আসসালামু আলাইকুম,
উস্তাদ আমি একটা বিরাট সমস্যায় পড়ে গিয়েছি, আমি এই সমস্যা থেকে কোনো ক্রমেই বের হতে পারছি না। আমাকে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সঠিক গাইড-লাইন দিয়ে উপকার করবেন প্লিজ।
বছর খানেক আগে এক বোন খুব বিপর্যন্ত/ডিপ্রেশনে ছিলো, হাঁত কাটা, কস্টের স্টোরি, পোস্ট শেয়ার করতো, তখন আমি মানবতার দিক দিয়ে বিবেচনা করে কয়েকটা কথা বলেছিলাম কুরআন ও সুন্নাহর যতটুকু জানতাম ভালো মন্দ। তখন থেকে সে স্বাভাবিক হয়ে যাই আর আমাকে নিজের বড় ভাই বানিয়ে ফেলে। আমাকে ছাড়া কিছু বুঝে না, কারো কথা শুনে না এমন টা হয়ে যায়।
কিন্তু আমি জানি যে ইসলামে রক্তের বাহিরে ভাই-সম্পর্ক জায়েজ নেই, তাই তখন থেকে আমি ইগনোর করতে থাকি, এবং কথা অফ করে দেয়।
কিন্তু সে আবারো যোগাযোগ করতে থাকে আর আবারো কথা বলা শুরু হয়, আর তখন বুজতে পারি সেই মেয়ের কিছু টা হলেও মানসিক প্রোবলেম আছে, অনেকটাই এব নরমাল মনে হয়, তাকে সব কিছুই বুঝানো যাই, সে সব ই বুঝে, ইসলাম প্রেকটিস ও করে, কিন্তু আমাকে বড় ভাই বানিয়েছে আমি নন মাহরাম হওয়া সও্বেও, আমাকে কোনো ভাবেই ছাড়ছে না, যেতে দিচ্ছে না।
তার কথা তার বিয়ে পর্যন্ত হলেও তার সাথে কথা বলতে হবে বড় ভাইয়ের মতো। তা না করলে যে মারা যাবে এমন হুমকি দেয়, আবারো হাত কাটে, এক সাথে অনেক ঔষধ খায়, ফাসি দিবে, এমন মরে যাবে ভয় দেখিয়ে আমাকে ভাই বানিয়ে আটকে রেখেছে। তার কাছে আমার ফ্যামিলির সবার নম্বর আছে, আমি যোগাযোগ অফ করলে সে কোনো না কোনো ভাবে আমার খোঁজ নেয় অথবা অন্য কে দিয়ে নেওয়ায়। কোনো ভাবেই আমার পিঁছু ছাড়ছে না।
আমার বয়স ২৮, আমার বোনের বয়স ১৮।(দুইজনেই অবিবাহিত)।
যদিও কেউই দুইজন দুজনকে ভাই-বোনের উর্ধে চিন্তা করি না, বা কেউ কোনো খারাপ সম্পর্কে জড়িত না। কিন্তু তবু ইসলামে তো এমন ভাই-বোন কথা বলা জায়েজ নাই। তাই আমি এখান থেকে বের হতে চাই৷ কিন্তু আমি বের হতে পারছি না। মেয়ের অবস্থা এমন হয়ে গেছে তার মায়ের পরে আমাকে বড় ভাই হিসেবে স্থান দিয়েছে, আমাকে ছাড়া বাঁচবে না এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছে। খাওয়া-দাওয়া পড়াশোনা সব বন্ধ করে রাখছে। কান্না কাটি করে, চিল্লা চিল্লি করে, এক প্রকার পাগল টাইপ। দুই ফ্যামিলি বিষয়টি জানেন, অনেক মিমাংসা করার চেষ্টা করেছেন, কথা বন্ধ করতে বলেছেন, কিন্তু মেয়ের ফ্যামিলি ২ দিন না যেতেই হাত-পায় ধরে আবার রিকুয়েষ্ট করতে থাকে একটু কথা বলে সুস্থ করার জন্য, ডাক্তারও নাকি বলেছে যে, সে যেটা চাই তাকে যেনো সেটা দেওয়ার চেষ্টা করে!
আর এই দিকে তাকে কথা বলার সুযোগ দিলে, আমার পড়াশোনা ও কাজের সময় অনেক নষ্ট হচ্ছে,আমাকে ঠিক মতো কাজ করতে দেয় না, আমার কাজে বাধা দেয়, আমার ডিসট্রাব হয়।তার কারণে বাধ্য হয়ে আমাকে অনেক সময় অনলাইনে থাকতে হচ্ছে । এই কারণে আমি নিজেই অনেক বিরক্ত, চিন্তিত, ডিপ্রেসড এবং অসুস্থ ।
আমি অনেক চেষ্টা করেছি৷ সর্পোট দিয়েছি, সে কোনো ভাবেই সুস্থ বা স্বাভাবিক হচ্ছে না, আমাকে কোনো ভাবেই ছাড়ছে না, বরং আমার দিনের পর দিন সময় নষ্ট হচ্ছে, এখন আমার পক্ষে কথা বলাও সম্ভব হচ্ছে না।
তার ফ্যামিলি তাকে চিকিৎসাও করাচ্ছে না, আবার এই অস্বাভাবিক আচরণের কারণে বিয়েও দিতে পারছে না। বিয়ের জন্য পাএ নিয়ে আসলেও সে কোনো কারণ দেখিয়ে পছন্দ হয়নি বলে না করে দিচ্ছে। সে যেমন চাই ওমন জীবন সঙ্গী খুঁজতে বলে, কিন্তু ওমন ছেলে পাচ্ছে না। এভাবে সময় ফুরাতেই থাকছে, অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
আমার এখন করণীয় কি?
> যদি আমি আল্লাহ তাআলার আদেশ মেনে কথা বলা বন্ধ করে দেয়, আর তার যদি কোনো ক্ষতি হয়, বা সে যদি মারা যায়, আল্লাহ কি আমাকে দায়ী করবেন?
> না তার জীবন রক্ষার্থে তার বিয়ে পর্যন্ত ভাই হিসাবে কথা বলা উচিত হবে? নাকি কথা না বলাই উওম হবে?
আমার এখন কি করা উচিত হবে?
উস্তাদ আমি খুব হতাশ, প্লিজ আমাকে সঠিক রাস্তায় চলার নসিহত করুন, পরামর্শ দান করুন!
জাযাকুমুল্লাহু খইর।