আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

১. যদি ডেইলি সুরা রহমান সুস্থতা এবং অন্যান্য নিয়তে পড়ি তাহলে কি এটা বিদআত হবে? কুরআনের শিফা আর বরকত লাভের আশায় কি নিয়্যাত করে পড়া জায়েজ হবে না? বা রুকইয়ার নিয়্যাতে?

২. মুসাফির অবস্থায় পিরিয়ডের লাস্ট দিন ছিলো। এবং নিজ বাসস্থানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে পিরিয়ড ভালো হয়ে যায় এবং সফরে থাকার কারণে সেটা টের পাইনি এবং যোহর সালাত ছুটে যায়। তাহলে আমি যোহর সালাতের কাযায় কসর করবো নাকি ৪ রাকাতই পড়বো? যেহেতু ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগেই সুস্থ হয়েছি বলে ধারণা এবং নিজ গন্তব্যে পৌঁছেও গিয়েছিলাম।

৩. বিয়ের জন্য যদি কাউকে পছন্দ হয় তাহলে তার জন্য এভাবে দুয়া করা যাবে?-(উক্ত ব্যক্তি যদি আমার দুনিয়া আখিরাতের জন্য কল্যাণ হয় তাহলে তাকে জীবনসঙ্গি হিসেবে পাওয়াটা আমার জন্য সহজ করুন/জীবনসঙ্গি হিসেবে দান করুন।) নাকি এভাবেও না চাওয়াটাই উত্তম হবে? এভাবে চাইলে কি নির্দিষ্টভাবে চাওয়া হয়ে যায় বা আল্লাহর ফয়সালার উপর ভরসা নেই বুঝায়?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
সুরা রহমানকে সুস্থতা বা অন্যান্য নিয়তে পড়া যাবে। এটা বিদআত হবে না। কুরআনকে শিফা,  বরকত বা রুকইয়াহ এর  নিয়্যাত করে পড়া যাবে।  
(২)
সফরের কাযা হয়ে যাওয়া ক্বসর নামাযকে ক্বাযা করতে হবে। অর্থাৎ সফর অবস্থায় কোনো নামাজ ক্বাযা হলে পরবর্তীতে হাযর ( বাসায় অবস্থান বা সফরে না থাকা ) অবস্থায় পড়তে হলে ক্বসরই পড়তে হবে , ঠিক তেমনিভাবে হাযর অবস্থার কোনো ক্বাযা নামায  সফর অবস্থায় পড়তে করতে হলে, পুরো নামাযকেই কাযা করতে হবে।
لما في الدر المختار 
ﻭَاﻟْﻘَﻀَﺎءُ ﻳَﺤْﻜِﻲ) ﺃَﻱْ ﻳُﺸَﺎﺑِﻪُ (اﻷَْﺩَاءَ ﺳَﻔَﺮًا ﻭَﺣَﻀَﺮًا) ﻷَِﻧَّﻪُ ﺑَﻌْﺪَﻣَﺎ ﺗَﻘَﺮَّﺭَ ﻻَ ﻳَﺘَﻐَﻴَّﺮ
(ﻗَﻮْﻟُﻪُ ﺳَﻔَﺮًا ﻭَﺣَﻀَﺮًا) ﺃَﻱْ ﻓَﻠَﻮْ ﻓَﺎﺗَﺘْﻪُ ﺻَﻼَﺓُ اﻟﺴَّﻔَﺮِ ﻭَﻗَﻀَﺎﻫَﺎ ﻓِﻲ اﻟْﺤَﻀَﺮِ ﻳَﻘْﻀِﻴﻬَﺎ ﻣَﻘْﺼُﻮﺭَﺓً ﻛَﻤَﺎ ﻟَﻮْ ﺃَﺩَّاﻫَﺎ ﻭَﻛَﺬَا ﻓَﺎﺋِﺘَﺔُ اﻟْﺤَﻀَﺮِ ﺗُﻘْﻀَﻰ ﻓِﻲ اﻟﺴَّﻔَﺮِ ﺗَﺎﻣَّﺔً.
ভাবানুবাদ উপরে উল্লেখ করা হয়েছে(ফাতওয়ায়ে শামী2/135) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/15298


(৩)
উক্ত ব্যক্তি যদি আমার দুনিয়া আখিরাতের জন্য কল্যাণ হয় তাহলে তাকে জীবনসঙ্গি হিসেবে পাওয়াটা আমার জন্য সহজ করুন/জীবনসঙ্গি হিসেবে দান করুন। এভাবে দু'আ করা যাবে। 

এভাবে চাইলে নির্দিষ্টভাবে চাওয়া হবে তবে আল্লাহর ফয়সালার উপর ভরসা নেই,সেটা বুঝাবে না।উত্তম হল, সবকিছুর ভাড় আল্লাহর উপর ছেড়ে দেওয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...