আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু 'আলাইকুম শায়েখ,

আমি যখন ছোট ছিলাম(বালেগ হওয়ার আগে,সম্ভবত বয়স ছিল  ৫-৮/৯)তখন এক আপু আমার থেকে কিছু টাকা নেয় এই বলে যে একজন আসলে তার থেকে নিয়ে টাকাটা আমাকে দিয়ে দিবে ,সম্ভবত ঘণ্টা হিসেবে লাভ দেয়ার কথা ছিল,,,তো আমিও রাজি হয়ে টাকাটা দিয়ে দিই,পরে আমাকে টাকা দেয়া হয়,কিন্তু এখন আমার স্পষ্ট  মনে নেই যে আমি কি অতিরিক্ত টাকা নিয়েছিলাম কিনা,এখন অনেক বছর পর সন্দেহ হচ্ছে আমি কি টাকাটা নিয়েছিলাম,,তখন  জানতাম না সুদ যে এত বড় পাপ,দ্বীনের বুঝ ছিল না ,এখন আমার করণীয় কি?উল্লেখ্য টাকা লাভ নিলেও নিলেও নিয়েছি খুবই অল্প পরিমাণে( সর্বোচ্চ হলে ১০ থেকে ৩০ টাকা),এখন আমি যদি তাকে টাকাটা ফেরত দিতে নেই তবে আমাকে নিয়ে হাসি -ঠাট্টা করা হতে পারে! এখন আমার করণীয় কি শায়েখ?

আর যদি টাকা তাকে দিতেই হয় তবে কি আমি কোন কৌশলে যেমন - তার অজান্তে তার ব্যগে ঢুকিয়ে দিয়ে,বা তার ঘরে গিয়ে তার ব্যবহার্য জিনিসের মাঝে রেখে আসলে হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (589,590 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، - الْمَعْنَى - عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ، - قَالَ هَنَّادٌ - الْجَنْبِيِّ قَالَ أُتِيَ عُمَرُ بِامْرَأَةٍ قَدْ فَجَرَتْ فَأَمَرَ بِرَجْمِهَا فَمَرَّ عَلِيٌّ رضى الله عنه فَأَخَذَهَا فَخَلَّى سَبِيلَهَا فَأُخْبِرَ عُمَرُ قَالَ ادْعُوا لِي عَلِيًّا . فَجَاءَ عَلِيٌّ رضى الله عنه فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلاَثَةٍ عَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَبْلُغَ وَعَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يَبْرَأَ " . وَإِنَّ هَذِهِ مَعْتُوهَةُ بَنِي فُلاَنٍ لَعَلَّ الَّذِي أَتَاهَا أَتَاهَا وَهِيَ فِي بَلاَئِهَا . قَالَ فَقَالَ عُمَرُ لاَ أَدْرِي . فَقَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ وَأَنَا لاَ أَدْرِي .
আবূ জায়বান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উমার (রাঃ) এর কাছে এমন একজন মহিলা আসে, যে যিনা করেছিল তিনি তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন। আলী (রাঃ) তখন সেখানে উপস্থিত হয়ে, যে মহিলাকে মুক্ত করে দেন। এ খবর উমার (রাঃ) এর নিকট পৌছালে তিনি আলী (রাঃ)-কে তার কাছে ডেকে পাঠান। তখন আলী (রাঃ) বলেনঃ হে আমীরুল মু’মিনিন। আপনি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা হলোঃ নাবলেগ যতদিন না বালেগ হয়; (২) নিদ্রিত ব্যক্তি যতক্ষণ না জাগ্রত হয় এবং (৩) পাগল যতক্ষণ না জ্ঞানপ্রাপ্ত হয়। মহিলাটি অমুক গোত্রের পাগলিনী। সম্ভবত তার এ অবস্থার সুযোগ নিয়ে, কেউ তার সাথে যিনা করেছে। তখন উমার (রাঃ) বলেনঃ আমি এর কিছুই জানি না। আলী (রাঃ)ও বলেনঃ আমিও কিছুই জানি না।(সুনানে আবি দাউদ-৪৩৫০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি সাবালক হওয়ার পূর্বের ঘটনা হয়, তাহলে এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না। হ্যা, সাবালক হওয়ার পর হলে, এবং সুদ গ্রহণ করে থাকলে, সুদকে ফিরিয়ে দিয়ে অথবা সদকাহ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...