আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
4,149 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)
মৃত ব্যক্তির জন্যে কোন খতম পড়ানো উত্তম, কোরানে খতম,খতমে বোখারী না কি খতমে না?
আর খতমে বোখারী বা খতমে নারী  কখন পড়ানো উচিত?
জানা খুব জরুরী।

1 Answer

+1 vote
by (589,140 points)

বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
মৃত ব্যক্তির জন্য দু'আ করতে পারেন।কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করে তাদের নামে বখশিয়ে দিতে পারেন।হ্যা দু'আ নিয়তে আরো অনেক কিছুই করতে পারেন।
তন্মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে তাদের নামে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণ করে দেয়া।এবং তাদের নামে রাস্তাঘাট ও চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণ সহ যাবতীয় সমাজসেবা মূলক কাজ করা। অর্থাৎ সর্ব প্রকার ভালো কাজ করে তাদের নামে সওয়াব বখশিয়ে দেয়া।তবে টাকার বিনিময়ে খতমে কোরাআন বা অন্য কোরো খতম করিয়ে ঈসালে সওয়াব করানো জায়েয হবে না।


আল্লাম ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
ﻭﺃﺧﺬ ﺍﻷﺟﺮﺓ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺬﻛﺮ ﻭﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ، ﻭﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻣﻤﺎ ﻫﻮ ﻣﺸﺎﻫﺪ ﻓﻲ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﺯﻣﺎﻥ، ﻭﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻛﺬﻟﻚ ﻓﻼ ﺷﻚ ﻓﻲ ﺣﺮﻣﺘﻪ ﻭﺑﻄﻼﻥ ﺍﻟﻮﺻﻴﺔ ﺑﻪ، ﻭﻻ ﺣﻮﻝ ﻭﻻ ﻗﻮﺓ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺍﻟﻌﻠﻲ ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ-
আল্লাহর যিকির বা কুরআন তেলাওয়াত করে বিনিময় গ্রহণ করা মাকরুহ।যে প্রথা বর্তমান সময়ে লক্ষ্য  করা যাচ্ছে। এরকম প্রথা/রুসুম চালু হয়ে গেলে সেটা হারাম হবে।এবং এর ওসিয়ত বাতিল করলে সেটাও বাতিল বলে গণ্য হবে। এতে কোনো সন্দেহ নাই।রদ্দুল মুহতার(শামেলা):২/২৪১,
আরো রয়েছে, আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৯৯

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
কুরআনে কারীম মানব জাতির জন্য শে'ফা স্বরূপ নাযিল হয়েছে।বাহ্যিক ও অন্তর্গত সকল বিষয়ে কুরআনে কারীম মানব জাতির জন্য কল্যাণকর।
কুরআনে কারীম যেভাবে একজন মানুষকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথে নিয়ে আসতে পারে। ঠিকতেমনি বাহ্যিক অসুস্থতাকে সুস্থতায় পরিণত করে দিতেও পারে।
কুরআনে কারীম মূত্যুর পরও কাজ দিবে।অর্থাৎ আল্লাহর হুকুমে তেলাওয়াতকারীকে করব জগতের আ'যাব থেকে রক্ষা করবে।


মোটকথাঃ
ঈসালে সওয়াব(কাউকে সওয়াব পৌছিয়ে দেয়া) হিসেবে কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করা যাবে।তবে এক্ষেত্রে বিনিময় গ্রহণ করা যাবে না।তবে হ্যা দুনিয়াবি প্রয়োজন হিসেবে চিকিৎসা স্বরূপ বিনিময়ের সাথে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে বা কোনো বিশেষ সূরা পড়া যাবে।এক্ষেত্রে অনুমোদন রয়েছে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 997

খতমে বোখারী এবং খমতে নারী সম্পর্কে এতটুকু বলা যায় যে, এরকম কিছু কুরআন হাদীসের কোথাও বর্ণিত হয়নি।তবে বিভিন্ন বুজুর্গানে কেরামের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এ রকমভাবে খতম পড়ে আল্লাহর নিকট দু'আ করা যাবে।কেননা তারা ভালো ফালাফল পেয়েছেন। সে হিসেবে এগুলোকে যেকোনো উদ্দেশ্য পূরণের মাধ্যম হিসেবে পড়া যেতে পার।
তবে  এগুলোকে কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত ভাবা যাবে না।

বিঃদ্রঃ
খতম পড়া পূর্বে আক্বিদা বিশ্বাস কে সহি শুদ্ধ রাখতে হবে যে,খতম বা বিভিন্ন প্রকার প্রচলিত তাসবীহ সমূহ কুরআন হাদীস দ্বারা সরাসরি প্রমাণিত নয়।তবে এগুলো আবার কুরআন-হাদীসের বিরোধী নয়।এবং এই খতম ইত্যাদির নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই।বরং সকল ক্ষমতার উৎস একমাত্র আল্লাহ তা'আলা। আল্লাহ তা'আলাই সবকিছুর সম্পাদনকারী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...