ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আলেমরা অবশ্যই আল্লাহকে বেশী ভয় করেন, তারাই বেশী ঈমাদার। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَمِنَ النَّاسِ وَالدَّوَابِّ وَالْأَنْعَامِ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ كَذَٰلِكَ ۗ إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ ۗ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ غَفُورٌ
অনুরূপ ভাবে বিভিন্ন বর্ণের মানুষ, জন্তু, চতুস্পদ প্রাণী রয়েছে। আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই কেবল তাঁকে ভয় করে। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাময়।(সূরা ফাতির-৩৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যদি কেউ বলে যে, তার ঈমান হুজুর দের মত না বা হুজুর দের মত তার ইমান নেই, তাহলে এদ্বারা নিজ ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(২) আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি ইনশাআল্লাহ বা আল্লাহকে বিশ্বাস করি ইনশাআল্লাহ। এই কথা যদি নিজের ঈমান নিয়ে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে বলা হয়, তাহলে ঈমান থাকবে না। সে কাফির হয়ে যাবে। কিন্তু কেউ যদি অন্য কারণে বলে, যেমন এই মনোভাবে যে, বর্তমানে তো আমি মুসলমান, তবে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আমার হকিকত আল্লাহই ভালো, সে হিসেবে সে এই কথা বলে ফেলে, তাহলে সে ঈমানদারই থাকবে।
لما في الفتاوي الهندية ج:٢، ص:٢٥٧
مَنْ شَكَّ فِي إيمَانِهِ، وَقَالَ: أَنَا مُؤْمِنٌ إنْ شَاءَ اللَّهُ، فَهُوَ كَافِرٌ إلَّا إذَا أَوَّلَ، فَقَالَ: لَا أَدْرِي أَخْرُجُ مِنْ الدُّنْيَا مُؤْمِنًا، فَحِينَئِذٍ لَا يَكْفُرُ،