ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَالنَّاسُ يُسْلِفُونَ فِي الثَّمَرِ الْعَامَ وَالْعَامَيْنِ أَوْ قَالَ عَامَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً شَكَّ إِسْمَاعِيلُ فَقَالَ مَنْ سَلَّفَ فِي تَمْرٍ فَلْيُسْلِفْ فِي كَيْلٍ مَعْلُومٍ وَوَزْنٍ مَعْلُومٍ
২২৩৯. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মাদ্বীনায় আগমন করেন তখন লোকেরা এক বা দু’ বছরের বাকীতে [রাবী ইসমাঈল সন্দেহ করে বলেন, দু’ অথবা তিন বছরের (মেয়াদে) খেজুর সলম (পদ্ধতিতে) বেচা-কেনা করত। এতে তিনি বললেন,] যে ব্যক্তি খেজুরে সলম করতে চায় সে যেন নির্দিষ্ট মাপে এবং নির্দিষ্ট ওজনে সলম করে। (সহীহ বোখারী-২২৩৯)
’’( وأما ) بيع المشتري العقار قبل القبض فجائز عنه عند أبي حنيفة ، وأبي يوسف استحسانا‘‘
স্থাবর সম্পত্তি কবজা করার পূর্বে বিক্রয় করা জায়েজ আছে।(বাদায়ে সানায়ে-১১/২৫৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পণ হস্তগত হওয়ার পূর্বে বিক্রয় করা নাজায়েয। তবে শরীয়তের দৃষ্টিতে সালাম ক্রয় বিক্রয়ের জন্য বিক্রেতার আয়ত্বে বাস্তবে অথবা অর্থগতভাবে মাল উপস্থিত থাকা শর্ত। যেহেতু প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে ধান বিক্রেতার আওতধীন রয়েছে, তাই ক্রয়-বিক্রয়ের উক্ত পদ্ধতি সালাম ক্রয় বিক্রয় হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং এই ক্রয়বিক্রয় জায়েয হবে।