আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)

1.) কেউ যদি এইভাবে নিয়ত করা রাখে যে সে চাকরি  এবং ভালো টাকা-পয়সা পাওয়ার পড়ে  বিবাহ এবং সন্তানাদি লালন পালন করবে  সে ক্ষেত্রে তার  আকিদা   কি   শিরক হবে ?সে ক্ষেত্রে যদি সে এমনিতেও পরে বিবাহ এবং  সন্তান নিতে চায়  সে ক্ষেত্রে  সে কিভাবে আকিদা রাখবে ?

 

2.) হাদীসে বর্ণিত 70000  কোন হিসাব ছাড়াই জান্নাতি  তাদের চরিত্র কি রকম ?

3)  ইউটিউব চ্যানেল  যদি  কোন ছেলে মেয়ে সেজে রূপচর্চার টিউটোরিয়াল তৈরি করেন তাহলে সেখান থেকে সে যা ইনকাম করবে সেটা কি হালাল হবে ?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এইভাবে নিয়ত রাখা যে, চাকরি  এবং ভালো টাকা-পয়সা পাওয়ার গেলে,বিবাহ করা হবে ও সন্তানাদি লালন-পালন করা হবে। এমন আকিদা তাওয়াক্কুলের খেলাফ।তাকওয়ার খেলাফ।বরং মহর ও বাসস্থান এবং ভরণপোষণের সামর্থ হলেই বিবাহ করা সুন্নত।ব্যভিচারের ভয় থাকলে ওয়াজিব/ফরয হবে। টাকা পয়সা হলে সন্তান নেবো,এটা চুড়ান্ত পর্যায়ের তাওয়ক্কুল খেলাফ।ছোট শিরিক।তবে এ জন্য কাফির আখ্যায়িত করা যাবে না।

(২)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার সামনে সকল উম্মাতকে পেশ করা হয়েছিল। তখন আমি দেখেছি) দু’একজন নবী পথ চলতে লাগলেন এমতাবস্থায় যে, তাঁদের সঙ্গে রয়েছে লোকজনের ছোট ছোট দল। কোন কোন নবী এমনও আছেন যাঁর সঙ্গে একজনও নেই। অবশেষে আমার সামনে তুলে ধরা হল বিশাল দল। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ এটা কী? এ কি আমার উম্মাত? উত্তর দেয়া হলঃ না, ইনি মূসা আঃ) এবং তাঁর কওম। আমাকে বলা হলঃ আপনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে তাকান। তখন দেখলামঃ বিশাল একটি দল যা দিগন্তকে ঢেকে রেখেছে।
তারপর আমাকে বলা হলঃ আকাশের দিগন্তসমূহ ঢেকে দিয়েছে এমন একটি বিশাল দলের প্রতি লক্ষ্য করুন। তখন বলা হলঃ এরা হল আপনার উম্মাত। আর তাদের মধ্য থেকে সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে চলে গেলেন। উপস্থিতদের কাছে কথাটির কোন ব্যাখ্যা প্রদান করলেন না। যে বিনা হিসাবের লোক কারা হবে?) ফলে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হল। তারা বললঃ আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর অনুসরণ করে থাকি। সুতরাং আমরাই তাদের অন্তর্ভুক্ত। কিংবা তারা হল আমাদের সে সকল সন্তান-সন্ততি যারা ইসলামের যুগে জন্মগ্রহণ করেছে। আর আমাদের জন্ম হয়েছে জাহিলী যুগে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি বেরিয়ে আসলেন এবং বললেনঃ তারা হল সে সব লোক যারা মন্ত্র পাঠ করে না, পাখির মাধ্যমে কোন কাজের ভাল-মন্দ নির্ণয় করে না এবং আগুনের সাহায্যে দাগ লাগায় না। বরং তারা তো তাদের রবের উপরই ভরসা করে থাকে। তখন উক্কাশা ইবনু মিহসান বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! তাদের মধ্যে কি আমি আছি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তখন আরেকজন দাঁড়িয়ে বললঃ তাদের মধ্যে কি আমিও আছি? তিনি বললেনঃ ‘উক্কাশাহ এ সুযোগ তোমার আগেই নিয়ে নিয়েছে। [৩৪১০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮৭)


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই হাদীসে যে বলা হচ্ছে, যারা মন্ত্র পাঠ করে না,তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে।এর অর্থ এ নয় যে,বৈধ রুকইয়া করলে তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে না।বরং বলা হচ্ছে,যারা বিভিন্ন তন্ত্র মন্ত্র দ্বারা রুকইয়াহ করবে,তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে না।অথবা অর্থ এও হতে পারে যে,যারা রুকইয়ার প্রার্থনা করবে না,তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে।
বিস্তারিত জানুন- ৯৪২৬


(৩)
ভিডিও সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।শুধুমাত্র ওয়াজ-নসিহত তথা দাওয়া মূলক কাজ এবং মিউজিক ও নারীদৃশ্যহীন শরীয়তের অন্যান্য বিধি-বিধানকে আন্তরিকতার সাথে পালন পূর্বক উলামায়ে কেরাম ইউটিউব ভিডিওকে রূখসত দিয়ে থাকেন।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মানুষের সেবা মূলক কাজের ভিডিও অবশ্যই ভালো ও উত্তম।
অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম ইউটিউব এডসেন্স সম্পর্কে বলেন,বেপর্দা ও হারাম পণ্যর শো করার কারণে এডসেন্স সন্দেহপূর্ণ জিনিষ।আর সন্দেহপূর্ণ  জিনিষ থেকে বেঁচে থাকাই তাকওয়ার দাবী।
সুতরাং নারী সেজে পুরুষ কর্তৃক ভিডিও ধোঁকার শামিল। তাই এরকম ইনকাম না করাই শ্রেয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...