আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায

১. ইসলামি ব্যাংকে আমার একটা স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট আছে। ওখানে স্বল্প কিছু সুদ এসেছে যেটা আমি স্টেটমেন্ট বের করার পর জানতে পেরেছি। এখন ওই সুদের অ্যামাউন্ট থেকে ব্যাংক যে যাবতীয় চার্জ কেটেছিলো যেমন বুথে টাকা তুললে চার্জ কেটেছিলো সেরকম চার্জগুলো মোট সুদ থেকে বাদ দিয়ে তারপর বাকি টাকা সওয়াবের নিয়্যাত ছাড়া সাদাকাহ করবো? নাকি সেই চার্জগুলো বাদ না দিয়ে সুদের পুরো টাকাটা সাদাকাহ করবো?

২. ফিক্সড ডিপোজিট করার সময়ই যদি নিয়্যাত থাকে যে, যতটুকু সুদ আসবে পুরোটা ইনশাআল্লাহ সাদাকাহ করা হবে তাহলে কি ফিক্সড ডিপোজিট করলে গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (581,910 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রচলিত ডিপিএস,স্কীম ডিপিএস, ফিক্সট ডিপোজিট হারাম এবং পরিত্যাজ্য।

তবে যদি কোনো ব্যাংক শরীয়তকে পুরোপুরি মেনে এই সমস্ত প্রকল্প, স্কীমগুলো প্রনয়ন করে ও যত্নসহকারে তা পালন করতে সচেষ্ট থাকে তবে তা জায়েয হবে। যেমন পাকিস্তানের মিজান ব্যাংক সম্পর্কে শুনা যায়,যে তারা সম্পূর্ণভাবে শরীয়তকে মেনে চলে।
যত্নসহকারে পালনের অর্থ হচ্ছে,ডিপিএস এমন হতে হবে যে,যে মেয়াদের জন্য ডিপি এস করা হবে,মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আসল ব্যতীত মুনাফা কত? তা নির্দিষ্ট  হতে পারবে না।
যদি মুনাফা নির্দিষ্ট হয়ে থাকে,তাহলে সেটা সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে হারাম হয়ে যাবে।

যদি কেউ টাকা জমানোর উদ্দেশ্যে তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলোতে ৫-১০ বছর মেয়াদী ডিপিএস করে নেয়, তাহলে সে শুধুমাত্র আসল নিতে পারবে। মুনাফা নিতে পারবে না। কেননা মুনাফা সুদ। আর সুদ হারাম।


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ইসলামি ব্যাংক হোক বা প্রচলিত পুঁজিবাদী ব্যাংক হোক, তারা যদি শরীয়তের মুদারাবা পদ্ধতিকে অনুসরণ করে,তাহলে তাদের সাথে মুদারাবা ব্যবসা জায়েয। তবে সাধারণত শরয়ী নিয়মকে পরিপূর্ণ রূপে পালন করা হয়না, তাই সতর্কতামূলক ডিপিএস, এফডিআর ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

(১) সুদের টাকা থেকে ব্যাংকের সার্ভিস চার্জ কর্তন করা যাবে না বরং সদকাহ করে দিতে হবে।
(২) ফিক্সড ডিপোজিট করার সময়ই যদি নিয়্যাত থাকে যে, যতটুকু সুদ আসবে পুরোটা ইনশাআল্লাহ সাদাকাহ করা হবে, তাহলেও ফিক্সড ডিপোজিট করা জায়েয হবে না। করলে সুদের গোনাহে শরীক হতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...