ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
সুরা রহমানকে সুস্থতা বা অন্যান্য নিয়তে পড়া যাবে। এটা বিদআত হবে না। কুরআনকে শিফা, বরকত বা রুকইয়াহ এর নিয়্যাত করে পড়া যাবে।
(২)
সফরের কাযা হয়ে যাওয়া ক্বসর নামাযকে ক্বাযা করতে হবে। অর্থাৎ সফর অবস্থায় কোনো নামাজ ক্বাযা হলে পরবর্তীতে হাযর ( বাসায় অবস্থান বা সফরে না থাকা ) অবস্থায় পড়তে হলে ক্বসরই পড়তে হবে , ঠিক তেমনিভাবে হাযর অবস্থার কোনো ক্বাযা নামায সফর অবস্থায় পড়তে করতে হলে, পুরো নামাযকেই কাযা করতে হবে।
لما في الدر المختار
ﻭَاﻟْﻘَﻀَﺎءُ ﻳَﺤْﻜِﻲ) ﺃَﻱْ ﻳُﺸَﺎﺑِﻪُ (اﻷَْﺩَاءَ ﺳَﻔَﺮًا ﻭَﺣَﻀَﺮًا) ﻷَِﻧَّﻪُ ﺑَﻌْﺪَﻣَﺎ ﺗَﻘَﺮَّﺭَ ﻻَ ﻳَﺘَﻐَﻴَّﺮ
(ﻗَﻮْﻟُﻪُ ﺳَﻔَﺮًا ﻭَﺣَﻀَﺮًا) ﺃَﻱْ ﻓَﻠَﻮْ ﻓَﺎﺗَﺘْﻪُ ﺻَﻼَﺓُ اﻟﺴَّﻔَﺮِ ﻭَﻗَﻀَﺎﻫَﺎ ﻓِﻲ اﻟْﺤَﻀَﺮِ ﻳَﻘْﻀِﻴﻬَﺎ ﻣَﻘْﺼُﻮﺭَﺓً ﻛَﻤَﺎ ﻟَﻮْ ﺃَﺩَّاﻫَﺎ ﻭَﻛَﺬَا ﻓَﺎﺋِﺘَﺔُ اﻟْﺤَﻀَﺮِ ﺗُﻘْﻀَﻰ ﻓِﻲ اﻟﺴَّﻔَﺮِ ﺗَﺎﻣَّﺔً.
(৩)
উক্ত ব্যক্তি যদি আমার দুনিয়া আখিরাতের জন্য কল্যাণ হয় তাহলে তাকে জীবনসঙ্গি হিসেবে পাওয়াটা আমার জন্য সহজ করুন/জীবনসঙ্গি হিসেবে দান করুন। এভাবে দু'আ করা যাবে।
এভাবে চাইলে নির্দিষ্টভাবে চাওয়া হবে তবে আল্লাহর ফয়সালার উপর ভরসা নেই,সেটা বুঝাবে না।উত্তম হল, সবকিছুর ভাড় আল্লাহর উপর ছেড়ে দেওয়া।