আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমি নিচের লেখাটি "সুদ হরাম কর্জে হাসানোর সমাধান" বই থেকে পড়েছি।  লেখক- মোহাইমিন হক পাটোয়ারীর। ওস্তাদজী আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এখানে কর্জে হাসানা ও আরিয়াহ বা ধার সম্পর্কে যেই সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং এর মালিকানা সম্পর্কে যেভাবে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে এটি কতটুকু গ্রহণযোগ্য?

(১.কর্জে হাসানা হিসেবে টাকা (যেকোনো প্রকারের মুদ্রা) কিংবা বস্তু/সম্পদ যেকোনোটা দেওয়া যাবে।

অপরদিকে ধার হিসেবে কেবল বস্তু বা সম্পদ দিতে পারবেন। মুদ্রা আরিয়াহ হয় না। তাই যেকোনো প্রকারের মুদ্রা ধার দিলেই সেটা কর্জে হাসানা বা অন্য কোনো প্রজাতির। ঋণ হবে, আরিয়াহ হবে না।

২.মালিকানা: কর্জে হাসানার ক্ষেত্রে বস্তুর মালিকানা পরিবর্তন হয়ে যায়। যে কর্জ নিল, সে সম্পদের মালিক হয়ে যায়। ফলে সে তা অন্যত্র বিক্রি করতে পারে, হেবা করতে পারে ইত্যাদি। তাই যে জিনিসটা কর্জে হাসানা হিসেবে দেওয়া হলো, সেটার মূল বাকি রেখে ব্যবহার করা আবশ্যক না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়-যদি কেউ তাঁর বিয়ের গয়না কর্জে হাসানা হিসেবে দেয়, তাহলে যে কর্জে হাসানা নিল, সে এই গয়নার মালিক হয়ে যাবে এবং যেমন করে খুশি বিক্রি ও ব্যবহার করতে পারবে। সে গয়না গলিয়ে সোনার বার বানাতে পারে কিংবা বিক্রি করে টাকা ব্যবহার করতে পারে। গয়নার আসল ডিজাইন ধরে রাখতে সে বাধ্য না, যেহেতু সে এখন এটার মালিক।

অপরদিকে আরিয়াহ বা ধারের ক্ষেত্রে বস্তুর মালিকানার পরিবর্তন হয় না। ফলে যা ধার দেওয়া হলো, মূল বাকি রেখে শুধু উপকার লাভের সুযোগ পাওয়া যায়। যেমন: কেউ একটি জামা ধার দিলে তা শুধু ব্যবহার করা যাবে, কিন্তু এই জামা বিক্রি করে দেওয়া যাবে না।

৩.হুবহু ফেরত: কর্জে হাসানায় যে বস্তুটি কর্জ হিসেবে নেওয়া হয়েছে, হুবহু সে বস্তুটি ফিরিয়ে দেওয়া আবশ্যক নয়। অনুরূপ গুণাবলির একই জাতীয় আরেকটি বস্তু ফিরিয়ে দিলেই হবে। অর্থাৎ আপনার বিয়ের গয়না কর্জে হাসানা দেওয়ার সময় এই শর্ত দিতে পারেন যে, একই পরিমাণ সোনার একই রকম ডিজাইনের গহনা দিতে হবে। তবে এটা কখনোই বাস্তবসম্মত না যে, দুই কারিগরের ডিজাইন বা একই লোকের দুই ডিজাইন একদম হুবহু একই হবে আর কর্জে হাসানার ক্ষেত্রে একেবারে নিখুঁত ও হুবহু কপি ফেরত চাওয়ার কোনো সুযোগও নেই।

তবে আরিয়াহ বা ধারের ক্ষেত্রে যে বস্তুটি ধার নেওয়া হয়েছে, হুবহু সেই বস্তুটিই

ফিরিয়ে দেওয়া আবশ্যক। ধরুন, এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে কাজের সুবিধার জন্য এক মাসের জন্য তার মোটরসাইকেল আরিয়াহ দিয়েছে। আরিয়াহ নেওয়া বন্ধুটি সেই মোটরসাইকেল থেকে উপকার নিতে পারবে, অর্থাৎ চালাতে পারবে কিংবা রাইড শেয়ার করে আয় করতে পারবে, কিন্তু সেই মোটরসাইকেলটি অক্ষত অবস্থায় কাজ শেষে ফেরত দিতে হবে। ধার নেওয়া মোটরসাইকেল বিক্রি করে দিয়ে হুবহু মডেলের আরেকটা কিনে দিলে হবে না। যেটা নেওয়া হয়েছে, সেটাই আমানতদারিতার সাথে। ব্যবহার করে ফেরত দিতে হবে।

৪.আমানত ও জরিমানা: কর্জে হাসানার ক্ষেত্রে প্রদেয় বস্তুটি আমানত নয়। কারণ, এর মালিকানা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। তাই সব অবস্থাতেই সকল ঝুঁকি কর্জগ্রহীতা বহন করবে। কর্জগ্রহীতা বস্তুটি হারিয়ে ফেললেও তাকে কর্জ ফেরত দিতে হবে, কর্মগ্রহীতার কাছে থাকা অবস্থায় নষ্ট হয়ে গেলেও তাকে কর্জ ফেরত দিতে হবে।

অর্থাৎ এই হারিয়ে যাওয়া কিংবা নষ্ট হওয়ার কারণে কর্জগ্রহীতা নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাতে তাঁর কর্জের পরিমাণের কোনো পরিবর্তন আসবে না। সময়মতো মূল কর্জ ফেরত দিতে হবে।

আর আরিয়াহ বা ধারের ক্ষেত্রে প্রদেয় বস্তুটি আমানত। ধারগ্রহীতার কোনো ধরনের সীমালঙ্ঘন না পাওয়া গেলে বা বস্তুটি নষ্ট/ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে যদি ধারগ্রহীতার কোনো দোষ/ত্রুটি/দায় পাওয়া না যায়, তাহলে ধারগ্রহীতার কাছে থাকা অবস্থায় বস্তুটি নষ্ট/ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ধারগ্রহীতাকে কোনো ধরনের জরিমানা দিতে হবে না। কিন্তু, যদি বস্তুটি ধারগ্রহীতার কাছে থাকা অবস্থায় নষ্ট/ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্য ধারগ্রহীতার কোনো দোষ/ত্রুটি/দায় পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে মূল বস্তুটির পরিবর্তে হুবহু মানের কোনো কপি ফেরত দিতে হবে অথবা মূল বস্তু বা এর কোনো হুবহু মানের কপি পাওয়া না গেলে সেটার পরিবর্তে সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। তবে যিনি ধার দিলেন, তিনি মাফ করে দিলে ভিন্ন কথা।)

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আসলে কি জানতে চান? সেটা ক্লিয়ার হয়নি। বিষয়টা ক্লিয়ার করার অনুরোধ। নতুন প্রশ্ন না করে ইডিট করে দিবেন। এবং কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...