ أَوْ الْمَرْأَةِ الَّتِي صَبَغَتْ أُصْبُعَهَا بِالْحِنَّاءِ، أَوْ الصَّرَّامِ، أَوْ الصَّبَّاغِ قَالَ كُلُّ ذَلِكَ سَوَاءٌ يُجْزِيهِمْ وُضُوءُهُمْ إذْ لَا يُسْتَطَاعُ الِامْتِنَاعُ عَنْهُ إلَّا بِحَرَج-
আবুল কাসিম রাহ কে লম্বাটে নক বিশিষ্ট ব্যক্তির ওজু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো?
-যে নকের মধ্যে ময়লা জমে গেছে বা যে ব্যক্তি মাঠির কাজে ব্যস্ত থাকে, বা যে মহিলা নিজ হাতকে মেহদী দ্বারা রঙ্গিয়েছে,অথবা চামড়া বিক্রেতা বা পেইন্টার- উপরুক্ত ব্যক্তির নকের কোনে কোনোকিছু আটকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
তখন আবুল কাসিম রাহ জবাবে বলেছিলেন,
প্রত্যেকরই ওজু হবে।কেননা এত্থেকে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪)


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!
শরীরে এমন কিছু লেগে থাকলে যা ওজু গোসলের সময় শরীরে পানি পৌছতে বাধা প্রদাণ করে।শরীর এমন জিনিষ লেগে থাকাবস্থায় ওজু-গোসল কিছুই হবে না।বিশেষ প্রয়োজনে মূল নকের পরে অতিরিক্ত নক সম্পর্কে শরীয়তে কিছুটা শীতিলতা রয়েছে।যা আমরা ইতিপূর্বে দেখেছি।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-১০২৪

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি মূল নকের অতিরিক্ত অংশে ময়লা থাকে,তাহলে ফরয গোসল হবে।নতুবা হবে না।

(২)
সন্দেহ ইয়াকিন বিশ্বাসকে দূরবিত করে না।তাই অজু গোসল হবে।

(৩)
নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌছাতে হবে।


(৪)
সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ফজরের সুন্নত ও ফরয ব্যতীত অন্য কোনো নফল নামায পড়া যাবে না,পড়লে মাকরুহ হবে।তবে এ সময়ে কাযা নামায পড়া যাবে।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৪২২)
কেননা কা'যা নামাযের কোনো ওয়াক্ত নেই।বরং জীবনের সকল মূহুর্তই কা'যা নামাযের ওয়াক্ত।শুধুমাত্র তিনটি হারাম সময় ব্যতীত।এগুলো হলো,সূর্যোদয়,সূর্যাস্ত ও যাওয়াল তথা সূর্য মধ্য আকাশে অবস্থানের সময়। কেননা এ সময় ওয়াক্তিয়া ও কা'যা সকল প্রকার ফরয কিংবা নফল  নামায পড়া নিষিদ্ধ।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ليس للقضاء وقت معين بل جميع أوقات العمر وقت له
কা'যা নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওয়াক্ত নেই।বরং জীবনের সকল মূহুর্তই কা'যা নামাযের ওয়াক্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 677 views
0 votes
1 answer 162 views
...