আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি হুজুরের কথা অনুজাই মাগ্রিবের নামাজের ওয়াক্তের শুরু থেকে নামাজ পড়া শুরু করি আমি যে কতবার নামাজ পড়েছি হিসাব নাই।আর কত বের ওজু। আমার ধারনা অনুযায়ী ১৫ এর বেশি নামাজ পড়েছি। কিন্তু আমি এই ১৫ বারের মরধে ৩ বার ওউজু না করে আবার পরি তহ। এই ৩ বার আমার বাতাস বের হই নাই।তবে চাপ এসেছিল। আবার ৪ এর সময় আমি সালাম ফিরানুর আগে একটু চেক করার জন্য নরেচরে বসি। তখন আবার বাতাস বের হই। এমন প্রায় ২ বার ২ নামাজে হই। তারপর আমি মাঝখানে আবার ওজু করে আসি এর মধ্যে আমার সারা জামা ভিজে যায়। আমি প্রায় ৫ মিনিটে আবার নতুন করে ওজু করে আসি আবার নামাজে দারাই আবার ওউজু ভেংে জাই। আবার ২ মিনিটের মধ্যে আম্মুর কাছে জাই। আবার নামাজে দারাই। এইভাবে নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়। আমি আবার ওউজু করে এশার র জন্য নামাজে দারায়। কিন্তু আবার আমাকে ৩ বার আবার ওউজু করতে হই। আবার নামাজে ওউজু নষ্ট হয়। তারপর আমি আবার ওউজু করে শুধু বিতির নামাজ পরি। তাও ওউজু নষ্ট হয়। আমি ক্লান্ত হয়ে শেষ করে আর পরি না। এখন আমি কি মাজুর? আর আমি অনেক ক্লান্ত ইসলাম আমার জন্য কেন এত কঠিন? আমি তহ শুধু আল্লাহ কে ডাকতে চায়।কিন্তু আমি পারতেসি না।আমি কোথাও গিয়ে অন্য মানুষের সামনে নামাজ পরতে পারি না। আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে। আমাকে অনেক সময় বকাও দেই।আমার আম্মু আমাকে বলে আমার মত মেয়ে র নামাজ পরা লাগবে না

আমি ocd নিয়ে ২০২০ সাল থেকে কষ্ট করছি। আমার তালাক, আল্লাহকে নিয়ে শিরক চিন্তা, সব আসে। কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পড়। এই সমস্যা শুরু হয়।আমি আর পারতেসি না। আর বাতাস বের হওয়া এটা ওয়াসওয়াসা না।আরেক বিষয় আমার বার বার মনে হচ্ছে আমি হয়তো আপনাদের কে বুঝাইতে পারতেসিনা। আমি কিভাবে বুজব আমি এখন আর মাজুর নয়।কারন আমার এই সমস্যা কোন সময় বেশি আবার কোন ওয়াক্তে একটু কম হয়।তবে আমার এখন নামাজ এর কথা মাথাই আসলে খুব ভয় লাগে। আর অনেক কষ্ট হয় এইভাবে। আমার নামাজের প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছে। আমি কি এশার নামাজ রিপিট করব?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০) মা'যুরের বিধান সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1746

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি মা'যুর কি না? তা যাচাইবাচাই করার জন্য যদি মাগরিবের ওয়াক্তকে নির্ধারণ করেন, এবং সম্পূর্ণ মাগরিবের ওয়াক্ত জুরে মাগরিবের ফরয নামায অজু ভঙ্গ হওয়া ব্যতিত পড়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু না পারেন, তাহলে এশার ওয়াক্ত থেকে আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আজকে আছরের নামায পড়ার চেষ্টা করবেন।যদি অজু ভঙ্গ হওয়া ব্যতিত পড়তে সক্ষম হন, তাহলে আপনি মা'যুর নন। আর যদি সক্ষম না হন, তাহলে আপনি মা'যুর হিসেবে পরিগনিত হবেন। যখন রোগী বেশী হবে, তখন মা'যুর হবেন।অতঃপর যখন কমে আসবে, তখন আর মা'যুর হবেন না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 36 views
...