বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এইভাবে নিয়ত রাখা যে, চাকরি এবং ভালো টাকা-পয়সা পাওয়ার গেলে,বিবাহ করা হবে ও সন্তানাদি লালন-পালন করা হবে। এমন আকিদা তাওয়াক্কুলের খেলাফ।তাকওয়ার খেলাফ।বরং মহর ও বাসস্থান এবং ভরণপোষণের সামর্থ হলেই বিবাহ করা সুন্নত।ব্যভিচারের ভয় থাকলে ওয়াজিব/ফরয হবে। টাকা পয়সা হলে সন্তান নেবো,এটা চুড়ান্ত পর্যায়ের তাওয়ক্কুল খেলাফ।ছোট শিরিক।তবে এ জন্য কাফির আখ্যায়িত করা যাবে না।
(২)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার সামনে সকল উম্মাতকে পেশ করা হয়েছিল। তখন আমি দেখেছি) দু’একজন নবী পথ চলতে লাগলেন এমতাবস্থায় যে, তাঁদের সঙ্গে রয়েছে লোকজনের ছোট ছোট দল। কোন কোন নবী এমনও আছেন যাঁর সঙ্গে একজনও নেই। অবশেষে আমার সামনে তুলে ধরা হল বিশাল দল। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ এটা কী? এ কি আমার উম্মাত? উত্তর দেয়া হলঃ না, ইনি মূসা আঃ) এবং তাঁর কওম। আমাকে বলা হলঃ আপনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে তাকান। তখন দেখলামঃ বিশাল একটি দল যা দিগন্তকে ঢেকে রেখেছে।
তারপর আমাকে বলা হলঃ আকাশের দিগন্তসমূহ ঢেকে দিয়েছে এমন একটি বিশাল দলের প্রতি লক্ষ্য করুন। তখন বলা হলঃ এরা হল আপনার উম্মাত। আর তাদের মধ্য থেকে সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে চলে গেলেন। উপস্থিতদের কাছে কথাটির কোন ব্যাখ্যা প্রদান করলেন না। যে বিনা হিসাবের লোক কারা হবে?) ফলে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হল। তারা বললঃ আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর অনুসরণ করে থাকি। সুতরাং আমরাই তাদের অন্তর্ভুক্ত। কিংবা তারা হল আমাদের সে সকল সন্তান-সন্ততি যারা ইসলামের যুগে জন্মগ্রহণ করেছে। আর আমাদের জন্ম হয়েছে জাহিলী যুগে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি বেরিয়ে আসলেন এবং বললেনঃ তারা হল সে সব লোক যারা মন্ত্র পাঠ করে না, পাখির মাধ্যমে কোন কাজের ভাল-মন্দ নির্ণয় করে না এবং আগুনের সাহায্যে দাগ লাগায় না। বরং তারা তো তাদের রবের উপরই ভরসা করে থাকে। তখন উক্কাশা ইবনু মিহসান বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! তাদের মধ্যে কি আমি আছি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তখন আরেকজন দাঁড়িয়ে বললঃ তাদের মধ্যে কি আমিও আছি? তিনি বললেনঃ ‘উক্কাশাহ এ সুযোগ তোমার আগেই নিয়ে নিয়েছে। [৩৪১০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮৭)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই হাদীসে যে বলা হচ্ছে, যারা মন্ত্র পাঠ করে না,তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে।এর অর্থ এ নয় যে,বৈধ রুকইয়া করলে তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে না।বরং বলা হচ্ছে,যারা বিভিন্ন তন্ত্র মন্ত্র দ্বারা রুকইয়াহ করবে,তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে না।অথবা অর্থ এও হতে পারে যে,যারা রুকইয়ার প্রার্থনা করবে না,তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে।
বিস্তারিত জানুন- ৯৪২৬
(৩)
ভিডিও সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।শুধুমাত্র ওয়াজ-নসিহত তথা দাওয়া মূলক কাজ এবং মিউজিক ও নারীদৃশ্যহীন শরীয়তের অন্যান্য বিধি-বিধানকে আন্তরিকতার সাথে পালন পূর্বক উলামায়ে কেরাম ইউটিউব ভিডিওকে রূখসত দিয়ে থাকেন।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মানুষের সেবা মূলক কাজের ভিডিও অবশ্যই ভালো ও উত্তম।
অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম ইউটিউব এডসেন্স সম্পর্কে বলেন,বেপর্দা ও হারাম পণ্যর শো করার কারণে এডসেন্স সন্দেহপূর্ণ জিনিষ।আর সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে বেঁচে থাকাই তাকওয়ার দাবী।
সুতরাং নারী সেজে পুরুষ কর্তৃক ভিডিও ধোঁকার শামিল। তাই এরকম ইনকাম না করাই শ্রেয়।