বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/50165/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
কিস্তিতে অতিরিক্ত মূল্যে পন্য ক্রয় জায়েয আছে।সুদ হবে না। তবে
শর্ত হল যে, দেড়ীতে মালের মূল্য পরিশোধ করার দরুণ প্রথমেই একটি মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে। যেমন -একটি ফ্রিজ, নগদ হলে চল্লিশ
হাজার টাকা। আর ১২মাসের কিস্তিতে হলে পঞ্চাশ হাজার টাকা। এভাবে লেনদেনের পূর্বেই দুটি
মূল্য ঠিক করে নিতে হবে।পরবর্তীতে আবার অতিরিক্ত মূল্য চার্জ করা যাবে না। কিস্তি মিস
হলে অতিরিক্ত চার্জ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/১৯৯--৫/২২৪)
হযরত শুবা ইবনুল হাজ্জাজ রাহ. (মৃত্যু : ১৬০ হি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাকাম ইবনে
উতাইবা এবং হাম্মাদ ইবনে আবু সুলাইমকে এক ক্রেতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, সে অন্যের থেকে
পণ্য ক্রয় করে আর বিক্রেতা তাকে বলে যে, নগদ মূল্যে কিনলে এত টাকা আর বাকিতে কিনলে এত টাকা। (এতে কোনো
অসুবিধা আছে কি?) তারা উভয়ে বললেন, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে যদি (মজলিস ত্যাগ করার পূর্বে) কোনো একটি (মূল্য) চূড়ান্ত
করে নেয় তাহলে এতে কোনো অসুবিধা নেই। দেখুন : মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২০৮৩৬; জামে তিরমিযী
১/১৪৭।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/325
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি ফোনটি কিস্তিতে ক্রয়
করতে পারেন। এভাবে যে, আপনি এখন ৯০ হাজার টাকা দিলেন। আর বাকী টাকা নির্দিষ্ট মেয়াদে
কিস্তিতে দিবেন। যেমন ৩০ হাজার টাকার কোনো প্রোডাক্ট ৬
মাসের কিস্তিতে ৩৫ হাজার টাকায় যদি চুক্তি করা হয় কিন্তু মৌখিকভাবে যদি চুক্তি করা
হয় যে, ৩ মাসে দিয়ে দিতে পারলে ৩২ হাজারে ক্লোজ করা হবে, তাহলে সেটাও
জায়েয হবে।