আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

১) এক বোনের বিষয়ে। তিনি অবিবাহিতা বয়স ২২। সম্প্রতি তাকে একজন এক মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি প্রায় ১মাসের মতো এটা নিয়ে ইস্তেখারা করেছে, ছেলের দ্বীনদারিতেও মেয়ে সন্তুষ্ট, যেমন আশা রাখে ছেলে তেমনই। যতবারই ইস্তেখারা করেছে ততবারই ভালো কিছু অনুভব করেছে আর পরিবারও সামনে আগানোর বিষয়ে সম্মতি আছে। সমস্যা টা হচ্ছে! লোকটা ১মাস পর তার একটা বিষয় জানিয়েছে। ছেলের আগের একটা বিয়ে আছে। চার/পাঁচ বছর বিয়ের বয়স, তবে ভালো ভাবে সংসার করেছে ১বছর।। ১বছর সংসার করার পর তার স্ত্রীর ক্যান্সার ধরা পড়েছে। শারীরিক অক্ষমতা তৈরি হয়েছে। স্ত্রী বাবার বাসায় থাকে একটু বেশি কেয়ারের জন্য। স্ত্রীর পরামর্শে এবং নিজেরও জরুরতের কারণে তিনি অনেক দিন ধরে বিয়ের চেষ্টা করছেন কিন্তু তার এই সমস্যার কথা বললে কেউ আগাতে চায় না। (ছেলের বয়স ২৮) নিজের চরিত্র ঠিক রাখতে, সুন্দর দাম্পত্য জীবন লিড করতে বিয়ে তার জন্য অনেক বেশি জরুরি। এখন যাকে প্রস্তাব দিয়েছে সেই মেয়ে অবিবাহিতা, এই মুহূর্তে সেই মেয়ের কি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে উখতি? সে কি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলেটাকে বিয়ে করবে নাকি আরও অপেক্ষা করবে ভালো কারো জন্যে?

২) বাহিরের দেশে বানানো কোন প্রোডাক্ট এর ছবি কি নিজের পেইজে রেফারেন্স হিসেবে দেয়া যাবে? অনুমতি নিতে হবে? যদি সম্ভব না হয়!?

৩) এক বোনের স্বপ্ন,

আজ রাতে স্বপ্ন দেখলাম কেউ একজন যেনো বলছে রাসুল ﷺ বুধবার দিন সুরা মুলক এবং হামিম তিলাওয়াত করতেন (স্বপ্নে আজকের দিনটাকে বুধবার মনে হচ্ছে,, কিন্তু আজ তো মঙ্গল বার!) তখন আমিও ভাবলাম আজ আমি এটা তিলাওয়াত করবো। কিন্তু পরক্ষণেই আবার মনে হলো আমি তো হায়েয হালত এ আছি (কিন্তু আমি এখন পবিত্র হালত এই আছি) বরং তিলাওয়াত শুনে নিই। এভাবে শুনবো শুনবো ভাবছিলাম আর ফোনটা আনতে যাচ্ছিলাম। এমন সময় ঘুম ভেঙে গেল!

৪) বাবা মা যদি যাকাত না দেয় তাহলে মেয়ের করনীয় কী? অনেক সময় বাবা মা মিথ্যে বলে যে যাকাত দিয়েছে কিন্তু আসলে দেয়নি এমন হতে পারে। এক্ষেত্রে অবিবাহিত মেয়ের গুনাহ হবে, তার দুআ কবুল হবে? মেয়ে সর্বোচ্চ বোঝানোর চেষ্টা করেছে!

1 Answer

0 votes
by (574,110 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
এক্ষেত্রে সেই পাত্রের সাথে বিবাহ বসা না বসা একান্তই পাত্রীর ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
পাত্রীর পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিসিশন নেয়ার পরামর্শ থাকবে। 

(০২)
বিষয়টি কমেন্ট বক্সে আরো স্পষ্ট করলে জবাব প্রদানে সুবিধা হতো। 

(০৩)
বোনটির কুরআন তিলাওয়াত,আমল এর প্রতি আগ্রহ আছে বলে মনে হচ্ছে,আলহামদুলিল্লাহ। 


(০৪)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِنۡ تَکۡفُرُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ عَنۡکُمۡ ۟ وَ لَا یَرۡضٰی لِعِبَادِہِ الۡکُفۡرَ ۚ وَ اِنۡ تَشۡکُرُوۡا یَرۡضَہُ لَکُمۡ ؕ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ مَّرۡجِعُکُمۡ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۷﴾ 

যদি তোমরা কুফরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। আর তিনি তার বান্দাদের জন্য কুফরী পছন্দ করেন না। এবং যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও তবে তিনি তোমাদের জন্য তা-ই পছন্দ করেন। আর কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না। তারপর তোমাদের রবের কাছেই তোমাদের ফিরে যাওয়া। তখন তোমরা যা আমল করতে তা তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তিনি তা সম্যক অবগত।
(সুরা আয যুমার ০৭)

وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی

কোনো ব্যাক্তি অন্য কোনো ব্যাক্তির গুনাহের বোঝা বহন করবেনা।
(সুরা ফাতির ১৮)

অর্থাৎ কেয়ামতের দিন কোন মানুষ অন্য মানুষের পাপভার বহন করতে পারবে না। প্রত্যেককে নিজের বোঝা নিজেই বহন করতে হবে। “বোঝা” মানে কৃতকর্মের দায়দায়িত্বের বোঝা। এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর কাছে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেই তার কাজের জন্য দায়ী এবং প্রত্যেকের ওপর কেবলমাত্র তার নিজের কাজের দায়-দায়িত্ব আরোপিত হয়। এক ব্যক্তির কাজের দায়-দায়িত্বের বোঝা আল্লাহর পক্ষ থেকে অন্য ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেবার কোন সম্ভাবনা নেই। কোন ব্যক্তি অন্যের দায়-দায়িত্বের বোঝা নিজের ওপর চাপিয়ে নেবে এবং তাকে বাঁচাবার জন্য তার অপরাধে নিজেকে পাকড়াও করাবে  এরও কোন সম্ভাবনা নেই।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেয়ের কোনো গুনাহ হবেনা। তার দু'আ ইবাদত কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...