আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
১. আমি স্বপ্নে দেখি আমরা কোথাও ঘুরতে যাচ্ছি।একটা গোরোচারি শপের সামনে যেয়ে অপেক্ষা করতে ছিলাম।দোকানের আংকেল কার সাথে যেন কথা বলতেছে তাই।তখন তিন পিস চিপস কেও একজন আমার হাতে দেয়।অনেকক্ষণ রেখে কী করব ভাবছলাম পরে আমি সেটা খেয়ে ফেলি।এর অনেক পরে আংকেল আসলে ভাবি জিজ্ঞেস করে এমন জায়গাটা কোন দিক দিয়ে যেতে হয়?উনি দেখিয়ে দেয়।এরপর ভাবি আমাকে বললো আসো পূর্বেও গিয়েছি জায়গাটা অনেক সুন্দর। কিন্তু আমি চিপস দাম দিব বলে অস্থির হয়ে আছি।আমি কেন খেলাম এমনটাও ভাবতেছিলাম তখনই ঘুম ভেঙে যায়।তখন ভোর ৪.১২ এএম
২. ফজর নামাজ পড়ে দুয়া মাসনুূন করতে করতে একটু ঘুমিয়ে পড়ছিলাম তখন স্বপ্নে দেখি আমি ক্লাসে বসে বাটার বন খাচ্ছি আমার পাশে আর একজন বসেছে, উনি কাদতেছেন।এটা দেখে বাটার বন না খেয়ে ব্যাগ এ রেখে দিয়েছি।আমিও খুব আপসেট ছিলাম,উনার কান্না সহ্য করতে পারছিলাম না।তখন ঘুম ভেঙে যায় ৫.৫৯ এর দিকে।
<<<< আমি গতোপরশুদিনও সেইম সময়ে উনাকে কাদতে দেখেছি স্বপ্নে,এবং কান্নাটা একদম অনেক বেশি কষ্ট পেলে যেমন ওরকম কান্না,খুবই স্পর্শকাতর >>>>

৩. ফজরের পরে মাশক ক্লাস ছিল ৬-৭ টা পর্যন্ত মাশক ক্লাস করে আবার ঘুমিয়ে পড়ি,মূলত অসুস্থ থাকায় মাশক ক্লাসও ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই শেষ করেছি।তখন স্বপ্ন দেখি আমার ভাইয়া অনেক দূরে যাচ্ছে কোনো একটা কাজে ভাইয়াকে বিদায় জানাই।এরপর পাশের বাসায় যাই সেখানের এক আন্টি দেখালো সে ভাপা পিঠা বানিয়েছে অনেক বড়ো,লোভনীয় ছিল।আমি তখনই বলতেছিলাম বাসায় এসে আমি এ পিঠা বানব ইংশাআল্লহ। পাশ থেকে অন্যএকজন বললো দেখে যাও আমিও অনেকগুলো বানাচ্ছি চূলায় সবগুলো।সেখানে যেয়ে দেখে আসলাম।এবং এর পাশেই দেখলাম এক লোক খুব খর্বাটে এবং তার এক পা অনেক ছোট হাটতে কষ্ট হয়।খুব মায়া হয় তার প্রতি।এরপর হয়ত তাকে বিয়ে করানো হয়।তার বউ একদম সুস্থ,সুশ্রী মাশাআল্লহ।তাদের বাসায় সব এলোমেলো থাকায় গুছিয়ে দিয়েছিলাম সম্ভবত।  এরপর দেখি একদিন পাশের বাসার এক পুলিশ অফিসার তার(পঙ্গু লোকটির) বউকে রেপ করতে নিয়ে যায়।এটা শুনে আমি পুলিশ প্রশাসনকে কল করি এবং তারা এসে মেয়েটাকে বাচায়।
এরপর দেখি সেই পঙ্গু ছেলেটা তার পা কেটে ফেলতেছে।পা কাটা দেখতে যেয়ে ভয় পাচ্ছিলাম !! এরপর পা দুটো সমান করে বাকি অংশ সম্ভবত ফেলে দেয়।কী করে সেটা শিউর মনে নেই।
এরপর দেখি পঙ্গু ছেলেটার বউ আর আমি পুকুরের ঘাটে দাড়িয়ে ছিলাম।এরমধ্যে সেই পুলিশ লোকটি এসে খারাপ ইঙ্গিত করতেছে হয় পুকুরে নামতে বলে নয়ত বাসায় যেতে বলে পচা কাজ করবে এমন ইঙ্গিত করে। এরপর আমার খুব রাগ হয় সাথে ভয়ও হয়। কীভাবে এই পরিস্থিতিতে নিজেদের বাচাবো এটা ভাবতে ছিলাম।
তো আমি ঘাট থেকে উপরে উঠে মাচার উপর দাড়াই আর লোকটা পঙ্গু ছেলেটার ওয়াইফয়ের সাথে কিছু বলতে ছিল,এই ফাকে ফার্স্টে ঐ লোকের মা কে কল দেই এরপর পুলিশ প্রসাশনকে কল দেই।তারা খুব দ্রুত এসে লোকটাকে নিয়ে যায়।লোকটার ওয়াইফ আসে। তাকে দেখে ভাবছিলাম এত্তো সুন্দর মেয়েটার জীবনসঙ্গী এতো খারাপ হতে পারে!!! এরপর উনার স্ত্রী কে জিজ্ঞেস করলাম আপনার হাসব্যান্ড এতো খারাপ কেন! পরে উনি জানায় এই লোক এমনই এর আগেও কতো মাইর খেয়েছে এসব কাজের জন্য তার হিসেব নেই।এরপরই ঘুম ভেঙে যায় তখন সকাল ৭.৪৫/৭.৫৫ বাজে

