আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
64 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
১)আমি একটা ছাত্রকে পড়াই। তাদের বিশেষ অনুরোধে পড়াচ্ছি। ছাত্রটিকে আগেও পড়াতাম। সে পড়াচোর৷ পরে না। বাড়িতেও বিশেষ গাইড করেনা তাকে।  কোনো বিষয় ভালো করে পড়ে না। তাই তাকে ছেড়ে দিয়েছিলাম।  কিন্তুু তার মা আবার এসে ধরে।
বলে দুটো সাবজেক্ট পড়াতে। তাই তাকে আবার নিয়েছি। কিন্তুু একই অসুবিধা। পড়ে না। আবার তার সাথে ক্লাসে অনেক অসুবিধা হয়। লিখেনা। লেখ লেখ বলতে হয়। যা বিরক্তিকর। তাই এসব কারনে অনেকটা বিরক্ত হয়ে দু দিন মেরেছি।  তাদের টা ত বান্দার হক। আর আমি বেত দিয়ে জোরে দিয়ে ফেলেছি। আর ঐ হক ত তারা মাফ করলেও মাফ হবেনা। তারা নাবালেগ। এখন কীভাবে তাওবাহ করবো আমি? অনেক ভয় লাগছে আমার।
২)এই তাওবাহ কবুলের কী কোনো সুযোগ আছে? জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (565,950 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-


وَعَنْهَا قَالَتْ: مَا ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لنَفسِهِ شَيْئًا قَطُّ بِيَدِهِ وَلَا امْرَأَةً وَلَا خَادِمًا إِلَّا أَنْ يُجَاهِدَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَا نِيلَ مِنْهُ شَيْءٌ قَطُّ فَيَنْتَقِمُ مِنْ صَاحِبِهِ إِلَّا أَنْ يُنْتَهَكَ شَيْءٌ مِنْ مَحَارِمِ اللَّهِ فينتقم لله. رَوَاهُ مُسلم


'আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনরাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর পথে জিহাদরত অবস্থা ছাড়া কখনো কাউকেও স্বীয় হাতে প্রহার করেননি। নিজের স্ত্রীগণকেও নাসেবককে না। আর যদি তার দেহে বা অন্তরে কারো পক্ষ হতে কোন প্রকারের কষ্ট বা ব্যথা লাগততখন নিজের ব্যাপারে সেই লোক হতে কোন প্রকারের প্রতিশোধ নিতেন না। কিন্তু কেউ যদি আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজ করে বসততখন আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে শাস্তি দিতেন।

সহীহঃ মুসলিম ৭৯-(২৩২৮)মুসনাদে আহমাদ ২৪০৮০সিলসিলাতুস সহীহাহ ৫০৭মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ১৭৯৪২মুসনাদে ‘আবদ ইবনু হুমায়দ ১৪৮১আবূ ইয়া'লা ৪৩৭৫সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৮৮শু’আবূল ঈমান ১৪২৪আস সুনানুল কুবরা লিন্ নাসায়ী ৯১৬৩দারিমী ২২১৮আল মুজামুল আওসাত ৫৪২৮আস সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী ১৩৬৮৩।


 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই,


শিশুদের ১০ বছরের আগে প্রহার করা যাবেনা। আবু দাউদে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,

নাবী  বলেছেন, “তোমাদের সন্তানদের বয়স সাতবছর হলে তাদেরকে নামাজ পড়ার নির্দেশ দাও। যখন তাদের বয়স দশবছর হয়ে যাবেতখন (নামাজ আদায় না করলে) তাদেরকে মারবে এবং তাদের ঘুমের বিছানা আলাদা করে দিবে।” [আবু দাউদহা/৪৯৫আলবানী হাদীসটিকে ‘ইরওয়াউল গালীল’ গ্রন্থে (১/২৬৬হা: ২৪৭) সহীহ বলেছেন।]


 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই,

প্রশ্নে উল্লেখিত ছাত্রের বয়স যদি ১০ বছর এর চেয়ে কম হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত প্রহার জায়েজ হয়নি।

এক্ষেত্রে তার অভিভাবক এর নিকট হতে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।


আর যদি তার বয়স ১০ বছর বা তার চেয়ে বেশি হয়,সেক্ষেত্রে সহ্যের সীমার বাইরে না মারলে ও ৩ বারের বেশি না মারলে এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা।

তাই ক্ষমাও চাইতে হবেনা। 


বিস্তারিত জানুনঃ

https://ifatwa.info/5263/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...