ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আহলে হাদিস কেউ মোবাইল এপে শাফিই,হাম্বলি,মালিকি মাজহাবের নামাজের সময়(যেহেতু তাদের সাথে সময় মিলে যায়) দেখে নামাজ পরতে পারবে। এপের সময় থেকে সতর্কতামূলক ১০/১৫ মিনিট দেরি করে পরাই উচিৎ হবে।
(২)
বিশিষ্ট ফাতাওয়া গ্রন্থ 'মারাক্বিল ফালাহ'তে বর্ণিত রয়েছে,
"و" يكره "تكرار السورة في ركعة واحدة من الفرض"
وقيد بالفرض لأنه لا يكره التكرار في النفل لأن شأنه أوسع لأنه صلى الله عليه وسلم قام إلى الصباح بآية واحدة يكررها في تهجده وجماعة من السلف كانوا يحيون ليلتهم بآية العذاب أو الرحمة أو الرجاء أو الخوف
ফরয নামাযে একি রা'কাতে এক সূরাকে বারংবার তেলাওয়াত করা মাকরুহ। নফল নামাযে মাকরুহ নয়। কেননা নফলের মধ্যে প্রশস্ততা রয়েছে।রাসূলুল্লাহ সাঃ এক আয়াতকে বারংবার তেলাওয়াত করে তাহাজ্জুদের নামায পড়েছেন।এবং সালাফগণ রহমত-আযাব ইত্যাদির একি আয়াত দ্বারা সারারাত্র নফল নামায পড়তেন।(মারাক্বিল ফালাহ-১/১২৯) আল্লাহ-ই ভালো জানেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/495
(৩)
একই রা'কাতে কোনো এক সূরা বা কোনো এক আয়াতকে বারংবার তেলাওয়াত করা জায়েয হলেও অনুত্তম(মাকরুহে তানযিহি)। উত্তম হলো,কোনো এক সূরা তেলাওয়াত
করার পর ভিন্ন কোনো সূরা তেলাওয়াত করা, এবং এক আয়াত তেলাওয়াত করার পর পরবর্তী আয়াত তেলাওয়াত করা। সুতরাং জরুরতের ভিত্তিতে এক সূরাকে বারংবার বা একই রা'কাতে কয়েক সূরার অংশকে তেলাওয়াত করা যাবে।এক্ষেত্রে নামায ফাসিদ হবে না।আরো জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2123