আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমরা জানি বন্যার সময় পানিতে ভেসে মাছ আরেক পুকুরে বা জমিতে মাছ আসলে তা সেই জমির মালিকের ধরা জায়েজ হয়।
কিন্তু একটা ঘটনা এমন যে,
পুকুরের ভিতর-ই দেওয়াল তোলা হইছে।কারন তার ভাগের জায়গা পুকুরে ভেঙ্গে গেছে।মানে সে তার ভাগের জায়গা বাউন্ডারি দিছে।আর দেওয়ালের মাঝখানে একটু কাটা অংশ আছে যেন এর ভিতরে পানি জমলে পুকুরে চলে যেতে পারে।
তো পুকুরে পানি  বেশি হলে সেই কাটা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে,মাছ আসে এবং মাছ বের হয়।
কিন্তু এবারের বৃষ্টিতে অতিরিক্ত পানি হইছে পুকুরে,ঐ দেওয়ালটা ভেসে গেছে।দেওয়ালের পানি এখন কই যাবে?পুকুরেই তো অনেক পানি।
এখন কথা হচ্ছে দেওয়ালের ভিতর প্রচুর মাছ আসছে,আমার চাচারা জায়েজ বলে তা ধরে ধরে খাচ্ছে।
এটা কি জায়েজ হবে?
আমার যুক্তিতে আসে না।কারন দেওয়াল পুকুর একসাথে।জাস্ট দেওয়ালটা তোলা হইছে,এবং মাঝখান দিয়ে কাটা অংশও রাখা আছে।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
قال: (وكل من اصطاد سمكا من نهر جار لرجل فهو للذي أخذه)؛ لأن صاحب النهر ما صار محرزا له بل هو صيد في نهره فالمحرز له من اصطاده، 
যদি কোনো ব্যক্তির মালিকানায় একটি প্রবাহিত নদী থাকে,এবং উক্ত প্রবাহিত নদী থেকে কেউ মাছ শিকার করে নেয়,তাহলে যে ব্যক্তি শিকার করবে সে সেই মাছের মালিক বনে যাবে।কেননা এক্ষেত্রে নদীর মালিক উক্ত মাছের সংরক্ষণকারী হিসেবে গণ্য হচ্ছে না।বরং উক্ত নদীর মাছকে শিকার করা জনসাধারণের জন্য বৈধ বলে গণ্য হবে।এবং উক্ত মাছের সংরক্ষণকারী হিসেবে সেই গণ্য হবে যে মাছকে শিকার করবে।(মাবসুত-সারখাসী; ১১/২১৫)
 
নিজ মাল অন্য কেউ নিয়ে গেলে তাকে চুর প্রমাণিত করতে হলে সর্বপ্রথম নিজ মাল যে  সংরক্ষিত,তা প্রমাণ করতে হবে।মালকে সংরক্ষিত প্রমাণ করা ব্যতীত কাউকে চুর প্রমাণিত করা যাবে না।
যেহেতু পুকুরের মাছকে সংরক্ষণের দায়িত্ব মালিকের ছিল,তা যেকোনো ভাবেই হোক।কিন্তু এখানে মালিক তা করতে পারেননি।তাছাড়া এখানে কোন মাছ বেড়িয়ে যাচ্ছে,তা নির্দিষ্ট ও নয়।তাই উনার মাছ উনার মালিকানা থেকে অন্য কোথাও বেড়িয়ে গেলে তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে।পরবর্তীতে যে কেউ তা শিকার করতে পারবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/97413

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু এখানে মাছকে পুকুর থেকে বের হতে হতেই ধরে নেওয়া হচ্ছে, তাই এভাবে অন্যর মাল নেওয়ার জন্য উৎ পেতে থাকা জায়েয হবে না। হ্যা, মাছ বের হয়ে যাওয়ার পর সেই মাছকে শিকার করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...