আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

আমরা ২ বোন। আমি ছোট। বাড়িতে আমাদের মাঝে মধ্যে ঝগড়া লাগে।ঝগড়ার বিষয় জাই হক না কেনো শুরুটা আমার বোনের কোনো খটা মুলক কথা দ্বারা শুরু হয়।  আমার সেই কথা ভালো লাগে না আর এক পর্যায়ে আমাদের ঝগড়া শুরু হয়।ঝগড়া তখন বড় হয় যখন আমার মা আমার  বোনকে এসে তার সমর্থন দেয়। আমাদের দুইজনকে উনি কি সান্তো করবে, উনি আমার বোনের  পাশ নেয়। খুব খারাপ লাগে যখন দেখি উনি আমাদের ঝগড়া না মিটিয়ে অন্যায় ভাবে আমার বোনের পাশ নিয়ে ঝগড়াটাকে আরো নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছেন।এই সময় আমি আমার রাগকে দমন করতে অক্ষম হই এবং অনেক কথাই বলি জা আসলে বলা উচিৎ না। এই সময় আমি কিভাবে ধৈর্য ধরতে পারি?

আমার মা আমার বোনকে যে একটু বেশি ভালো বাসেন তা তার কথা বার্তা আর আচরণে স্পস্ট বোঝা যায়। আমার মায়ের এমন আচরণে আমার বোনের প্রতি আমার কখনো জেলাস ফিল হয় নাই। আমি আমার বোনকে যথেষ্ট ভালোবাসি  । তার প্রতি আমার কোনো খোভ নাই আলহামদুলিল্লাহ।  মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগলে আল্লাহর কাছে দোয়া করি আর এটাই চাই যেনো আমার মা আমাদের ২ বোনের সাথেই সমান আচরণ করেন। কান্নাও করি আবার রাগও লাগে যে আমার মা আমাদের ২ জনের সাথে কেন সমান আচরণ করেন না?  কেনো দুই জনের সাথে দুই রকম ব্যবহার? মাঝে মাঝে মনে হয় বাড়ি থেকে কথাও বের হয়ে যাই।

এরকম অবস্থায় কিভাবে নিজেকে সংযত রাখতে পারি?কিভাবে আমি ধৈর্যের সাথে আমার এই সমস্যা গুলাকে সমাধান করতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ وَهْنًا عَلَىٰ وَهْنٍ وَفِصَالُهُ فِي عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيرُ
আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে।
وَإِن جَاهَدَاكَ عَلَىٰ أَن تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا ۖ وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا ۖ وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ۚ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো। (সূরা লুকমান-১৪-১৫)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতার প্রতি সু-ধারণা রাখুন। বোনের প্রতি সদয় হোন। যদি কখনো মনে হয়, বোন আপনার প্রতি জুলুম করছে বা বোন আপনাাে খোটা দিচ্ছে, তাহলে নিরবে সহ্য করার চেষ্টা করুন। বোন আপনাকে কষ্ট দেয়ার পরও তার সাথে সদ্ব্যাবহার জারি রাখুন। 
ﺻﻞ ﻣﻦ ﻗﻄﻌﻚ ﻭﺃﺣﺴﻦ ﺇﻟﻰ ﻣﻦ ﺃﺳﺎﺀ ﺇﻟﻴﻚ ﻭﻗﻞ ﺍﻟﺤﻖ ﻭﻟﻮ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻚ
হযরত আলী রাঃ থেকে বর্ণিত, তুমি সম্পর্ক স্থাপন কর তার সাথে যে তোমার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে,এবং সৎদ্ব্যবহার কর তার সাথে যে তোমার সাথে মন্দ ব্যবহার করেছে,এবং সত্য কথা বল যদিও তোমার নিজের বিরুদ্ধে হয়।(জামে সগির-৪৯৮৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...