জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
পোশাক আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত।
কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে-
يا بني آدم قد انزلنا عليكم لباسا يوارى سوآتكم وريشا ولباس التقوى ذلك خير ذلك من آيت الله لعلهم يذكرون.
হে আদমের সন্তান সন্ততি! আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, তোমাদের দেহের যে অংশ প্রকাশ করা দুষণীয় তা ঢাকার জন্য এবং তা সৌন্দর্য্যেরও উপকরণ। বস'ত তাকওয়ার যে পোষাক সেটাই সর্বোত্তম। এসব আল্লাহর নির্দেশনাবলির অন্যতম। যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে।-সূরা আরাফ : ২৬
,
পোশাক নিয়ে শরীয়তের কিছু নীতিমালা রয়েছে,যাহা মুসলমানদেরকে মেনে চলতে হবে।
তার মধ্যে অন্যতম একটি হলোঃ
নারী-পুরুষ একে অন্যের সাদৃশ্য গ্রহণ নিষিদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে অত্যন্ত কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর বেশধারণকারী পুরুষের উপর আর পুরুষের বেশধারণকারিনী নারীর উপর লানত করেছেন।-বুখারী, হাদীস : ৩৮৮৫
বেশ ধারণ করার অন্যতম মাধ্যম হল পোষাক। অতএব নারীর জন্য পুরুষের পোষাক পরিধান করা আর পুরুষের জন্য নারীর পোষাক পরিধান করা হারাম ও কবীরা গুনাহ।
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, নারীর পোষাক পরিধানকারী পুরুষকে এবং পুরুষের পোষাক পরিধানকারী নারীকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেছেন।-আবু দাউদ, হাদীস : ৪০৯২
পোশাক সংক্রান্ত ইসলামের নীতিমালা বিস্তারিত জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীর পোশাক পরিধান করা উক্ত মহিলার জন্য জায়েজ হবেনা।
এক্ষেত্রে অগত্যা পরিধান করলে পরবর্তীতে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
(০২)
অনিচ্ছাকৃত হওয়ায় এতে নামাজের সমস্যা হবেনা। এভাবে পড়া যাবে।
(০৩)
হ্যাঁ, এভাবে নিয়ে যাওয়া যাবে।
তবে কুরআন শরীফ এর সম্মান বজায় রেখে নিয়ে যেতে হবে,যাতে কুরআনের অসম্মান না হয়,সেদিকে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখতে হবে।
(০৪)
শরীয়তের বিধান হলো কেউ যদি গায়রুল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য সেজদা করে, গায়রুল্লাহর নামে কোরবানী করে, গায়রুল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য তার নাম জপতপ করে, মানবীয় ক্ষমতার উর্ধ্বের কোনো বিষয় গায়রুল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে, মাযার-দরগাহর তওয়াফ করে, মোটকথা, যেসব কাজ আল্লাহ তাআলা তাঁর উপাসনার জন্য নির্ধারণ করেছেন তা গায়রুল্লাহর জন্য করে তাহলে তা হবে সম্পূর্ণ শিরক।
এবং যে ব্যাক্তি মাযার বা মাযারে শায়িত ব্যক্তি সম্পর্কে অলৌকিক ক্ষমতায় বিশ্বাস করে,সে শিরক করলো।
,
সুতরাং কেহ যদি সত্যিকারঅর্থেই এহেন আকিদা, বিশ্বাস মনে প্রানে পোষন করে মাজারে সেজদাহ ইত্যাদি করে,তাহলে সে কুফরী করলো।
তাকে নতুন করে কালেমা পড়ে ঈমান আনতে হবে।
খালেছ দিলে তওবা করতে হবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বাওন,
আপনি যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর সত্যিকারঅর্থেই এহেন আকিদা, বিশ্বাস মনে প্রানে পোষন করে মাজারে সেজদাহ করে থাকেন/মাজার সামনে রেখে নামাজ পড়ে থাকেন,তাহলে তওবা করে আপনার নতুন করে ঈমান আনতে হবে।
আর যদি আপনার এহে আকীদা না থাকে,সেক্ষেত্রে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
শুধুমাত্র খালেস দিলে তওবা করলেই হবে।
(০৫)
স্বপ্নের আপনার মনের কল্পনা প্রসূত বলেই মনে হচ্ছে।
(০৬)
শুধুমাত্র এতটুকু কথার দ্বারা কালকে তালাক হয়ে যাবেনা।
(০৭)
এক্ষেত্রে স্বামীর মুহাব্বত বৃদ্ধির জন্য নিম্নোক্ত লিংকে দেয়া কাজগুলি করতে পারেনঃ-
(০৮)
স্বপ্নে পোকা দেখা তেমন ভালো কিছু না।জীবনে কষ্ট আসতে পারে।তাই আপনার আম্মুকে সদকাহ করতে বলবেন।সদকাহ দ্বারা সকল প্রকার বিপদ দূর হবে ইনশা'আল্লাহ।
(০৯)
এক্ষেত্রে অনুমতি মূল বিষয় নয়,মূল বিষয় হলো স্ত্রীদের হক আদায় করা,সকল স্ত্রীর মাঝে ইনছাফ কায়েম করা।
আর ইসলাম এই বিষয়েই গুরুত্ব দিয়েছে।
সুতরাং ভালোভাবে ভাবলে বুঝা যাবে যে ইসলাম মূলত এখানে নারীদের সম্মান ও তাদের হক আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে।
এক্ষেত্রে নারীদের কোনো ভাবে অসম্মান করা হয়নি।
একাধিক বিবাহ ও এর শর্তাবলী সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-