আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

প্রশ্ন: আমার একজন বান্ধবী হারাম রিলেশন এ জড়িত ছিল।যার সাথে সম্পর্ক ছিল সেই লোকটার দুইটা বউ আছে এবং আমার বান্ধবী ছিল তার কলেজের স্টুডেন্ট । লোকটা বলে যে,সে আল্লাহর বিধান পালনে তৎপর এবং এজন্য একাধিক বিয়ে করেছে। লোকটি তার স্টুডেন্টদের বিভিন্ন দ্বীনি নসীহা দেয় এবং লোকটির দ্বীনদারিতা,ইলমি জ্ঞান দেখে আমার বান্ধবী তাকে পছন্দ করে। তাদের মধ্যে সম্পর্ক হয়। যদিও সম্পর্কের মধ্যে তথাকথিত কোনো অশ্লীলতা ছিল না।তারা শুধুমাত্র ফোনে কথা বলতো।কিন্তু একজন কলেজে পড়া অবিবাহিত মেয়েকে তার বাবা মা কখনোই দুইজন বউ ইতিমধ্যেই আছে, এমন কারো কাছে বিয়ে দিবে না।একারণে মেয়েটি আল্লাহর সন্তুষ্টি,পরিবারের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হারাম সম্পর্ক থেকে বের হয়ে এসেছে।লোকটিও এতে সম্মত হয়েছে। তবে আরেকটি জায়গায় সমস্যা হয়েছে। বর্তমানে মেয়েটা নিজের বাড়ি থেকে কসর পরিমাণ দূরত্বের অধিক দূরবর্তী একটি কলেজে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে ।বাড়ি থেকে কলেজের এই দূরত্ব সে একাকী মাহরাম ছাড়া যাতায়াত করে।যা শরীয়াহ অনুমোদিত নয় এবং তার পক্ষে কোনো মাহরাম সফরসঙ্গী জোগাড় করা সম্ভব নয়।এখন সেই লোকটি বলে যে,সে আমার বান্ধবীর সফরসঙ্গী হবে।তারা কখনো কথা বলবে না, তাদের মধ্যে সম্পর্ক ও চলবে না। শুধু মেয়েটার সেফটির দায়িত্ব নিবে। শরীয়াহ মোতাবেক এভাবে একটা নন মাহরাম পুরুষ নাকি নারীর জিম্মাদারী গ্রহণ করতে পারে।এই বিষয়ে লোকটি বিভিন্নভাবে হাদিস, যুক্তিতর্ক পেশ করে।

১.এখন আমার প্রশ্ন হলো, লোকটির এই কথাটি কতটা যুক্তিযুক্ত?

২.বাহ্যিকভাবে লোকটা খুবই দ্বিনদার। আমার বান্ধবী দ্বিনী সহবতে থাকতে চাই, একারণেই তাকে পছন্দ করেছেন।

কিন্তু লোকটাকে আমার কাছে চরিত্রহীন মনে হয়। কেননা তিনি দ্বিতীয় বিবাহ হারাম রিলেশনের মাধ্যমে নিজের প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে করে।

এই বিষয়টি আমি আমার বান্ধবীকে কিভাবে বোঝাতে পারি।

৩.আমার উল্লেখিত বান্ধবীর এখন করণীয় কি হবে?আর সে যাতে পুনরায় লোকটির ধূর্ততায় ফেতনায় না পড়ে যায়,সেই বিষয়টা আমি তাকে কিভাবে বোঝাতে পারি?

৪.শ্রদ্ধেয় উস্তাদের কাছে থেকে মেয়েটির জন্য কিছু নসীহা কামনা করছি।

৫.মাহরাম সফর সঙ্গী কোনো ভাবে জোগাড় করা না গেলে মেয়েরা কি একাকী যাতায়াত করতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (579,390 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফিৎনার আশংকা না থাকলে সফরের দূরত্বের চেয়ে কম (অর্থাৎ তিনদিন তিনরাত দূরত্বের জায়গা অথবা ৭৭(এক বর্ণনায় ৮২.৫) কিলোমিটারের চেয়ে কম) দূরত্ব মহিলার জন্য মাহরাম ব্যতীত সফর করা বৈধ রয়েছে। শায়খাইন রাহ তথা ইমাম আবু হানিফা রাহ ও ইমাম আবু ইউসুফ রাহ থেকে বর্ণিত রয়েছে,একদিন একরাত দূরত্বের জায়গা থেকে কম হলে তথা (৭৭÷৩=২৫.৬)২৫.৬ কিলোমিটার বা তার চেয়ে কম পরিমাণ জায়গা হলে মহিলা মাহরাম ব্যতীত সফর করতে পারবে।অন্যথায় পারবে না। বর্তমান এই ফিতনার যুগে  নিম্নোক্ত মতামত-ই ফাতাওয়া তথা শরয়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্য।তবে এখানেও ফিতনার আশঙ্কা না থাকা চাই।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।(কিতাবুন-নাওয়াযিল;১৫/৪১৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/212 

বিশেষ প্রয়োজনে মহিলারা মাহরাম ব্যতিত কাছাকাছি  জায়গা তথা একদিন এক রাতের দূরত্ব সমপরিমাণ জায়গা সফর করতে পারবে । অবশ্যই সম্পূর্ণ পর্দাকে রক্ষা করে যেতে হবে এবং রাস্তা নিরাপদ হতে হবে। তবে এর চেয়ে বেশী মাহরাম ব্যতিত পারবে না। হ্যা, বিশেষ জরুরত হলে, তথা ভিন্ন কোনো রাস্তা না থাকলে এবং সেখানে যাওয়া জরুরী হলে তখন নেককার মহিলাদের এক জামাতের সাথে মাহরাম ব্যতিত সফর করার অনুমোদন থাকবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2127 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একাধিক বিয়ে চরিত্রের অধপতন কখনো হতে পারে না। বরং একাধিক নারীর দায়িত্ব যদি কেউ যথাযথ ভাবে পালন করে, তাহলে অবশ্যই সে প্রতিদান প্রাপ্ত হবে। 

মাহরাম ব্যতিত সফর করা যাবে না। গায়রে মাহরাম কেউ সেফটির দায়িত্ব নিলে তখনও মাহরাম ব্যতিত সফর হিসেবে গণ্য হবে এবং গোনাহ হবে। মেয়েটি হারাম রিলেশন থেকে বের হয়েছে, আল্লাহ মেয়েটিকে রক্ষা করেছেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...