ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/13832/
নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে, হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে এক নাম্বার ক্ষতি হল,
আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিধানকে লঙ্ঘণ করা হয়। এর চেয়ে বড়
ক্ষতি আর কিছুই হতে পারে না। যে কর্মের মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামীন অসন্তুষ্ট হোন।
তার বিধান লঙ্ঘিত হয়। এর চেয়ে ক্ষতি আর কী হতে পারে?
হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী
সহবাস করা হারাম।
পবিত্র কুরআন ও হাদীসে
এ সময়ে সহবাস করতে পরিস্কার নিষেধাজ্ঞা আসছেঃ
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢]
আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস
করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও,এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন
থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না,যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়।
যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে,তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে
হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে
পছন্দ করেন। [সূরা বাকারা-২২২]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ أَتَى حَائِضًا، أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا، أَوْ كَاهِنًا، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ.
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন
মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের উপর
যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’। [তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯, মুসনাদে আহমাদ,
হাদীস নং-৯২৯০]
এছাড়া ডাক্তারদের
মতেও এ সময় স্ত্রী সহবাস করা অনুচিত। কারণ এ সময় নারীরা অসুস্থ্য বোধ করে। স্রাবের
রক্তের সাথে বিভিন্ন রোগের জীবানো বের হয়ে থাকে। যা সহবাসের মাধ্যমে পরস্পরের মাঝে
ছড়িয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই শরীয়তের বিধানের পাশাপাশি ডাক্তারী মতেও এ
সময় সহবাস করা থেকে বিরত থাকাই কর্তব্য। (আহলে হক মিডিয়া)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
হায়েয/অপবিত্র অবস্থায়
বিয়ে জায়েয। তবে হায়েয অবস্থায় বাসর রাত পালন করা এবং উক্ত অবস্থায় জেনেশুনে স্ত্রী
সহবাস করা হারাম।
সুতরাং আপনারা যদি
শরিয়াহ সম্মত ভাবে দু‘জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান মুসলিম সাক্ষীর সামনে ইজাব-কবুল
করে থাকেন তাহলে আপনাদের বিবাহ সহিহ হয়েছে। তবে অনতিবিলম্বে পূর্বের হারাম রিলেশন এবং
বিবাহ পরবর্তী হায়েয অবস্থায় সহবাস করার কারণে আল্লাহ তায়ালার নিকট খালেস অন্তরে তাওবা
করা আবশ্যক। তাওবা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/5905/