আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে গলির ভিতর মোটর রিক্সা চলে। রিক্সা ভাড়া ১০ টাকা / গলি থেকে একটু বাইরে গেলে ক্ষেত্র বিশেষ ২০ টাকা আর ৩০ টাকা করে ভাড়া।
আমি গলি থেকে একটু বেশি পথ হেটে রিক্সা নেই, রিক্সাটা থামিয়ে একটু মুড়ি কিনি। ২/৩ এর বেশি লাগে নাই। (এটা সবাই করে)( রিক্সা থামিয়ে ১/২ টা জিনিস কিনি.. এখন পর্যন্ত এটা নিয়ে কেউ বাজে বিহেভ করে নাই) তারপর সেখান থেকে সোজা বাসা তারপর ১ মিনিটের মধ্যে  রুম থেকে ১০ টাকা নিয়ে দেই।
(বিশেষ ভাবে বলছি রিক্সা সমিতির নিয়ম অনুযায়ী গলির ভিতর আসতে যাইতে ১০ টাকাই ভাড়া)
এই সময় উনি দাবি করেন ১০ টাকা ভাড়া না ২০ টাকা দিতে হবে। আমি বলি নিয়মঅনুযায়ী যা দেয়ার তাই দিয়েছি কম দেই নাই। এ সময় উনি বলেন এইটুকু সময়ে ৫০ টাকা রুজি করে ফেলতেন। আমি গেইটা সজোরে বন্ধ করে চলে আসার সময় উনি এটা সেটা বলে আবার বলেন এই টাকা  আল্লাহর কাছে গিয়ে দেয়া লাগবো।

প্রশ্ন হলো: হক না মেরে ন্যায্য  ভাড়া দেয়ার পরও উনি অন্যায়ভাবে ১০ বেশি দাবি করে না দেয়ায়  আমাকে আল্লাহর কাঠগড়ায় উঠিয়ে বিচার দিলেন.. এক্ষেত্রে আমি কি জুলুম করেছি নাকি জুলুমের শিকার হলাম??

আমি স্বজ্ঞানে কারো হক মারি না। অনেক সময় ৫০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকাও দিয়ে দেই কিন্তু গলির ভিতর অনেক টা পথ হেটে এসে ন্যায্য ভাড়া দেয়ার পরেও উনি অন্যায়ভাবে ১০ টাকা বেশি চাইলেন।  দিলাম না করে উনি আল্লাহর কাছে আসামী বানিয়ে ১০ টাকা আদায় এর কথা বললেন।
 আমাকে কি সত্যিই তার কথা মতো আল্লাহর কাঠগড়ায় আসামী হয়ে উঠতে হবে??

আমার এক্ষেত্রে করনীয় কি??

1 Answer

0 votes
by (573,570 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ


ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ


তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা-২৯)


হাদীস শরীফে এসেছেঃ


حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ


আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনযে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকেসে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)


★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যে এরকম  দেড়ি করবেন,সেটা আগেই জানিয়ে ভাড়া মিটিয়ে উঠা লাগতো।

তদুপরি প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি তার আংশিক হক নষ্ট করেছেন। এক্ষেত্রে সে আপনার থেকে ১০ টাকা পাওনাদার হিসেবে রয়েছে।

আপনি তাকে খুজে বের করে উক্ত ১০ টাকা তাকে দিয়ে দিবেন,অথবা বিষয়টি সম্পর্কে তার সাথে সমঝোতা করে নিবেন,তাহলে আর কোনো সমস্যা থাকবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
উস্তাদ দেড়ি করা টা জানিয়েই উঠেছি। উনি তখন কিছু বলেন নাই। ১০ টাকা বাড়িয়ে দিতে হবে এরকমও কিছু বলেন নাই। এজন্যই নিয়ম অনুযায়ী ন্যায্য ভাড়া ১০ টাকাই পরিশোধ করেছি।  এক্ষেত্রে উনি আরো ১০ টাকা কিভাবে পান??? 
by (573,570 points)
এক্ষেত্রে আর তিনি ১০ টাকা পাবেননা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...