আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
52 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১হযরত নামাজে আমলে কাছির হওয়ার জন্য তিন হরকত ধর্তব্য। এখানে তিন হরকত বলতে কি শরীর চুলকানোর সময় উপর থেকে নিচে আবার নিচ থেকে উপরে উঠালাম এখানে কয় হরকত হলো? ১ হরকত নাকি ২ হরকত?
২.আমার আম্মা নামাজ পড়ার সময় শেষ বৈঠকে সামনে পিছনে একটু হেলেন দুলেন অর্থাৎ একটু সামনের দিকে ঝুকেন আর একটু পিছনের দিকে আসেন ? এত তো আমলে কাছির হবে।এখন আমার মনে হয় তিনি ছুটেবেলা থেকে এই অভ্যাসের মাঝ পড়ছেন তার জন্য কি কাজা নামাজ আদায় করা জরুরী?
৩.তাবলীগের ভাইয়েরা গাধতে যাওয়ার পূর্বে একজনকে জিকিরে মসজিদে রেখে যান এবং বলা হয় তিনি নাকি গাছের ইঞ্জিন সরুপ।

এর কি কোন কুরআন হাদিসের দলিল পাওয়া যায়?

1 Answer

0 votes
by (580,830 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
 যে সমস্ত কাজে সাধারণত দু'হাত ব্যবহৃত হয়,সেটাকে আ'মলে কাছির বলে,যেমন লুঙ্গী বাঁধা ও পাগড়ী বাঁধা।ঐ সমস্ত কাজ যদি একহাত দ্বারাও করা হয় তবে ও তা আ'মলে কাসির বলে গণ্য হবে।
এবং যেই সমস্ত কাজ সাধারণত একহাত দ্বারা করা হয়,সেই সমস্ত কাজকে যদি তখন দুই হাত দ্বারাও করা হয়, তবে তাকে আ'মলে কাছির বলা যাবে না বরং তাকে আ'মলে ক্বালিল-ই বলা হবে, যতক্ষণ না তা তিন হরকত পরিমাণ হয়।যেমন লুঙ্গী খোলা,ও টুপি পরিধান করা,ইত্যাদি।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/445


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)  শরীর চুলকানোর সময় উপর থেকে নিচে আবার নিচ থেকে উপরে চুলকানো হয়, তাহলে এখানে এক হরকত গণনা করা হবে। তবে হাত তুলে নিয়ে চুলকালে দুই বা একাধিক হরকত গণনা করা হবে।

(২) নামাজ পড়ার সময় শেষ বৈঠকে সামনে পিছনে একটু হেললে দুললে আ'মলে কাছির হবে না। তবে বিনা জরুরতে এমনট করা মাকরুহ।

(৩)  ঘাশতে যাওয়ার পূর্বে কাউকে মসজিদে যিকিরের জন্য রেখে যাওয়াকে কুরআন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত মনে করা যাবে না। তবে হ্যা, এবং বুজুর্গানে কেরামদের পরীক্ষিত একটা আ'মল হিসেবে গণনা করা যাবে। জরুরী মনে না করলে করতেও পারেন  আবার পরিত্যাগও করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+3 votes
1 answer 1,712 views
0 votes
1 answer 111 views
...