হযরত আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের বললেন-
خُذُوا الْعِلْمَ قَبْلَ أَنْ يَذْهَبَ
‘ইলম অর্জন কর তা বিদায় নেওয়ার আগে’। সাহাবীগণ আরয করলেন-
وَكَيْفَ يَذْهَبُ الْعِلْمُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ، وَفِينَا كِتَابُ اللَّهِ؟
আল্লাহর নবী! ইলম কীভাবে বিদায় নেবে, আমাদের মাঝে তো রয়েছে আল্লাহর কিতাব?
বর্ণনাকারী বলেন, এ কথায় তিনি রুষ্ট হলেন। এরপর বললেন-
ثَكِلَتْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ أَوَلَمْ تَكُنِ التَّوْرَاةُ وَالْإِنْجِيلُ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمْ شَيْئًا؟ إِنَّ ذَهَابَ الْعِلْمِ أَنْ يَذْهَبَ حَمَلَتُهُ، إِنَّ ذَهَابَ الْعِلْمِ أَنْ يَذْهَبَ حَمَلَتُهُ
তোমাদের মরণ হোক! বনী ইসরাইলের মাঝে কি তাওরাত ও ইঞ্জীল ছিল না, কিন্তু এতে তো তাদের কোনোই উপকার হল না! ইলমের প্রস্থানের অর্থ তার বাহকগণের প্রস্থান। -মুসনাদে আহমদ ৫/২৬৬; আদদারেমী ১/৮৬, হাদীস ২৪৫
আল্লামা ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘সঠিকভাবে কুরআন মাজীদের অর্থ ও তাফসীর বুঝার জন্য পনের রকমের জ্ঞানে পারদর্শী হতে হয়। যথা,
১)আরবী ভাষা,
২)ব্যাকরণ,
৩)ইলমে ছারফ,
৪)ইলমে ইশতিকাক,
৫)ইলমুল বায়ান,
৬)ইলমে বাদী‘,
৭)ইলমুল কির‘আত,
৮) ইলমু উসূলিদ্দীন,
৯) ইলমু উসূলিল ফিকহ,
১০)আসবাবে নুযূল,
১১)কাসাস বা ঘটনাবলী,
১২)নাসেখ ও মানসূখ,
১৩)ইলমে ফিকহ,
১৪)ইলমুল হাদীস এবং
১৫)ইলমে লাদুনী।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনারা "তাফসীরে মারেফুল কুরআন" পড়তে পারবেন।
কুরআনের বাংলা অনুবাদের জন্য 'তাওযিহুল কুরআন'- (মুফতি তাকি উসমানি)
কিতাব পড়ার পরামর্শ থাকবে।
তাফসীরে মা'আরিফুল কুরআন পড়ার পর আরো তাফসীরের কিতাব পড়তে চাইলে তাফসীরে নুরুল কুরআন,তারপর মাযহারী, তারপর ইবনে কাসির, তারপর তাবারী পড়্যে পারেন।