ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব,
শরীয়তের বিধান
হলো কোনো মহিলা যদি তার স্বামীর নামের সাথে
নিজের নাম লাগায়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই। জায়েজ আছে। (আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ৭/১২)
তবে নিজের
নামের সাথে পিতার নাম লাগানোই সুন্নাহ। একজন মানুষের নাম তার বাবার সাথেই যুক্ত হওয়া উচিত।
এটাই মুসলিম নামকরণের মৌলিক নীতি। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন,
পালক পুত্রদেরকে তাদের পিতার সাথে
সম্পর্কিত করে ডাকো। এটি আল্লাহর কাছে বেশী ন্যায়সংগত কথা। আর যদি তোমরা তাদের পিতৃ
পরিচয় না জানো, তাহলে তারা তোমাদের দীনী ভাই এবং বন্ধু না জেনে যে কথা তোমরা বলো সেজন্য তোমাদের
পাকড়াও করা হবে না, কিন্তু তোমরা অন্তরে যে সংকল্প কর সেজন্য অবশ্যই পাকড়াও হবে। আল্লাহ ক্ষমাকারী
ও দয়াময়। (আহযাব:০৫)
সাভাবিকভাবে
এই আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, ইসলামে নাম পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। মনে চাইলেই পিতার নাম
বাদ দিয়ে স্বামীর নাম ব্যবহার করা ঠিক নয়। অবশ্য কেউ যদি স্বামীর নাম ব্যবহার করতে
চায় সেটাও নাজায়েজ হবে না। কেননা কখনো কখনো স্বামীর নাম ব্যবহার করাটাও প্রয়োজন হয়ে
পড়ে।
একজন নারী
বিবাহের পরে তার আগের নাম পরিবর্তন করে স্বামীর নাম ব্যবহার করবে এটা ইসলামিক আদর্শ
বা সংস্কৃতির কোন অংশ নয়। এই ঐতিহ্যের অ-মুসলিম সমাজে (বিশেষ করে ১৪ ই শতাব্দীর ইংল্যান্ডের
ফরাসি পরিচিতি) প্রবণ প্রবণতাগুলির মধ্যে রয়েছে, যার মধ্যে একটি নারী এর উপাধি বিয়ের পর তার সামাজিক
অবস্থান, সেইসাথে তার আইনগত সম্বন্ধকে চিত্রিত করেছে।
একজন মহিলা
তার স্বামীর উপাধি গ্রহণ করে দেখানোর জন্য যে এখন থেকে,
সে তার স্বামীর দায়িত্ব এবং তার পরিবারের
একটি অংশ ছিল। এমনকি এ সময়ে, মুসলিমদের নারীরা কিছু আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় যেগুলি নারীদেরকে
উত্তরাধিকারসূত্রে ভাগ করে নেওয়ার অধিকার এবং সম্পত্তি এবং অন্যান্য সম্পদের ক্রয় ও
অধিকার হিসাবে প্রদান করে।
আমরা আমাদের
নবীর সাহাবীগণের মধ্যে এমন কিছু সাহাবি দেখতে পাই তারা যারা পিতা মাতার নামে নয় বরং
অন্য নামেই পরিচিত ছিলেন। যেমন অন্ধ সাহাবি যিনি নামাজের আজান দিতেন। তিনি ইবনে উম্মে
মাকতুম। তিনি তার মায়ের নাম দ্বারাই পরিচিত ছিলেন। এমনকি তাইমিয়াহ নামটি বিখ্যাত ইসলামি
বিশেষজ্ঞ ইবনে তায়মিয়াহের নাম, যিনি এই নামের সাথে সুপরিচিত, মূলত একটি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যিনি তার পিতার পরিচয়ে
ছিলেন না।
অতএব,
এটা বলা যেতে পারে যে,
দেশে আইন বা প্রগতিশীল সামাজিক রীতিনীতির
আইন অনুযায়ী আইনি সমস্যা বা যথেষ্ট সামাজিক চ্যালেঞ্জ রোধ করার জন্য একজন মহিলা বিয়ের
পর তার উপাধি পরিবর্তন করেন, সে ক্ষেত্রে তিনি তা করতে পারেন। মুসলিম নারীর জন্য তার নিকাহ
(বিবাহের চুক্তি) পরে তার উপাধি পরিবর্তন না করাই ভালো।
নিজের নামের
সাথে বাবার নাম যুক্ত করা নিষেধ নয়। তবে এটি ওয়াজিব ফরজ তথা আবশ্যকও নয়। আল্লাহ তাআ’লা
বলেন,
ادْعُوهُمْ
لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِندَ اللَّهِ
‘তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর
কাছে ন্যায়সঙ্গত।’ (সূরা আহযাব ৫)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. "মানতাহা
বিনতে অলিদ" নাম রাখা ঠিক আছে। এতে কোন সমস্যা নেই।
*মারিয়া (ماريا) আরবি
শব্দ থেকে এসেছে। অনেকের এটি একটি হিব্রু ভাষার শব্দ। এর অর্থ আল্লাহ তা’আলার সেবিকা
ও ইবাদাতকারিণী। তবে ভাষা অনুযায়ী মারিয়া নামের অর্থের কিছুটা তারতম্য রয়েছে। যেমন
আরবি ভাষায় অর্থ উজ্জ্বলতা অথবা বিশুদ্ধতা। এছাড়াও মারিয়া নামের আরো অর্থ খুজে পাওয়া
যায় যেমন প্রিয়, যিনি পবিত্র, বিশুদ্ধতা, উজ্জ্বল, ফর্সা রঙের মহিলা।
* মানহা নামের
আরবী অর্থ “আল্লাহর উপহার, দিক, জীবনের পথ ইত্যাদি”।
যদি কেউ
নামের সাথে বাবার নাম যুক্ত করতে চায় তাহলে উত্তম হলো বিন / বিনতে যুক্ত করে বলা
বা লেখা। কিন্তু নামের সাথে যদি মেয়ের বাবার নাম যদি যুক্ত না করা হয়,
তাহলে এতে কোনো গুনাহ হবেনা। কোনো সমস্যা নেই।
*মাহেক নামের
অর্থ সুগন্ধ, সুগন্ধবাসী, সফল ইত্যাদী।
তবে
এটি ছেলেদের নাম।
*মাহিরা নামের আরবি অর্থ হলো পারদর্শী।