আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in পবিত্রতা (Purity) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার আড়াই মাসে মিসক্যারেজ হয়ে গেছে, গত সেপ্টেম্বর ২১ তারিখ বিকেল থেকে রক্ত আসা শুরু হয়েছে সেদিন আসর থেকে নামায পড়িনি আর,  আর আজ ১লা অক্টোবর সকালেও হালকা ব্লাড দেখেছি।আমার হায়েজের অভ্যাস নির্দিষ্ট নেই, ৭,৮,৯ বা প্রায় ১০ দিন হয়ে যায় হয়তো কখনো কখনো।লাস্ট হায়েজ কয়দিন ছিলো খেয়াল নাই, তবে ৮ দিন বা তার বেশিই ছিলো যতদূর মনে হয়।

১.এখন আমি কি আজ পবিত্র হয়ে নামায আদায় করবো  যহর থেকে?

২. আমাকে কয় দিনের কয় ওয়াক্ত নামায কাযা আদায় করতে হবে?

৩. যেহেতু হালকা রক্ত দেখা যাচ্ছে এখনো আমি কি প্রতি ওয়াক্তে জায়গা টা পরিষ্কার করে নতুন ওযু করে সালাত আদায় এবং যতক্ষণ খুশি কোরআন তিলাওয়াত করতে পারবো?

৪. এবোর্শনের পরে অনেক রক্ত যাওয়ায় যেহেতু শরীর দুর্বল থাকে ডাক্তার রা বাচ্চা নিতে একটু অপেক্ষা করতে বলেন শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য। এক্ষেত্রে  স্বামীর সাথে সহবাসের জন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করা শরীয়তের দিক থেকে উত্তম হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) দশ দিনের পরও যদি রক্তস্রাব যায়, তাহলে পূর্বের মাসে যতদিন আপনার হায়েয ছিলো, এই মাসে আপনি ততদিন হায়েয গণনা করবেন। অতিরিক্ত দিন সমূহকে ইস্তেহাযা বিবেচনা করা হবে। 

(২) পূর্বের মাসে যতদিন হায়েয ছিলো, এই মাসে ততদিন হায়েয গণনা করা হবে। এর চেয়ে অতিরিক্ত দিন নামায কাযা হলে, সেই দিনের নামাযকে কাযা আদায় করতে হবে।

(৩) এটা নির্ভর করবে, পূর্বের বিষয়ের নিষ্পত্তির উপর।

(৪) প্রশ্নের বিবরণমতে আযল করতে পারেন। যখন বীর্যপাতের সময় হবে, তখন স্বামী বীর্যকে বাহিরে ফেলে দিবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...