বি.দ্র. স্বপ্নগুলো নিয়ে আমি চিন্তিত।২ নং স্নপ্নে উক্ত ব্যক্তির রিসেন্টলি কিছু এক্টিভিটিস এ খুব ব্যথিত আমি।সে কান্না করবে বা দুঃখ পাচ্ছে এমনটা ভাবনাতে আসেনা লাস্ট ১ মাস ধরে।বরং আমি যখন কষ্ট পাই নিজেকে তখন ধিক্কার দেই উক্ত লোক কষ্ট পায় না, এমন কাজ করতে পারলে আমি কেন এতো আপসেট থাকব!কেন এতো কষ্ট পাব?,আমার করনীয় কী?

৩ নং স্বপ্নে এরকর খারাপ লোক আসেপাশেও নেই।অবচেতন মনেও এ ধরনের কিছু কল্পনাও করি না।মানুষর বাসায়ও যাইনা খুব বেশি প্রয়োজন না হলে

উক্ত স্বপ্নে আমাকে কী কী ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে উস্তায।আমার করনীয় কী কী এক্ষেত্রে?

1 Answer

0 votes
by (59,040 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব,

https://ifatwa.info/30361/   ফতোয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার।

১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।

 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়।

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়।

হাদীস শরীফে এসেছে

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

অর্থ: আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭]

ومن رای انہ مات…………ان رای شیئا من ہیئۃ الاموات کالغسل والکفن فذالک زیادۃ فی نقص دینہ (تعطیر الانام ۲۹۱؍ج۲؍باب المیم،موت،مطبوعہ مصر

যার সারমর্ম হলো কেহ স্বপ্নে দেখে যে সে মারা গিয়েছে,,বা মৃতদের হালত,কাফন গোসল ইত্যাদি  দেখে,তাহলে সেটি নিজের দ্বীনের কমতি মনে করতে হবে।

ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ তে এসেছে যে স্বপ্নে মৃত মানুষ দেখা এটি কবরের কথা স্বরন করে দেওয়ার জন্য। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ ২৯/১৬০)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

আপনার কিছু স্বপ্ন কল্পানা থেকে এসেছে। এবং কিছু স্বপ্নে বাহ্যিক ভাবে মন্দ কিছু বিষয়ের আলামত পাওয়া গেলেও এতে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। বং আপনার আমল বাড়িয়ে দিতে হবে, দ্বীনদার লোকদের সাথে উঠাবসা করতে হবে, পবিত্র হালতে থাকতে হবে, অহংকার থেকে বেঁচে থাকতে হবে। বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত, যিকির আযকার, ফরজসহ নফল নামাজ পড়তে হবে। সাধ্যানুযায়ী দান ছদকাহ করতে হবে। স্বপ্নের কথা কাউকে বলা যাবেনা। যাদের বিষয়ে স্বপ্ন দেখেছেন তাদেরকেও উক্ত নেক আমল করতে দাওয়াত প্রদাণ করুন। আশা রাখি কোন ক্ষতি হবে না ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...