আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in সালাত(Prayer) by (9 points)
আমার দুলাভাইয়ের আরেকজনের সাথে সম্পর্ক আছে ছয় বছর, এটা নিয়ে আপু আর দুলাভাইয়ের মধ্যে সব সময় দ্বন্দ্ব হয়ে থাকে, ওই মেয়ের বিয়ে হচ্ছিলো না। আমার দুলাভাই এক হুজুরের কাছে যায় এবং যানতে পারে এই মেয়েকে কেও তাবিজ করেছে, তারপর ওই হুজুর তাবিজ টা কাটায়, তারপর মেয়েটির ৭ দিনের মধ্যে বিয়ে ঠিক হয়। কিছুদিন আগে মেয়েটির বিয়ে হয়েছে, জামাই বিদেশে থাকে।  দুলাভাইয়ের সাথে সম্পর্ক এখনও আছে।  আমার বোনের সাথে এই মেয়ে কে নিয়ে রিসেন্ট  ঝগড়াতে তালাক দিবে বলেছে, আমার বোন প্রেগনেট। ঝগড়া হওয়ার পর থেকে দুলাভাই আপুর সাথে কোনো যোগাযোগ করে না (আপু প্রেগ্ন্যাসির শুরু থেকে আমাদের বাসায়, বেড রেস্টে আছে। এমনকি আপু প্রেগন্যান্ট এই কথা শুনে দুলাভাই খুব রাগারাগি করে। বিয়ের ৫ বছরে ওই মেয়ের কথায় দুলাভাই বাচ্চা নেয় নি)। ওই মেয়ের সাথে সম্পর্ক বাদ দেওয়ার জন্য বলেছে বিধায় তালাক দেবে বলেছে,  আপু ওই হুজুরের কাছে গিয়েছে, ( আজ পর্যন্ত যত মানুষ প্রব্লেম নিয়ে গিয়েছে হুজুরের কাছে সবাই নাকি ফল পেয়েছে)। এরপর হুজুর তাকদির দিয়েছে ( তাবিজ, কিছু জিনিস পুরানোর জন্য দিয়েছে , একটা জিনিস ভারি কোন জিনিসের নিচে চাপা দেওয়ার জন্য বলেছে , একটা তাবিজ নদীতে ফেলে দিতে বলেছে, আর বলেছে সব কিছু আল্লাহর উপরে, বেশি বেশি এবাদাত করার কথাও বলেছে)। কিন্তু তাবিজ নাকি পার্মানেন্ট ইউজের জন্য দেয়নি, ৬ মাসের জন্য দিয়েছে। এখন আমার বোন যে তাবিজ পড়ছে,  এগুলো করছে এগুলো কি শিরক? আমার বোনকে এগুলো করার জন্য আমার ছোট বোন নিষেধ করেছে, আমিও করেছিলাম কিন্তু কখনো ভাবে মানতে রাজি না। আপুর কথা হলো আল্লাহ উনার মাধ্যমে আমার রাস্তা দেখিয়েছেন, উনি আমাকে সাহায্য করতে পারবে। কিন্তু এতদিনে কনো রেসাল্ট পাই নি, এসব করতে না করলে খুবই বাজে ব্যবহার করে, কয়কদিন আগে আপু ইতেকাফেও বসেছে।  এখন এগুলা কি শিরকের মধ্যে পরে?  তাহলে বাকি মানুষের এবাদত কি কবুল হবে ?

1 Answer

0 votes
by (58,740 points)

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

স্বামীর জন্য জরুরি হলো স্ত্রীর অধিকার রক্ষা করা, তার সাথে সদব্যবহার করা।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন

ألا واستوصوا بالنساء خيرا، فإنما هن عوان عندكم ليس تملكون منهن شيئا غير ذلك

শোন হে! তোমরা আমার পক্ষ হতে নারীদের প্রতি সদাচরণের উপদেশ গ্রহণ কর। তারা তো তোমাদের কাছে আটকে আছে। তোমরা তাদের কাছ থেকে এছাড়া আর কিছুর অধিকার রাখো না। (জামে তিরমিযী, হাদীস: ১০৮৩


https://ifatwa.info/91615/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-

ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑ

নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। (সূরা নিসা-১৯)


হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ " أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا… أَلاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " .

সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ বিদায় হজ্জের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। ... জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যে, তোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। (সুনানে তিরমিযী ১১৬৩)


স্বামীর উপর আবশ্যক হলোঃ- স্ত্রীর সাথে উত্তম ব্যবহার করা। স্ত্রীর সঙ্গে প্রয়োজনে একান্তে বসা ও খোশগল্প করা।

অবসরে স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বসে কিছু গল্পগুজব করা, তার মনের কথা জানা-বোঝা, তার কোনো চাহিদা থাকলে তা জেনে নিয়ে পূরণ করা স্বামীর জন্য জরুরি।  প্রয়োজন মাফিক স্ত্রীকে সময় দেয়া।

বিস্তারিত জানুনঃ-

https://ifatwa.info/26084/


https://ifatwa.info/2518/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

বৈধ উদ্দেশ্যে জ্বীনের কাছ থেকে ফায়দা গ্রহণ করা যায়। কেউ জাদুগ্রস্ত কি না? একটা অনুমান নেয়া যায়। তবে তাদের কে ব্যবহার করে টাকা রুজি করা কখনো জায়েয হবে না। এবিষয়ে চলচাতুরি খুব বেশীই পরিলক্ষিণ করা যায়।

জ্বীনকে এমন তা'বে বানানো জায়েয হবে না যে, জ্বীনের কোনো এখতিয়ার বাকী থাকে না। (ফাতাওয়ায়ে উসমানী-১/২৮৩)


বৈধ উদ্দেশ্যে জ্বীনের কাছ থেকে ফায়দা গ্রহণ করা যায়। কেউ জাদুগ্রস্ত কি না? একটা অনুমান নেয়া যায়। তবে তাদের কে ব্যবহার করে টাকা রুজি করা কখনো জায়েয হবে না। এ বিষয়ে চলচাতুরি খুব বেশীই পরিলক্ষিণ করা যায়।

জ্বীনকে এমন তা'বে বানানো জায়েয হবে না যে, জ্বীনের কোনো এখতিয়ার বাকী থাকে না। (ফাতাওয়ায়ে উসমানী-১/২৮৩)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী বুঝে আসছে যে, তিনি কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী ঝাড়-ফুঁক বা চিকিৎসা করেন না। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির কাছে যাওয়া যাবে না।

আর প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সমাধান হলো যে, তার স্বামীকে আরো বুঝানোর চেষ্টা করবে। তাবলীগে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। আল্লাহ তায়ালার কাছে দুআ করতে থাকবে। বিশেষ করে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে দুআ করবে। ইত্যাদি

এর পরও ভালো না হলে, উভয় পরিবারের মুরুব্বীদের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করবে বা আইনের আশ্রয় নিবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
edited
আমার শাশুড়ির শরীরে অনেক তাবিজ, যেহেতু উনি শিরক করছে। উনাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু উনি বুঝে না। 
কিন্তু  আমরা তো তাবিজ পরি না,  তাহলে  আমরা যে এবাদত করি তাকি কবুল হবে না?  

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...