আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

১★সকাল ৮/৯ টায় স্বপ্নে দেখছি,,,অনেকগুলো কফিন বক্স এগুলোতে সকল নবী রাসূল ছিলেন। একজন লোক এত এত কফিন বক্সের ভিরে রাসূল সঃ এর কফিন বক্সটা খুঁজে পায়। আমিও রাসূল সঃ কে দেখার জন্য দৌড় দিলাম। কিন্তু লোকটা রাসূল সঃ এর কফিন বক্সটা না খুলে আরেকটা কফিন বক্স খুলেছিল যেটার মধ্যে ফেরেস্তা মিকাইল (আঃ) ছিল উনি অনেক লম্বা + সুন্দর ছিলেন। লোকটা মিকাইল (আঃ)এর সাথে কথা বলছিল রাসূল সঃ এর বিষয়ে অনেক প্রশ্ন করছিল। মিকাইল আঃ সেই লোকটার চোখে কি জানি দিলো যেটার কারণে লোকটার চোখে আলো জ্বলছিল আর সে মিকাইল আঃ কে স্পষ্ট দেখল। তারপর মিকাইল আঃ লোকটাকে বল্লো তুমি আমাকে আর প্রশ্ন করলে তুমার মৃত্যু হয়ে যাবে। তারপর লোকটা শেষ প্রশ্ন করে। তারপর রাসূল সঃ এর কফিন বক্সটা খুলতে যাবে এমন সময় আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।

এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি? আমি কি সত্যি মিকাইল আঃ কে দেখেছি?

২★ ফজরের আগে আমি স্বপ্নে দেখি,,একজন পুরুষ যার বয়স ৪৫+ এইরকম হবে। দাড়ি কয়েকটা সাদা হয়ে আছে। সেই পুরুষ আমাকে বিয়ের জন্য দেখতে আসছে। দেখতে দ্বীনদারই মনে হচ্ছিল। আবার মনে হচ্ছিল উনি একজন শিক্ষক । কেনো জানি,, আমি মনে মনে বলতেছি উনি আরেকটা বিয়ে করছে। আমি বিয়ে করতে নারাজ ছিলাম কারন উনার বয়স আমার থেকে অনেক বেশি আমার বয়স খুবই কম । উনার সাথে আরেকটা মেয়ে আসছিল মেয়েটা আমার মতন পর্দাশীল। মেয়েটা অনেক মিশুক আর আমার সাথে একদম বান্ধবীর মতন আচারন করে মিশে গেছে। ওই লোকটা চলে গেলে আমি মেয়েটাকে বলতেছি,,আমি আর কখনোই অনলাইনে বায়োডাটা দিবো না। মেয়েটা আমার কথা শুনে হাসতেছে।
এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি??

বাস্তবে আমি অনলাইন ওয়েবসাইটে বায়োডাটা দেয়ার কথা চিন্তাভাবনা করেছিলাম।এখনো বায়োডাটা দেয়নি।

আর অনলাইন ওয়েবসাইটে আমার বায়োডাটা দিলে কি কোনো সমস্যা হবে???

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,

হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
স্বপ্নে ফেরেশতা দেখাকে নিশ্চিতভাবে ফেরেশতা বলা যায় না, তাই এই স্বপ্নের উপর ভিত্তি করে কোনো ব্যাখ্যা বা শরীয়ত বিধান করা যায় না, শুধু এটুকু বলা যেতে পারে যে স্বপ্নটি খুশির মতো হলে এই স্বপ্নটি সুসংবাদ এবং যদি এটি ভীতিকর হয় তবে তা শয়তানের পক্ষ থেকে।

(০২)
স্বপ্নটি আপনার মনের কল্পনা প্রসূত বলেই মনে হচ্ছে। 

অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে অনলাইন ওয়েবসাইটে আপনার বায়োডাটা দিলে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...