ইস্তিখারা করার পর স্বপ্নের ব্যাখ্যা।

Question

আসসালামু আলাইকুম। আমার অনেকদিন যাবৎ একজায়গায় বিয়ের কথা বার্তা হচ্ছে। আমি প্রথম থেকেই ইস্তিখারা করছি।কোনো স্বপ্ন দেখিনি কিন্তু সবকিছু পজিটিভভাবেই আগিয়েছে।ছেলে দেখে গিয়েছে পছন্দ হয়েছে। আমাদেরকে যেতে বলছে। আমাদের এইদিক থেকে যাওয়ার আগের দিন একটি স্বপ্ন দেখি পুরোপুরি খেয়াল নেই।কিছু ভুলে গেছি কিছু মনে আছে এমন।এখন যার সাথে কথা হচ্ছে তার আগে একজনের সাথে বিয়ের কথা হচ্ছিল তাদের দিক থেকেই না এসেছিল তাই ওটা সেখানেই শেষ।আমি আগ্রহী ছিলাম অনেকটা কিন্তু তারা না করে দিয়েছে তাই আর কিছু হয়নি।এখন আমি স্বপ্ন দেখেছি ১ম জনকে অনেককিছু দেখেছি পুরোটা খেয়াল নেই এতটুকু মনে আছে যে তার সাথে আমার বিয়ে হয়ছে এবং সাথে অন্য একজনের সাথেও কিন্তু আমার তার সাথে থাকা হয়নি। আর অল্প কিছুদিন পর তালাক হয়ে গেছে আমার সাথে এবং আরেকজনের সাথে বিয়ে হয়েছিল তার সাথেও।এখন আমি এটা বুঝতে পারছি না যার সাথে বিয়ের কথা বার্তা হচ্ছে তাকে নিয়ে কিছু দেখিনি আগেরজনকে নিয়ে দেখলাম তাও আবার অন্যরকম।১ম জনের প্রতি আমি অনেকটাই আগ্রহী ছিলাম কিন্তু যেহেতু না হয়েছে তাই আর ভাবিনি।২য় যার সাথে কথাবার্তা হচ্ছে তারা পজিটিভই ছিলো এখন আমাদের এখান থেকে যাওয়ার পর তারা একটু সময় নিচ্ছে। আমি প্রথম থেকেই ইস্তিখারা করে যাচ্ছি এখন এই স্বপ্ন কি ইস্তেখারার কোনো ইঙ্গিত। যদি মেহেরবানী করে জানতেন ভালো হতো।

Answer 1

জবাবঃ-

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/13381/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  

ইস্তেখারা অর্থ হল, ভালোকে তালাশ করা। অর্থাৎ যখন কারো সামনে দু’টি রাস্তা থাকে, সে জানেনা কোন রাস্তাটি তার জন্য মঙ্গলজনক, তাহলে এমতাবস্থায় সে ইস্তেখারা করে একটি রাস্তাকে নির্দিষ্ট করবে। সুতরাং কারো অসুখ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে কি না? সেটা জানার জন্য ইস্তেখারা করার কোনো নিয়ম নাই। হ্যা এ বিষয়ে আল্লাহর মদদ ও সাহায্য কামনার স্বার্থে ইস্তেখারা করা যেতে পারে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ: 

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ 

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلَّامُ الغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي، ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِي الخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي " قَالَ: «وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ»

ভাবার্থঃ‘‘প্রভু হে! আমি তোমার জ্ঞানের ওয়াসিলাহ্তে তোমার অনুমতি কামনা করছি; তোমার কুদরতের ওয়াসিলায় শক্তি চাচ্ছি আর তোমার অপার করুণা ভিক্ষা করছি। কারণ তুমিই সর্বশক্তিমান আর আমি দুর্বল। তুমিই জ্ঞানী আর আমি অজ্ঞ এবং তুমিই সর্বজ্ঞ। প্রভু হে! তুমি যদি মনে কর যে, এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়, ইহকালে ও পরকালে সত্বর কিংবা বিলম্বে আমার পক্ষে মঙ্গলজনক হবে তা হলে আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দাও এবং তার প্রাপ্তি আমার জন্য সহজতর করে দাও। অতঃপর তুমি তাতে বারাকাত দাও। আর যদি তুমি মনে কর এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায় ইহকালে ও পরকালে আমার জন্য ক্ষতিকর হবে শীঘ্র কিংবা বিলম্বে তাহলে তুমি তাকে আমা হতে দূর করে দাও এবং আমাকে তা হতে দূরে রাখো; অতঃপর তুমি আমার জন্য যা মঙ্গলজনক তা ব্যবস্থা কর- সেটা যেখান থেকেই হোক না কেন এবং আমাকে তার প্রতি সন্তুষ্টচিত্ত করে তোল।’’তিনি ইরশাদ করেন هَذَا الْأَمْرَ  তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে।(সহীহ বুখারী- (শামেলা);২/৫৭,হাদীস নং১১৬২,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৬২৯) 

বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1472

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 

প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্ন পজিটিভ নয়,বরং নেগেটিভ বলেই মনে হচ্ছে।